অড্রে হেপবার্ন: ‘মাই ফেয়ার লেডি’



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
অড্রে হেপবার্ন

অড্রে হেপবার্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের চলচ্চিত্রের শিরোনামেই তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত ‘মাই ফেয়ার লেডি’ নামে। হলিউডের সর্বকালের সেরা সুন্দরী নায়িকার অন্যতম একজনও তিনি। ২৮ বছর পেরিয়ে গেছে তার মৃত্যুর। বেঁচে থাকলে আজকের দিনে (৪ মে) ৯২ বছর স্পর্শ করতেন বয়সের কাছে অপরাজিত এই চিরযৌবনা, মোহিনী, রূপসী, কিংবদন্তীতুল্য নায়িকা এবং মানবতার দূত অড্রে হেপবার্ন (১৯২৯-১৯৯৩)।

ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ১৯৮৯ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন অড্রে হেপবার্ন। এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে ইউনিসেফের বিভিন্ন দাতব্য কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন। বাংলাদেশে তার ভ্রমণ শেষ হয় ২৪ অক্টোবর। মুখর প্রজাপতির মতো কর্মচঞ্চল অড্রে হেপবার্ন তখন তার শেষজীবনের প্রান্তে। অথচ হোটেল শেরাটনের জনাকীর্ণ সাংবাদিক সন্মেলনে এক ঝলক দেখে বিশ্বাসই হয়নি তার বয়সের ভার। আলো হয়ে প্রস্ফুটিত ছিলেন তিনি সবার মধ্যে।

বাংলাদেশে অসম্ভব সুন্দর সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিলেন তিনি। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসে প্রদত্ত এক পুরনো সাক্ষাৎকারে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘পাশ্চাত্যে বসে আমরা জানি যে বাংলাদেশ বন্যা আর দুর্যোগের দেশ। কিন্তু আমার কাছে বাংলাদেশ মানে কবিতা আর সৌন্দর্যের দেশ।’

অড্রে হেপবার্ন

আমৃত্যু ইউনিসেফ-এর শুভেচ্ছা দূত অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন মন জয় করে নিয়েছিলেন পুরো বাংলাদেশের। জীবনের শেষদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশুদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। হেপবার্নের কাজের প্রতি সম্মান জানাতে ইউনিসেফ-এর সদর দপ্তরে তার একটি প্রতিমূর্তি স্থাপন করেছে জাতিসংঘ।

অড্রে হেপবার্ন প্রমাণ করেছেন যে, একজন শিল্পীর অবসর বা কাজের শেষ বলে কোনও কথা নেই। তারা ক্যামেরার আড়ালে থেকেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পারেন। তার পুরোটা জীবনই ছিল মানুষ ও মানবতার জন্য নানামুখী কাজে নিবেদিত। একদিকে তিনি যেমনভাবে জাদুকরী অভিনয়শৈলী আর সুন্দর মুখশ্রী দিয়ে জয় করেছেন কোটি মানুষের হৃদয়, তেমনি বিপন্ন মানুষের জন্য অবিরাম ছুটেছেন পৃথিবীব্যাপী।

অড্রে হেপবার্ন, ২০ শতকের হলিউডের বিশুদ্ধ প্রতিমা রূপে গণ্য। তার অভিনয় কলায় স্মরণীয় হয়ে আছে বহু কালজয়ী চলচ্চিত্র, যার মধ্যে রয়েছে, 'রোমান হলিডে', ‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিস’, 'শ্যারেড’, 'দ্য চিলড্রেন্স আওয়ার’, 'প্যারিস হোয়েন ইট সিজলস’, 'দ্য নানস স্টোরি’, 'ফানি ফেস’, 'হাউ টু স্টিল আ মিলিয়ন’, 'মাই ফেয়ার লেডি’র মতো সাড়া জাগানো ছবি। এক ‘রোমান হলিডে’র জন্যই আলাদা করে মনে রাখতে হবে তাকে, যেমন মনে থাকবে ‘মাই ফেয়ার লেডি’র জন্যেও।

৪ মে ১৯২৯ সালে, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের একটি জেলায় জন্মগ্রহণকারী হেপবার্ন শৈশবের অধিকাংশ সময় কাটান বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড তথা ইউরোপের এই তিন দেশে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানদের দখলে থাকা নেদারল্যান্ডের আর্নহেম শহরেও তিনি অবস্থান করেছিলেন।

