বাংলাদেশে ‘ডিজিটাল ব্যবধান’ দূর করবে ৫জি

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেসিস সফটএক্সপো ২০২০-তে হুয়াওয়ের (বাংলাদেশ) সিইও/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বেসিস সফটএক্সপো ২০২০-তে হুয়াওয়ের (বাংলাদেশ) সিইও/ ছবি: বার্তা২৪.কম

‘ডিজিটাল ব্যবধান’ দূর করার মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’র স্বপ্ন পূরণে ৫জি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হুয়াওয়ে এ তথ্য জানায়।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ১৬তম ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২০’ এর শেষ দিনে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের বিপুল চাহিদা রয়েছে। ৫জি চালু হলে ইন্টারনেটের আরো ব্যাপক চাহিদা ও কাজ করার সম্ভাবনা তৈরি হবে। এই চাহিদাকে কাজে লাগাতে যথাযথ প্রস্তুতি প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করে ঝাং ঝেংজুন বলেন, ৫জি’র জন্য নিজেদেরকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে বাংলাদেশে আরও টাওয়ার নির্মাণ করা প্রয়োজন।

অবকাঠামোগত দিক থেকে ভালো প্রস্তুতি ছাড়া ৫জি’র সম্ভাবনা পুরোপুরিভাগে কাজে লাগানো সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়নের কারণেই চীন আলিবাবা’র মতো প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিতে পেরেছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে ডিজিটাল শিল্পের অগ্রযাত্রায় অন্যান্য শিল্পের মতো এ খাতেও একটি নির্দিষ্ট শিল্পাঞ্চল প্রয়োজন মন্তব্য করে, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ঝাং ঝেংজুন।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র কমিশনার আমিনুল হাসান, এলএম এরিকসন বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম, ব্র্যাক নেট লিমিটেডের সিইও সায়িদ পিএফ আহমেদ এবং রোবির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (টেকনোলজি প্লানিং) শামসুর রহমান, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান এবং সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও আরিফ আল ইসলাম। প্যানেল আলোচনাটির সঞ্চালনায় ছিলেন ফোরকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিইও খালিদ শামস।

দক্ষিণ এশিয়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতভিত্তিক সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২০’ শুরু হয় গত ৬ই ফেব্রুয়ারি। রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে দর্শনার্থীদের ভিড়ও ছিলো চোখে পড়ার মতো।

হুয়াওয়ে সম্পর্কে:

হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৮০ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল শেষে হুয়াওয়ে আয় প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের চেয়ে ১৯.৫% বেশি। এছাড়া গবেষণা ও উন্নয়নে (আরঅ্যান্ডডি) বিনিয়োগ মোট বার্ষিক রাজস্বের ১৪.১%, যার ফলেই পণ্য ও সল্যুশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। বিশেষ করে ফাইভজি’র ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৪০টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ হাজার বেইজ স্টেশন হস্তান্তর করেছে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় হুয়াওয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্যদের চেয়ে অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস এগিয়ে।