নারীদেহ শিল্প কেবল!



ফারিসা মাহমুদ
অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ফারিসা মাহমুদ একজন চিত্রশিল্পী। আঁকার বিষয়বস্তুতে প্রাধান্য পায় গ্রামবাংলার পটভূমি, বিচিত্র পেশাজীবীর জীবনযাত্রা। নিয়মিত লেখালেখি করেন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায়। তাঁর প্রকাশিত তিনটি উপন্যাস ‘চন্দ্রাহত হাসন’, ‘দ্বিতীয় মুখ’, ‘জল রঙ ও চড়ুই পাখি’। চিত্রকলার পাশাপাশি সমাজের নানা পেশার নারীদের অধিকার লড়াইয়ে কাজ করে যাচ্ছেন


শুধুমাত্র নারী হয়ে জন্ম নিয়েছে বলেই নারীর নিজস্ব একটা যুদ্ধ তৈরি হয়ে যায়। দরিদ্র ঘরে অথবা ধনীর ঘর, যে ঘরেই নারীর জন্ম হোক না কেন—এই যুদ্ধটা তাকে করতেই হয়। প্রতিটা ইচ্ছের জন্যে, প্রতিটা সিদ্ধান্তের জন্যে তাকে জীবনভর যুদ্ধ করে যেতে হবে। যুদ্ধটা কতভাবে আর কতদিন চলবে, এর উত্তরটা নারীর জীবন থেকে বললে—এর শেষ নেই। পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজটা যতদিন থাকবে, পৃথিবীর সব নারীই এক একটা সংগ্রামের গল্প। সমাজ ও রাষ্ট্রে যতদিন পুরুষতান্ত্রিক চেহারাটা যতদিন থাকবে ততদিন এই লড়াইয়ের শেষ নেই।

এই গল্পের শুরু তখন থেকে, যখন মানুষ আদিম যুগ সাম্যবাদী সমাজ ভেঙে আধিপত্যবাদী একটা বৈষম্যমূলক সমাজ তৈরি করল। মানুষ আর শুধু মানুষ থাকল না। সে দাস হলো, সে মালিক হলো। সে নারী হলো, সে পুরুষ হলো। এই বিভেদমূলক ব্যবস্থাটাই পুরুষতন্ত্র। সে মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখা হয় না। শ্রেণী হিসেবে দেখা হয়। ছোট-বড় করে দেখা হয়। প্রভূ-ভৃত্য হিসেবে দেখা হয়। একদল মানুষের ওপর আরেকদল মানুষের আধিপত্য তৈরি এবং তাকে বজায় রাখার জন্য কত ধরনের আইন তৈরি করে। জন্মগতভাবেই আমি উচ্চ তুমি অধম এই মূল্যবোধ তৈরি করে। মানুষ হিসেবে প্রকৃতিগত যে অধিকার—তাকে অস্বীকার করে, বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা তৈরি করে। এটাই পুরুষতন্ত্র। এর প্রথম আর সবচেয়ে বড় শিকার হয় নারীরা। পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ এই নারী মানুষ না। মানুষ শুধু পুরুষ। নারী হলো সেই পুরষের অধিকারে একটা আধা মানুষ। পুরুষতন্ত্রের শিকার বেশিরভাগ পুরুষ। ঘরের বাইরে যে পুরুষতন্ত্রের শিকার হলেও ঘরের মধ্যে সে কর্তা। মালিক। নারী তার অধিকারভুক্ত।

নারীকে ঘরের বাঁধা অতিক্রম করে বাইরে আসলেও নারীকে নারী হিসেবেই দেখা হচ্ছে। পুরুষের পাশে এসে একই কাজ করলেও, শুধু নারী বলেই সে তার প্রাপ্যটুকু পাচ্ছে না। প্রতিটা পেশায়, প্রতিটা ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার শুধু নারী। কেবল আমাদের দেশেই যদি দেখেন, কোন পেশায় নারী পাবেন না? কোন কাজটায় নারী পুরুষের চেয়ে কম দক্ষ বলবেন আপনি? অথচ সমতা বা সমমার্যাদা কি আমরা অর্জন করতে পেরেছি? বা খুব শীঘ্রই তা পাব এমন আশা কি করতে পারি?