অড্রে হেপবার্ন

আমস্টারডামে থাকাকালীন, তিনি সোনিয়া গাস্কেলের সাথে ব্যালে নিয়ে পড়াশোনা করতেন। ১৯৪৮ সালে তিনি লন্ডনে চলে আসেন ম্যারি রেমবার্টের সাথে ব্যালে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখেতে এবং সমবেত সঙ্গীতদলের একজন হিসেবে ওয়েস্ট এন্ড মিউজিকাল প্রোডাকশনে কাজ করার সুযোগ পেতে। যেখান থেকে তিনি ক্রমশ অভিনয় জগতে নিয়ে যান নিজেকে।

অভিনয় জীবনের প্রথমদিকে কয়েকটি ব্রিটিশ চলচ্চিত্রে উপস্থিতির পর ১৯৫১ সালে ব্রডওয়ে নাটক 'জিজি'তে অভিনয় করেন তিনি। তারপর, হেপবার্ন 'রোমান হলিডে' (১৯৫৩) চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন, যার জন্য তিনি প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে একই সাথে একটি 'অ্যাকাডেমি পুরস্কার', একটি 'গোল্ডেন গ্লোব' এবং একক কৃতিত্বের জন্য 'বাফটা পুরস্কার' অর্জন করেন। একই বছর, তিনি 'অনডিন' নাটকে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে 'টনি পুরস্কার' অর্জন করেন।

পরবর্তীকালে অড্রে হেপবার্ন বেশ-কয়েকটি সফল ও আলোচিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার মধ্যে রয়েছে সাবরিনা (১৯৫৪), দ্য নানস স্টোরি (১৯৫৯), ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফিনিস (১৯৬১), চ্যারেড (১৯৬৩), মাই ফেয়ার লেডি (১৯৬৪) এবং ওয়েট আনটিল ডার্ক (১৯৬৭)। শেষোক্ত চলচ্চিত্রের জন্য তিনি দ্বিতীয়বারের মত অ্যাকাডেমি পুরস্কার এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও বাফটা মনোনয়ন পান। অড্রে হেপবার্ন স্বল্পসংখ্যক-বিরল গুণসম্পন্ন অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন, যিনি একই সঙ্গে অ্যাকাডেমি, এমি, গ্র্যামি ও টনি পুরস্কার পেয়েছেন। হলিউড ও বিশ্ব চলচ্চিত্রাঙ্গন ছাড়াও তিনি শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার বাফটা পুরস্কার অর্জনের রেকর্ড করেন।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাথে তিনি অভিনয় জগৎ থেকে দূরে সরে আসেন এবং ইউনিসেফ-এর হয়ে জনহিতৈষী কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। যদিও এই উন্নয়ন-সম্পৃক্ত সংগঠনের সাথে তিনি ১৯৫৪ সাল থেকেই যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে তিনি আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার দরিদ্র সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করেছিলেন।

ইউনিসেফ-এর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে তাকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পদকে ভূষিত করা হয়। এর এক মাস পর, এপেন্ডিক্স ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সুইজারল্যান্ডে নিজ বাসায় ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দিনটি ছিল ১৯৯৩ সালের ২০ জানুয়ারি। বিরল তলপেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ঘুমের মধ্যে মারা যান তিনি৷ সুইজারল্যান্ডের ঐ ছোট্ট শহরে তাকে সমাহিত করা হয়। ঐ শহরেই জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন এ মহানায়িকা।

