নারী হিসেবে সুবিধা নিয়ে নয়, সমতা আসবে লড়াইয়ে



শারমিন শামস্
অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

শারমিন শামস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় সাংবাদিকতা করেছেন দীর্ঘদিন। নারীবাদ তার লেখার ও অন্যান্য কাজের অন্যতম ক্ষেত্র। লিখছেন গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কলাম। সাথে শিশুতোষ বইও। নির্মাণ করেছেন কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র। প্রকাশিত হয়েছে নারীবাদ বিষয়ক কলাম সংকলন ‘অল দ্য বেস্ট পুরুষতন্ত্র’, গল্পগ্রন্থ ‘ভালোবাসা আর ভালো না বাসার গল্প’, ‘পাপ ও পারফিউম’, উপন্যাস ‘কয়েকজন বোকা মানুষ ও কাঠগোলাপের পৃথিবী’। তাঁর সম্পাদিত ও প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা ‘ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর’ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।


পশ্চিমে নারীবাদ চর্চার প্রায় চারশো বছর পেরুচ্ছে। চতুর্থ ওয়েভে নারীবাদ প্রবেশ করেছে সেও বছর ছয়/সাত হলো। বাংলাদেশে নারীবাদ চর্চা গুটি গুটি পায়ে এগুচ্ছে সে অর্থে। কাজের চেয়ে বাধা সামলানোই বড় কাজ হয়ে উঠছে। এদেশে যখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার কাজের প্রতি লোকের সহযোগিতার পরিবর্তে অসহযোগিতা ও প্রতিহিংসামূলক আচরণই বেশি—সেখানে নারীবাদ অবশ্যম্ভাবীরূপে প্রতিরোধ প্রতিশোধের মুখে পড়বে এতে অবাক হবার অবশ্য কিছু নেই।

কিন্তু তাই বলে, এদেশে নারীবাদ অচল অথর্ব গতিহীন নয়। পরিবর্তন আসছে। অন্তত আজ যে বক্তব্য রাখবার জন্য, যে দাবি তুলবার জন্য আপনারা নারীবাদীদের গাল পাড়ছেন, মাস কয়েক পর কি বছর পেরুলে সেই বক্তব্যেরই সত্যতা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। সেই একই দাবি একদিন আপামর জনতার মুখেও শোভা পাচ্ছে।

নারীবাদের লড়াই চিরকালই কঠিন। এই বঙ্গদেশে কঠিনতম।
নারী স্বাধীনতা, লিঙ্গ বৈষম্য ও সমঅধিকার নিয়ে কথা বলতে গেলে, আমি সবসময় একটা কথা বারবার বলি। সেটি হলো, এসব ইস্যুতে বরাবর একতরফাভাবে পুরুষকে দোষারোপ করাটা অর্থহীন। যে সিস্টেমের বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি, সেই পিতৃতন্ত্র পুরুষকে ক্ষমতাশালী করেছে, পুরুষকে করেছে নারীর মালিক। এ সবই পিতৃতান্ত্রিক সিস্টেমের চাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিতৃতন্ত্রের শোষণের শিকার নারী পুরুষ দুই পক্ষই। নারীবাদের লড়াই তাই পুরুষের বিরুদ্ধে নয়, একতরফাভাবে নারীর পক্ষেও নয়। নারীবাদের লড়াই পিতৃতান্ত্রিক সিস্টেমের বিরুদ্ধে, যে সিস্টেম লিঙ্গগত বৈষম্য জিইয়ে রেখে অসম পৃথিবী গড়ে তুলেছে, তার বিরুদ্ধে। নারীবাদের লড়াই সাম্যের লক্ষ্যে। কাউকে বেশি আর কাউকে কম দেবার জন্য নারীবাদ নয়। এখানে নারীরও সুবিধাভোগী হবার কোনো সুযোগ নেই।