প্রত্যেক নারীরই এই নিয়ে একটা গল্প আছে। সব ক্ষেত্রেই গল্পটা আলাদা হলেও আসলে একই। সংগ্রামের গল্প। আমি একজন চিত্রশিল্পী বা আর্টিস্ট। আমি আমার কাজের ক্ষেত্রে নারীদের সংগ্রামটা নিয়ে কথাটা বলি। সংগ্রাম হচ্ছে সমাজ থেকে একজন মানুষের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা সামনে আসে সেগুলার মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া। যুদ্ধ হচ্ছে এসব প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে মাথা উচু করে দাঁড়ানো, নিজের পরিচয় তৈরি করা। কেবল অস্ত্র হাতে যুদ্ধই তো যুদ্ধ নয়। এই যুদ্ধটা চিত্রশিল্পে কেমন?

আপনি কি আমাদের দেশের পাঁচজন নারী চিত্রশিল্পীর নাম বলতে পারবেন?

হয়তো আপনি আর্ট কালচার বিষয়ে আগ্রহ রাখেন তাই হয়তো আপনি পারবেন। ভাবেন তো এমনি সাধারণ কোনো মানুষ কি বলতে পারবে আমাদের দেশের পাঁচজন নারী আর্টিস্টের নাম? যেমন বলতে পারবে জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, কাইয়ুম চৌধুরী, হাশেম খাঁন, সাহাবুদ্দিন আহমেদ এদের নাম, তেমন? জানি পারবেন না। কেন? নারী কাঁথায় নকশা করে, নারী ঘর সাজায়, নারী পিঠেয় নকশা করে, নারী বারো হাতের একটা কাপড় গুছিয়ে সুন্দর করে শাড়ি পরে, নারী হাতে মেহেদী দিয়ে নকশা করে, আরো কত কত শিল্পকে নারী সহজাতভাবেই ধারণ করে। আবার পুরুষ শিল্পীর কাজের অন্যতম বিষয় এবং প্রেরণার জায়গায়ও নারীর ভূমিকা অস্বীকার্য। সুন্দর আর নারী তো এপিঠ ওপিঠ তবে নারী আর্টিস্ট হয়ে উঠতে পারে না কেন? ভেবেছেন কখনো? অনেক নারীই তো এই দেশের প্রথম আর্ট কলেজে শুরু থেকেই পড়ালেখা করে বের হয়েছেন। বর্তমানেও প্রতি বছর হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্ট নিয়ে পড়া লেখা করে বের হচ্ছে। অনেকেই নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং ভালো কাজও করছেন কিন্তু তবু আমরা সহজভাবে পাঁচজন নারী আর্টিস্টের নাম বলতে পারব না।

এটা দুঃখজনক তো বটেই। আমাদের এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একটা মেয়ে আর্টিস্ট হতে হতে যে লম্বা একটা যুদ্ধ করে আসেন সেই যুদ্ধ কতটা কঠিন ভাবতে পারেন? আর্টিস্ট হওয়ার ইচ্ছেটা করার সঙ্গে সঙ্গেই তার যুদ্ধ শুরু হয়।

সিমির কথা মনে আছে আপনাদের?