অড্রে হেপবার্ন

ঘটনাবহুল ও চরম নাটকীয়তায় ভরপুর ছিল অড্রে হেপবার্নের ব্যক্তিগত জীবন। তার বাবা জোসেফ ভিক্টর অ্যান্থনি রাস্টন (১৮৮৯-১৯৮০) ছিলেন একজন ব্রিটিশ এবং অস্ট্রিয়ান বংশদ্ভুত। তার মা ব্যারন এলা ভন হিমস্ট্রা (১৯০০–১৯৮৪), ছিলেন একজন ডাচ অভিজাত শ্রেণির সদস্য। মায়ের ডাচ পরিবারের কারণে এবং তার বাবার ব্রিটিশ পটভূমি ও ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানে কর্মসূত্রে, এই পরিবার ইউরোপের একাধিক দেশের মধ্যে প্রায়ই ভ্রমণ করতেন। তার বহুজাতিক পটভূমির কারণে অড্রে হেপবার্ন শৈশব থেকেই পাঁচটি আন্তর্জাতিক ভাষায় কথা পারতেন; অভিবাসী ইংরেজি এবং ওলন্দাজের পাশাপাশি তিনি ফরাসি, স্প্যানিশ এবং ইতালিয় জানতেন। জার্মানভাষী হিসেবেও তাকে গণ্য করা হয়। হেপবার্ন মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই ব্যালে নৃত্যে পারদর্শিতা অর্জন করেন।

২য় বিশ্বযুদ্ধ অড্রে হেপবার্নের পরিবারে বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। এবং সম্ভ্রান্ত-অভিজাত হওয়া সত্ত্বেও হেপবার্নের মা তাদেরকে সহায়তার জন্যে সামান্য কাজ করতে বাধ্য হন। তদুপরি হেপবার্নের কর্মসংস্থান খোঁজার প্রয়োজন পড়ে। চলচ্চিত্রে সাফল্য লাভের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে আর্থিক কষ্টের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়।

১৯৫২ সালে হেপবার্নের সাথে তরুণ জেমস হ্যানসনের বাগদান সম্পন্ন হয়। হ্যানসনের সাথে তার লন্ডনে নাচ প্রশিক্ষনের সময় থেকে পরিচয় ছিল। তিনি এটাকে বলেন, 'প্রথম দেখায় ভালোবাসা'। অবশ্য, তার বিয়ের পোশাক তৈরি এবং অনুষ্ঠানের দিন ধার্য হবার পর, তিনি সুনির্দিষ্ট করেন যে, এই বিয়ে টিকবে না। কারণ তাদের জীবনায়নের চাহিদাগুলো বেশিরভাগ সময়ই তাদেরকে পরস্পরের কাছ থেকে দূরে রাখে। তিনি তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে একটি বিবরণ প্রকাশ করে বলেন, 'যখন আমি বিবাহিত হব, আমি সত্যিকার অর্থেই বিবাহিত হতে চাই।' তবে, তেমন অন্তরঙ্গ বৈবাহিক জীবনের দেখা তিনি পাননি। ১৯৫০ সালের দিকে প্রযোজক মাইকেল বাটলারের সঙ্গে তিনি অভিসারে যেতেন মর্মে জনশ্রুতি ছিল।

অড্রে হেপবার্ন নিজের গৌরবময় অভিনেত্রীর পরিচিতিকে অতিক্রম করে মানবতার দূতে পরিণত হয়েছিলেন। হলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম প্রধান নায়িকা হয়েও তিনি রূপালি পর্দার দূরতর জগত ছেড়ে মানুষ ও মানবতার কল্যাণের বাস্তব ক্ষেত্রে অবতরণ করে বিশ্বের পথে-প্রান্তরে ঘুরেছেন। বিশ্ব চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠানসমূহ ও বোদ্ধাদের দৃষ্টিতে সর্বকালের অন্যতম 'প্রকৃতিগতভাবে সুন্দর নারী' রূপে স্বীকৃত অড্রে হেপবার্ন তার মানবিক কল্যাণকর্মের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত এবং স্মরণীয়।

   

নারীরাই সমাজের স্থপতি



ফাহমিদা নবী
নারীরাই সমাজের স্থপতি

নারীরাই সমাজের স্থপতি

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর জাগরণে অনেক পিছিয়ে আছি বললে ভুল হবে। যদি বলি, তবে প্রযুক্তির যুগে এসে সে কথা বলার কোন মানে হয় না। নারীও তাঁর অধিকারে এগিয়ে যাচ্ছে সাহস এবং শক্তিশালী মানসিকতার বদৌলতে। কেন পিছিয়ে থাকবে?