ঠিক এই জায়গাটিতে এসে অনেক নারী অধিকারকর্মীর সাথে আমার মতদ্বৈততা হবে। অনেক নারীই আমাকে ভুল বুঝবেন। তাদের বিরুদ্ধ মতকেও আমি পূর্ণ সম্মান করি। তবু আমার বক্তব্য এখানে স্পষ্ট।

শুরুতেই বলেছি, পশ্চিমে নারীবাদের যাত্রা চারশো বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। ১৬ শতকে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজ তা নানা আঙ্গিকে নানা ফুল হয়ে ফুটছে। সে হিসেবে আমাদের দেশে নারীবাদ শিশুতুল্য। কিন্তু সময়টা তো কঠিন। আমাদের এই হাঁটি হাঁটি পায়ের দিন এই কঠিন সময়টিকে সত্যিকার অর্থেই যদি ধারণ করতে চায়, তবে এদেশে নারীবাদের সংঘবদ্ধ সুদৃঢ় একটি যাত্রা হিসেবে শুরু করে আদৌ কবে লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে, বলা কঠিন হবে।

তাহলে কিভাবে লড়াই করবে নারী? নারীবাদ?
আমি বলব, সমতার প্রশ্নে আপোষহীন এবং সুযোগপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতায় নিজেকে সামনে তুলে ধরার কাজটাই নারীকে করতে হবে। হ্যাঁ, জেন্ডার ব্যালান্সের প্রয়োজনে কোটা, সংরক্ষিত আসন ইত্যাদি তো বহু হলো। এবার বাকিটুকু বুঝে নিক নারী নিজে। নিজের সাহস, আত্মপ্রত্যয়, জিদ, আপোষহীন মনোভাব এবং শিক্ষাই নারীকে এই বুঝে নেবার কাজটুকু করতে শেখাক। কারণ সময় বড় কঠিন। সংরক্ষিত আসনের ঘেরাটোপে বসে, কোটার আদর বুঝে নিতে নিতে দিন হচ্ছে গত, আলস্যে। এদিকে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। কোথায় যাচ্ছে, সেটাও আমাদের ঠিকমত জানা নেই। আমরা লাভের গুড়টুকু মুখে নিয়ে সানন্দে চ্যাচাচ্ছি, ‘নারী অনেক এগিয়ে যাচ্ছে’—এই বুলি ছেড়ে।

পুরুষতান্ত্রিক সিস্টেমের একটি বড় কৌশল হলো, নারীকে নানা উপায়ে প্রতারিত করা। এর একটি হলো, নারীকে দেখানো যে সে আসলে আদরে, আবেশে, তুলোয় মুড়ে রাখা একটি সম্পত্তি (সম্পদ নয় কিন্তু)। এদিকে আদতে নারীর ঘাড়ে হাজার বোঝা। সবচেয়ে বড় বোঝাটির নাম দাসত্ব। সেই সাথে রয়ে গেছে পুরুষের ওপর ভীষণমাত্রায় নির্ভরশীলতা। এই দুই বোঝা নারীর ঘাড়ে চাপিয়ে পুরুষতন্ত্র নিশ্চিত থাকে, কারণ এই বোঝাটিই একসময় নারীর অভ্যস্ততায় পরিণত হয়।

আমার এক বন্ধু দাম্পত্য জীবনে ভীষণ অসুখী ছিল। তার হাসব্যান্ড তাকে শারীরিক মানসিক সব রকম নির্যাতন করত। বহু বছর নির্যাতন সইবার পর আমি তাকে তালাকের কথা ভাবতে বললাম। সে তখন আমাকে বলেছিল, ‘মারুক ধরুক, তবু ধর্ রাতের বেলায় বাচ্চার খাবার, ওষুধ লাগলে কিনে আনতেছে, শুক্রবারে বাজার করতেছে। এই ঝামেলা কে পোহাবে আলাদা হলে?’