বেশ অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে সিমির চলে যাওয়ার। এতদিনে অনেকেই হয়তো ওকে ভুলে গেছেন। মনে রাখার মতো একটা শিল্পকর্মও তো সে করে যেতে পারেনি। নারায়ণগঞ্জ চারুকলার ছাত্রী ছিল। কখনো কখনো কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে তার দেরি হতো, একটু রাত হতো। পাড়ার ছেলেরা বাড়ি ফেরার পথে ওকে উত্যক্ত করত। দিনের পরে দিন। বেচারি সিমিকে সাহায্য করতে, মানসিকভাবে ওকে শক্তি দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি। কেউ বলেনি, মেয়ে ভয় নেই তোমার! সিমি তো শিল্পী ছিল, ওর মন তো সুন্দর দেখত, নিতে পারেনি মেয়েটা সমাজের এই কদর্য রূপ। আত্মহত্যা করেছিল সিমি। সিমি তো আত্মহত্যা করে সব কিছুর উর্ধ্বে চলে গেছে। কিন্তু চারুকলায় পড়েছে অথবা ছবি আঁকে এমন কয়জন মেয়ে আছে যাদের এমন মানসিক যাতনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি! চারুকলায় পড়া মেয়ে মানেই মাল, শিল্পচর্চা করা মেয়ে মানেই সহজে শোওয়া যাবে, আর্টিস্ট মানেই বহু পুরুষের সাথে যায়—এসব মানসিকতার বাইরে কজন বাঙালি আছে?

শিল্পী হতে হলে সবার আগে যে জিনিসটা প্রয়োজন তা হলো স্বাধীনতা। জীবন যাপনের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা ছাড়া কারো মননেই কোনো সৃষ্টিশীল চিন্তা আসা সম্ভব নয়। আর্থিকভাবে চরম কষ্টে থাকলেও কখনো শিল্পীর অভিযোগ শুনবেন না। কষ্টের রঙকেও উপভোগ্য করে তুলতে পারে একজন শিল্পী। জীবনের নানা দিক এবং নানা রূপকে দেখাই শিল্পীর কাজ। যেখানে শিল্পীর জন্যে স্বাধীন জীবন যাপন করা একজন পুরুষের জন্যেই যথেষ্ট কঠিন যেখানে নারীর জন্যে এই আশা করা সম্ভব নয়। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমাদের দেশ তো স্বাধীন তবে শিল্পীর জন্যে আবার কেমন স্বাধীনতা দরকার? একদম আক্ষরিক অর্থেই স্বাধীনতা, চিন্তা যতদূর যায় ততটা দূরে যাবার স্বাধীনতা।

সেটা যদি সমাজের চোখে চরম সেচ্ছাচারিতাও হয় তবু সেই স্বাধীনতা শিল্পীর জন্যে জরুরি। সীমানা ছিঁড়েফুঁড়ে, ভেঙেচুরে না দেখতে পারলে শিল্পী হওয়া সম্ভব নয়। এখন আপনি ভাবেন তো একজন নারীর পক্ষে কি সেই স্বাধীন জীবন যাপন করা সম্ভব? শিল্পী জীবনের ছবি আঁকে। আঁকাটা তার ভাষা। যৌনতা জীবনের একটা অপরিহার্য বিষয়। যৌনতা বাদ দিয়ে জীবন নয়। অথচ আমাদের দেশের নারী আর্টিস্টদের কাজে এই অপরিহার্য বিষয়টা আনা অলিখিত নিষেধ। কে দিয়েছে এক সীমা রেখা টেনে? একজন আর্টিস্ট সে নারী হোক বা পুরুষ শিক্ষানবিশ অবস্থায় ফিগার স্টাডি বাধ্যতামূলক। সে তখন থাকে একজন মানুষ, নারী পুরুষের উর্ধ্বে। মানুষের দৈহিক আকৃতি এবং এর ভাষাটা তখন সে চর্চা করে। মানব দেহের একটা সৌন্দর্য আছে তা সেটা দীর্ঘ, খাটো, ফর্সা, কালো, বাঁকা ত্যাড়া যেমনই হোক। এই সৌন্দর্য কেবল একজন শিল্পীর চোখেই দেখা সম্ভব। এবং শিক্ষানবিশ অবস্থায় সে থাকে সমমনা অন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে একটা পরিবেশে। সেখানে ও জানে মানুষের শরীর কেবল একটা মাধ্যম। মানুষের অনুভূতি থাকে তার চিন্তায়, শরীরে নয়। যখন শিক্ষালাভের পরে একজন নারী জীবিকা ও জীবিনের সামনে এসে দাঁড়ায় তখন সে দেখে তার জগৎ ভিন্ন। ওর চিন্তার সাথে ওর শিক্ষার সাথে সমাজ মিলছে না। একজন পুরুষ অনায়াসে ন্যুডিজম নিয়ে কাজ করতে পারে কিন্তু নারীর জন্যে সেটা প্রায় অসম্ভব। তাকে আঁকতে হবে নৈস্বর্গিক প্রকৃতি। নগ্নতা শরীর ও প্রকৃতির অংশ হলেও তাকে এইদিকটা একদম কপাট বন্ধ করে রাখতে হবে। তো জীবনের একটা অংশ কপাটের ওইপারে রেখে নারীকে কাজ করতে হলে সে শিল্পী হবে কী করে?