১৯০৮ সালের শ্রম আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণাটি। বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া আমাদের নারীদের জাগরণের জন্য যখন পথ দেখালেন তখন থেকে অদ্যাবধি অবস্থানকে শক্ত এবং শক্তিশালী করবার দুর্নিবার পথ চলা কিন্তু থেমে নেই। তবুও আমরা আজো পিছিয়ে কেন? যে জাতি নারীদের সম্মান করতে পারে না, সে জাতির উন্নতি অসম্ভব।

নারীরাই সমাজের প্রকৃত স্থপতি। নারীকে চিন্তা চেতনার শর্তে জীবনযাপন করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হতে হবে। আমাদের দেশে আত্মসচেতনতার অভাব রয়েছে বলেই নারীদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে; সবসময় এবং বারংবার। নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাজসেবার সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের মেধা ও শ্রমশক্তিকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে হবে। আর তা করতে হলে সমাজ সম্পর্কে তাঁর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন।

নারী দিবস মানেই আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া সৃষ্টিতে-কৃষ্টিতে সমতায় সেরা নারী যেন কোনভাবেই ভেঙে না পড়ে।

আমার তো মনে হয় নারী ফিনিক্স পাখি! সে যেভাবে বারবার পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাড়ায়। নিজের কিশোরবেলা থেকে শুরু করে সংসার, বিয়ে, সন্তান থেকে পরিবার পুরো সমাজ সংসারে তার চলাচল ভীষণ ইতিবাচক। তাঁর তো সময় নেই নেতিবাচকতায় চোখ রাখবার! থাকুক যতই বাধা তার ধৈর্যের কমতি নাই। হাসিমুখে সব কিছুতে তাঁর অংশগ্রহণ এক বিস্ময়।

সত্যি বলতে কী নারী মানেই “মা”। তাই নারী সব কিছুরই উদাহরণ। মাকে কখনো কঠিন হতে হয়, কখনো কোমল, কখনো বা সংসার কৌশলী, বুদ্ধিমত্তায় পারদর্শী।

নারীদের বলতে চাই জীবনে সংগ্রাম থাকবেই কিন্তু পিছিয়ে পড়া যাবে না। এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কথা বলতে, না বলতে, সাহসে পথ চলতে শিখতে হবে। নিজেকে ভালোবাসতে হবে।

আমাদের দেশে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। শুধু সাহস আর মানবিকতা পথটাকে আরেকটু চিনে চলতে হবে। কারণ অমানবিকতা আনাচেকানাচে চিরকালই দেখি।

আরেকটা বিষয়কে প্রাধান্য দিতেই হবে যা মানবিক আচরণ। কিছু সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যদি সবাই এক সমতায় তবে এখনো পিতার সম্পত্তি বণ্টনে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না কেন? বিশাল সমস্যা এখানেই রয়ে গ্যাছে। এই সমঅধিকারের প্রতিকার যতদিন না হবে বৈষম্যের ফাঁকটা রয়েই যাবে। এবং মেয়েদের উপর অত্যাচার কখনোই কমবে না।

পৃথিবীর কোন দেশে এই বৈষম্যতা নেই বলেই নারীরা অনেক সাহসে এবং সমতার অংশগ্রহণের নিশ্চিত থাকতে পারে।

আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। সমবণ্টন নিশ্চিত হোক। নারীর এগিয়ে যাওয়া আর রুদ্ধ হবে না।

আমি সব সময় মুগ্ধ হই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে। কী প্রাণবন্ত হয়ে নারীদের অগ্রগতিতে তিনি কতটা ভূমিকা রাখছেন! প্রতি মুহূর্তে তিনি চান মেয়েরা এগিয়ে আসুক সাহসী হোক। তিনি এ ব্যাপারেও কাজ করছেন শুনেছি। আশা করি অবশ্যই পিতার সম্পত্তিতে ছেলেমেয়ের সমঅধিকার হবে। কাজেকর্মে, শিক্ষায় সমাজ সংসার জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখুক সমতায়। সেজন্য সুযোগ সুবিধায় নারীদের সম্মানকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

সকল নারীদের জন্য শুভ কামনা; আত্মবিশ্বাসে পথ চলা সফল হোক।

ফাহমিদা নবী: সংগীত শিল্পী

;

‘নারীবাদী’ শব্দের উৎপত্তি এবং এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক



নারীশক্তি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নারীবাদী কিনা?’ প্রশ্নে পুরুষ কিংবা নারী- অনেককেই অপ্রস্তুত হতে দেখা যায়। কারো উত্তরে থাকে দ্বিধা। হাস্যকর হলেও সত্য, কেউ কেউ উত্তর দেয়,‘আমি নারীবাদী নই, তবে আমি সমতায় বিশ্বাসী।’ সমাজে অধিকাংশ মানুষের কাছে ‘নারীবাদী’ শব্দটার অর্থ সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। বর্তমান সমাজে মানুষ নারীদের সমান অধিকারের দাবীর কথা শুনে হাসে। কিছু মানুষের মতে, নারীরা বরং বেশিই পাচ্ছে। বর্তমান সমাজচিত্র দেখে অনেকে মনে করেন, নারীবাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বরফখণ্ড ভাসতে দেখে, পানির নিচে তার আকার বোঝা যায় না। নারীবাদী  শব্দের সূচনা যখন হয়েছিল, তখন সমাজের চিত্র একদম ভিন্ন ছিল।

নারীবাদ মানেই পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের মানসিকতা। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে-মানুষ হিসেবে নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার প্রাপ্য, সেই নারীবাদী। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান সময়ের অনেক নারীবাদীদের মধ্যে পুরুষ বিদ্বেষী ভাব ফুটে ওটে। এই আচরণ কোনোভাবেই নারীবাদী হওয়ার প্রমাণ নয়!    

উনবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবার ফেমিনিজম বা নারীবাদ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিল। ফ্রান্সের দার্শনিক চার্লস ফুরিয়ে ১৮৩৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন। এরপর ১৮৭২ সালে  ফ্রান্স এবং ১৮৯০ সালে নেদারল্যান্ডসে ফেমিনিজম এবং ফেমিনিস্ট শব্দ দু’টির ব্যবহার হয়। পরবর্তীতে যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়।

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা ভোটের অধিকার আদায়ে এবং নারী-পুরুষ সমান ক্ষমতায়নের আন্দোলন শুরু করে। এই  আন্দোলন হয়েছিল কারণ, কর্মক্ষেত্রে সম্মান এবং আয়ের দিকে নারীরা ছিল পুরুষদের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে।  সমান অধিকার ছিল না বলেই, তা ছিনিয়ে নিতে বার বার আন্দোলনে নামতে হয়েছে নারীদের ।

স্রষ্টা পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষ-কে পাঠিয়েছেন। অথচ বিবেক-বুদ্ধিবান মানব সমাজেই একপক্ষকে অপর পক্ষ থেকে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়েছে। ব্যাপারটা কেমন বেখাপ্পা নয় কি?

একটা সময় নারীদের নিজ ইচ্ছায় ঘর থেকে বের হওয়ার অধিকারও ছিল না। শিক্ষাগ্রহণ বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ছিল স্বপ্নাতীত। ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় স্বামীর মৃত্যু হলে, জীবিত নারীদের তাদের সাথে পুড়িয়ে মারা হতো। নারীর ইচ্ছা না থাকলেও পরিবারের সকলে মিলে তাকে এই নিয়ম মানতে বাধ্য করতো। সম্রাট আকবর তার রাজত্বকালে, নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। এছাড়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে চালু হয়ে বিধবা বিবাহ আইন। ১৮৫৬ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা নারীদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ছেলেকে এক বিধবা কন্যার সাথে বিয়ে দিয়ে।

তৎৎকালীন এই অসমতার চিত্র, ইউরোপের অনেক লেখকের কলমে ফুটে উঠেছিল প্রাচ্যের বর্বরতা হিসেবে। তারা নারীদের প্রতি আচরণের কারণে, প্রাচ্যকে অনুন্নত বিবেচনা করতো। অথচ পশ্চিমের আচরণ যে নারীদের প্রতি খুব সম্মানজনক ছিল, নাও কিন্তু নয়!