তবু পাহাড় সমান বাঁধা ঠেলতে ঠেলতে আমাদের দেশেও কিছু কঠিন নারী ছবি এঁকে যাচ্ছেন। সীমাবদ্ধতার জালে জড়িয়েও নিজেদের ভাষাটা তুলে ধরছেন সমাজের সামনে। আমি এই সময়ের কয়েকজন নারী শিল্পীদের সাক্ষাৎকার পড়েছি। তাদের মধ্যে প্রায় সবাই বলেছেন, আমি নারীবাদী না। তবে আমি আমার কাজে নারীদের সংগ্রামটাকে তুলে আনি। আসলে শিল্পীর পক্ষে নারীবাদী হওয়া কতটা সহজ আমি জানি না কারণ একজন শিল্পী তো কখনো নারী পুরুষ আলাদা করে দেখেই না। সেই চর্চাই শিল্পীর কাজ না। নারী শিল্পী বা পুরুষ শিল্পী আমরা মানে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভাষা। শিল্পীর কোনো জেন্ডার হয় না। যখন যে দেশে, যে সমাজে শিল্পীর জেন্ডার নির্ণয় হয় সেই দেশে আর নারীরা শিল্পী হবে কী করে?

এভাবেই একজন নারী শিল্পী হতে গিয়ে পুরুষতন্ত্রের শিকার হয়ে পড়েন। যাকে ছিন্ন না করে আর তার শিল্পী হয়ে ওঠা হয়ে ওঠে না।

   

নারীরাই সমাজের স্থপতি



ফাহমিদা নবী
নারীরাই সমাজের স্থপতি

নারীরাই সমাজের স্থপতি

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর জাগরণে অনেক পিছিয়ে আছি বললে ভুল হবে। যদি বলি, তবে প্রযুক্তির যুগে এসে সে কথা বলার কোন মানে হয় না। নারীও তাঁর অধিকারে এগিয়ে যাচ্ছে সাহস এবং শক্তিশালী মানসিকতার বদৌলতে। কেন পিছিয়ে থাকবে?

১৯০৮ সালের শ্রম আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণাটি। বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া আমাদের নারীদের জাগরণের জন্য যখন পথ দেখালেন তখন থেকে অদ্যাবধি অবস্থানকে শক্ত এবং শক্তিশালী করবার দুর্নিবার পথ চলা কিন্তু থেমে নেই। তবুও আমরা আজো পিছিয়ে কেন? যে জাতি নারীদের সম্মান করতে পারে না, সে জাতির উন্নতি অসম্ভব।

নারীরাই সমাজের প্রকৃত স্থপতি। নারীকে চিন্তা চেতনার শর্তে জীবনযাপন করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হতে হবে। আমাদের দেশে আত্মসচেতনতার অভাব রয়েছে বলেই নারীদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে; সবসময় এবং বারংবার। নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাজসেবার সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের মেধা ও শ্রমশক্তিকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে হবে। আর তা করতে হলে সমাজ সম্পর্কে তাঁর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন।

নারী দিবস মানেই আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া সৃষ্টিতে-কৃষ্টিতে সমতায় সেরা নারী যেন কোনভাবেই ভেঙে না পড়ে।

আমার তো মনে হয় নারী ফিনিক্স পাখি! সে যেভাবে বারবার পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাড়ায়। নিজের কিশোরবেলা থেকে শুরু করে সংসার, বিয়ে, সন্তান থেকে পরিবার পুরো সমাজ সংসারে তার চলাচল ভীষণ ইতিবাচক। তাঁর তো সময় নেই নেতিবাচকতায় চোখ রাখবার! থাকুক যতই বাধা তার ধৈর্যের কমতি নাই। হাসিমুখে সব কিছুতে তাঁর অংশগ্রহণ এক বিস্ময়।

সত্যি বলতে কী নারী মানেই “মা”। তাই নারী সব কিছুরই উদাহরণ। মাকে কখনো কঠিন হতে হয়, কখনো কোমল, কখনো বা সংসার কৌশলী, বুদ্ধিমত্তায় পারদর্শী।

নারীদের বলতে চাই জীবনে সংগ্রাম থাকবেই কিন্তু পিছিয়ে পড়া যাবে না। এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কথা বলতে, না বলতে, সাহসে পথ চলতে শিখতে হবে। নিজেকে ভালোবাসতে হবে।

আমাদের দেশে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। শুধু সাহস আর মানবিকতা পথটাকে আরেকটু চিনে চলতে হবে। কারণ অমানবিকতা আনাচেকানাচে চিরকালই দেখি।

আরেকটা বিষয়কে প্রাধান্য দিতেই হবে যা মানবিক আচরণ। কিছু সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যদি সবাই এক সমতায় তবে এখনো পিতার সম্পত্তি বণ্টনে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না কেন? বিশাল সমস্যা এখানেই রয়ে গ্যাছে। এই সমঅধিকারের প্রতিকার যতদিন না হবে বৈষম্যের ফাঁকটা রয়েই যাবে। এবং মেয়েদের উপর অত্যাচার কখনোই কমবে না।

পৃথিবীর কোন দেশে এই বৈষম্যতা নেই বলেই নারীরা অনেক সাহসে এবং সমতার অংশগ্রহণের নিশ্চিত থাকতে পারে।

আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। সমবণ্টন নিশ্চিত হোক। নারীর এগিয়ে যাওয়া আর রুদ্ধ হবে না।

আমি সব সময় মুগ্ধ হই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে। কী প্রাণবন্ত হয়ে নারীদের অগ্রগতিতে তিনি কতটা ভূমিকা রাখছেন! প্রতি মুহূর্তে তিনি চান মেয়েরা এগিয়ে আসুক সাহসী হোক। তিনি এ ব্যাপারেও কাজ করছেন শুনেছি। আশা করি অবশ্যই পিতার সম্পত্তিতে ছেলেমেয়ের সমঅধিকার হবে। কাজেকর্মে, শিক্ষায় সমাজ সংসার জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখুক সমতায়। সেজন্য সুযোগ সুবিধায় নারীদের সম্মানকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

সকল নারীদের জন্য শুভ কামনা; আত্মবিশ্বাসে পথ চলা সফল হোক।

ফাহমিদা নবী: সংগীত শিল্পী

;

‘নারীবাদী’ শব্দের উৎপত্তি এবং এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক



নারীশক্তি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নারীবাদী কিনা?’ প্রশ্নে পুরুষ কিংবা নারী- অনেককেই অপ্রস্তুত হতে দেখা যায়। কারো উত্তরে থাকে দ্বিধা। হাস্যকর হলেও সত্য, কেউ কেউ উত্তর দেয়,‘আমি নারীবাদী নই, তবে আমি সমতায় বিশ্বাসী।’ সমাজে অধিকাংশ মানুষের কাছে ‘নারীবাদী’ শব্দটার অর্থ সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। বর্তমান সমাজে মানুষ নারীদের সমান অধিকারের দাবীর কথা শুনে হাসে। কিছু মানুষের মতে, নারীরা বরং বেশিই পাচ্ছে। বর্তমান সমাজচিত্র দেখে অনেকে মনে করেন, নারীবাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বরফখণ্ড ভাসতে দেখে, পানির নিচে তার আকার বোঝা যায় না। নারীবাদী  শব্দের সূচনা যখন হয়েছিল, তখন সমাজের চিত্র একদম ভিন্ন ছিল।