ইংল্যান্ডের বাজারে একসময় বউ বিক্রি হতো। নারীদের লাল লিপস্টিক দিয়ে সাজ ছিল নিষিদ্ধ। কেবল দেহ ব্যবসায়ী নারীরাই লাল লিপস্টিকের ব্যবহার স্বাধীনভাবে করতে পারতেন। ১৮০০ সালের দিকে ঝগড়া করার অপরাধে এক ইউরোপীয়ান তার স্ত্রীর মুখে বেড়ি পড়িয়ে রাস্তায় হাঁটিয়েছিলেন। এমনকি নারী আন্দোলন এবং জাগরণের শুরুই হয়েছিল খোদ পশ্চিমের দেশগুলোতেই।  

সব মানুষেই নিজের জীবন স্বাধীনভাবে কাটাতে চায়। কেউই  পরাধীন থাকতে চায়না বিধায়, কালের বিবর্তনে বিশ্বজুড়ে বার বার বিদ্রোহ এবং আন্দোলন হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েও লড়ে গেছে স্বাধীনতার জন্য। বর্তমান সমাজ নারীর প্রতি যথেষ্ট নমনীয় হলেও, শুরু থেকে এমনটা ছিল না। সেই কারণেই নারীরা আন্দোলন করে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।    

;

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক। তিনি ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। কিশোরগঞ্জের সমাজ প্রগতি ও জনসেবায় তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মরণোত্তর সম্মাননা পদক প্রদানকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবী নূরজাহান বেগমকে ১ম শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অষ্টবর্গ শাহ্ বাড়িতে নবনির্মিত নান্দনিক স্থাপত্য শাহ্ মাহ্তাব আলী কালচারাল কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।

পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের পক্ষে তাঁর বড় ছেলে, মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর, বার্তা২৪.কম এর অ্যাসোসিয়েট এডিটর ড. মাহফুজ পারভেজ পদক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘জীবনের ধ্রুবতারা: আমার মা নূরজাহান বেগম ও কিশোরগঞ্জের স্মৃতি’ শীর্ষক পাবলিক লেকচার প্রদান করেন।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ্ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তার। এতে পদক প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. গোলাম হোসেন।

এতে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সি‌নিয়র আইনজীবী বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা না‌সির উ‌দ্দিন ফারুকী, সিনিয়র আইনজীবী, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা পাব‌লিক লাই‌ব্রে‌রির সাধারণ সম্পাদক মু আ ল‌তিফ, সি‌নিয়র সাংবা‌দিক আলম সা‌রোয়ার টিটু, সহকারী অধ্যাপক মো. সেলিম, ফ্রন্টিয়ার্স রিপোর্টার্স সোসাইটির সভাপতি মিনহাজ শিহাব ফুয়াদ, সমাজকর্মী লুৎফু‌ন্নেছা চিনু প্রমুখ। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কিশোরগঞ্জের বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা. এ.এ. মাজহারুল হক ও সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক সমীক্ষাধর্মী মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন কীর্তির ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা ছাড়াও বিভিন্ন জনহিতকর ও সমাজসেবামূলক কাজ করছে।

এছাড়া সমাজসেবী নূরজাহান বেগম বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসাসহ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি এই মহীয়সী নারী পরলোকগমন করেন। তাঁর কর্ম ও স্মৃতিকে অম্লান রাখার জন্য শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন তাঁকে মরণোত্তর পদকে ভূষিত করেছে।

;

‘প্রতিবন্ধী নারীদের বাধা দূর করতে একসঙ্গে সাইরেন বাজাতে হবে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), অ্যারো ও সিএনএস এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা রোধ’ বিষয়ক একটি কর্মশালা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিআরইউ সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় বেলা ১১টায় ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

এ সময় তিনি বলেন, বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধী নারীরা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারসহ শীর্ষ পর্যায়ে নারী ক্ষমতায় থাকলেও নারীরা এখনও তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। এই নারীরাই যখন প্রতিবন্ধী হয় তখন তারা আরো নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হন।


নারীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না এমন মন্তব্য করে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, রাস্তাঘাটসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্ট থাকলেও মানুষের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবন্ধীদের নিয়েও পর্যাপ্ত পরিমানে প্রকল্প নেই। আমার মনে হয়, রাষ্ট্র একটা ভুল মডেলের দিকে যাচ্ছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে একসঙ্গে বাঁশি এবং সাইরেনটা বাজাতে হবে, আওয়াজ এক সঙ্গে করতে হবে।

এসময় তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে এ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একটি সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে সরকার, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ এগিয়ে আসলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

কর্মশালাটিতে প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ প্রকল্প সমন্বয় বিশেষজ্ঞ তুশিবা কাশেম মূল বিষয়ের উপরে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো: আল-আমিন, এসকে রেজা পারভেজ ও মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) উপস্থিত ছিলেন।

;