নারীবাদ মানেই পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের মানসিকতা। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে-মানুষ হিসেবে নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার প্রাপ্য, সেই নারীবাদী। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান সময়ের অনেক নারীবাদীদের মধ্যে পুরুষ বিদ্বেষী ভাব ফুটে ওটে। এই আচরণ কোনোভাবেই নারীবাদী হওয়ার প্রমাণ নয়!    

উনবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবার ফেমিনিজম বা নারীবাদ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিল। ফ্রান্সের দার্শনিক চার্লস ফুরিয়ে ১৮৩৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন। এরপর ১৮৭২ সালে  ফ্রান্স এবং ১৮৯০ সালে নেদারল্যান্ডসে ফেমিনিজম এবং ফেমিনিস্ট শব্দ দু’টির ব্যবহার হয়। পরবর্তীতে যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়।

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা ভোটের অধিকার আদায়ে এবং নারী-পুরুষ সমান ক্ষমতায়নের আন্দোলন শুরু করে। এই  আন্দোলন হয়েছিল কারণ, কর্মক্ষেত্রে সম্মান এবং আয়ের দিকে নারীরা ছিল পুরুষদের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে।  সমান অধিকার ছিল না বলেই, তা ছিনিয়ে নিতে বার বার আন্দোলনে নামতে হয়েছে নারীদের ।

স্রষ্টা পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষ-কে পাঠিয়েছেন। অথচ বিবেক-বুদ্ধিবান মানব সমাজেই একপক্ষকে অপর পক্ষ থেকে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়েছে। ব্যাপারটা কেমন বেখাপ্পা নয় কি?

একটা সময় নারীদের নিজ ইচ্ছায় ঘর থেকে বের হওয়ার অধিকারও ছিল না। শিক্ষাগ্রহণ বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ছিল স্বপ্নাতীত। ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় স্বামীর মৃত্যু হলে, জীবিত নারীদের তাদের সাথে পুড়িয়ে মারা হতো। নারীর ইচ্ছা না থাকলেও পরিবারের সকলে মিলে তাকে এই নিয়ম মানতে বাধ্য করতো। সম্রাট আকবর তার রাজত্বকালে, নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। এছাড়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে চালু হয়ে বিধবা বিবাহ আইন। ১৮৫৬ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা নারীদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ছেলেকে এক বিধবা কন্যার সাথে বিয়ে দিয়ে।

তৎৎকালীন এই অসমতার চিত্র, ইউরোপের অনেক লেখকের কলমে ফুটে উঠেছিল প্রাচ্যের বর্বরতা হিসেবে। তারা নারীদের প্রতি আচরণের কারণে, প্রাচ্যকে অনুন্নত বিবেচনা করতো। অথচ পশ্চিমের আচরণ যে নারীদের প্রতি খুব সম্মানজনক ছিল, নাও কিন্তু নয়!

ইংল্যান্ডের বাজারে একসময় বউ বিক্রি হতো। নারীদের লাল লিপস্টিক দিয়ে সাজ ছিল নিষিদ্ধ। কেবল দেহ ব্যবসায়ী নারীরাই লাল লিপস্টিকের ব্যবহার স্বাধীনভাবে করতে পারতেন। ১৮০০ সালের দিকে ঝগড়া করার অপরাধে এক ইউরোপীয়ান তার স্ত্রীর মুখে বেড়ি পড়িয়ে রাস্তায় হাঁটিয়েছিলেন। এমনকি নারী আন্দোলন এবং জাগরণের শুরুই হয়েছিল খোদ পশ্চিমের দেশগুলোতেই।  

সব মানুষেই নিজের জীবন স্বাধীনভাবে কাটাতে চায়। কেউই  পরাধীন থাকতে চায়না বিধায়, কালের বিবর্তনে বিশ্বজুড়ে বার বার বিদ্রোহ এবং আন্দোলন হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েও লড়ে গেছে স্বাধীনতার জন্য। বর্তমান সমাজ নারীর প্রতি যথেষ্ট নমনীয় হলেও, শুরু থেকে এমনটা ছিল না। সেই কারণেই নারীরা আন্দোলন করে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।    

;

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক। তিনি ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। কিশোরগঞ্জের সমাজ প্রগতি ও জনসেবায় তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মরণোত্তর সম্মাননা পদক প্রদানকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবী নূরজাহান বেগমকে ১ম শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অষ্টবর্গ শাহ্ বাড়িতে নবনির্মিত নান্দনিক স্থাপত্য শাহ্ মাহ্তাব আলী কালচারাল কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।

পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের পক্ষে তাঁর বড় ছেলে, মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর, বার্তা২৪.কম এর অ্যাসোসিয়েট এডিটর ড. মাহফুজ পারভেজ পদক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘জীবনের ধ্রুবতারা: আমার মা নূরজাহান বেগম ও কিশোরগঞ্জের স্মৃতি’ শীর্ষক পাবলিক লেকচার প্রদান করেন।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ্ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তার। এতে পদক প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. গোলাম হোসেন।

এতে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সি‌নিয়র আইনজীবী বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা না‌সির উ‌দ্দিন ফারুকী, সিনিয়র আইনজীবী, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা পাব‌লিক লাই‌ব্রে‌রির সাধারণ সম্পাদক মু আ ল‌তিফ, সি‌নিয়র সাংবা‌দিক আলম সা‌রোয়ার টিটু, সহকারী অধ্যাপক মো. সেলিম, ফ্রন্টিয়ার্স রিপোর্টার্স সোসাইটির সভাপতি মিনহাজ শিহাব ফুয়াদ, সমাজকর্মী লুৎফু‌ন্নেছা চিনু প্রমুখ। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কিশোরগঞ্জের বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা. এ.এ. মাজহারুল হক ও সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক সমীক্ষাধর্মী মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন কীর্তির ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা ছাড়াও বিভিন্ন জনহিতকর ও সমাজসেবামূলক কাজ করছে।

এছাড়া সমাজসেবী নূরজাহান বেগম বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসাসহ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি এই মহীয়সী নারী পরলোকগমন করেন। তাঁর কর্ম ও স্মৃতিকে অম্লান রাখার জন্য শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন তাঁকে মরণোত্তর পদকে ভূষিত করেছে।

;

‘প্রতিবন্ধী নারীদের বাধা দূর করতে একসঙ্গে সাইরেন বাজাতে হবে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), অ্যারো ও সিএনএস এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা রোধ’ বিষয়ক একটি কর্মশালা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিআরইউ সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় বেলা ১১টায় ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

এ সময় তিনি বলেন, বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধী নারীরা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারসহ শীর্ষ পর্যায়ে নারী ক্ষমতায় থাকলেও নারীরা এখনও তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। এই নারীরাই যখন প্রতিবন্ধী হয় তখন তারা আরো নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হন।


নারীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না এমন মন্তব্য করে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, রাস্তাঘাটসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্ট থাকলেও মানুষের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবন্ধীদের নিয়েও পর্যাপ্ত পরিমানে প্রকল্প নেই। আমার মনে হয়, রাষ্ট্র একটা ভুল মডেলের দিকে যাচ্ছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে একসঙ্গে বাঁশি এবং সাইরেনটা বাজাতে হবে, আওয়াজ এক সঙ্গে করতে হবে।

এসময় তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে এ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একটি সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে সরকার, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ এগিয়ে আসলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

কর্মশালাটিতে প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ প্রকল্প সমন্বয় বিশেষজ্ঞ তুশিবা কাশেম মূল বিষয়ের উপরে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো: আল-আমিন, এসকে রেজা পারভেজ ও মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) উপস্থিত ছিলেন।

;