বলাবাহুল্য আমার বন্ধুটি ভালো প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনে কাজ করত। তবু পুরুষের প্রতি অসুস্থ নির্ভরশীলতার অভ্যাস কাটাতে পারত না বলে দিনের পর দিন মার খাওয়াকেও সে মেনে নিয়েছিল।

নারীর এই অদ্ভুত মনঃস্তত্ত্ব, এই অভ্যস্ততা, এই দাসত্বের অভ্যাস আমাকে আতংকিত করে। এই শেকলের চেয়ে বড় শেকল আর কিছু হতে পারে না। যে শেকল নারী নিজেই পরে আছে নিজের অজান্তে। যা খুলে ফেললেই মুক্ত পৃথিবীর আলো হাওয়া গায়ে লাগবে। তবু মনের কোথায় কী ভয় তার মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকে, কোন সে দুশ্চিন্তায় সে শেকল খোলে না! পুরুষের পায়ে মাথা গুঁজে শিশুর মতো অবোধ সেজে থাকাতেই তার নারীজন্ম কাটে। মানুষ হওয়া আর হয় না।

বাসে নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করে না। এটা নারীকে দুর্বল হিসেবে প্রমাণ করে। অথচ নারী দুর্বল নয়। বরং নারী যখন পুরুষের পাশে দাঁড়িয়ে পুরোটা পথ যাত্রা করতে পারবে, তখন পুরুষের সাথে তার একই সক্ষমতার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

নারীর জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসন নারীকে সম্মানিত করে না। বিশেষ করে যখন তা নির্বাচন না হয়ে সিলেকশন হয়। নারী রাজনীতিবিদরা আলাদা কোনো প্রজাতি নয় যে তাকে আলাদা করে সংসদে জায়গা নিতে হবে। তাকেও পুরুষের সাথে সমান তালে লড়াই করে নিজের যোগ্যতায় জায়গা তৈরি করতে হবে। এখন সেটারই সময়। এটি ২০২০ সাল। রাজনৈতিক অধিকারের জন্য সেই সতের শতক থেকে পশ্চিমের নারী লড়েছে। কত যুদ্ধ, কত ত্যাগ আর কত আত্মাহুতি! ভোটাধিকার, রাজনৈতিক অধিকার—সবকিছু আদায় করেই ছেড়েছে তারা। আজ সেই ইতিহাসও প্রাচীন। এদিকে আমরা পড়ে আছি সংরক্ষিত আসনের আদর আহ্লাদ বুঝে নেবার আশায়! সত্যিই বড় দুর্ভাগা আমরা।

সংরক্ষিত আসন, কোটা ইত্যাদি নারীর প্রয়োজন নেই। বরং নারীর জন্য সুস্থ নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করুন যেন নারী ঘর থেকে নিরাপদে বাইরে যেতে পারে, সুশিক্ষা নিতে পারে। শিক্ষিত ও কাজের যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। শিক্ষা শেষে কর্মক্ষেত্রে যেতে পারে। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে। তাহলেই নারী হয়ে উঠবে উপযুক্ত। আর একজন উপযুক্ত মানুষকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তার অবস্থান সে নিজেই তৈরি করে নিতে পারে। নারীকে সেই সুযোগটি শুধুমাত্র দেওয়া হোক। ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, কুসংস্কারের ফাঁদে পড়ে নারীর শিক্ষাপ্রাপ্তি ও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণকে যদি রাষ্ট্র কঠিন করে রাখে, সমাজ যদি তাকে নিচু চোখে দেখে, তাহলে হাজার বছরেও এই সংরক্ষিত আসন আর কোটার ব্যবহার শেষ হবে না। সেই কোটা বা সংরক্ষিত আসন দিয়ে শত যুগেও ভারসাম্য অবস্থা আনা সম্ভব হবে না। নারী যে অন্ধকারে ছিল, সেই অন্ধকারেই রয়ে যাবে।

নারীকে নিজের শক্তিতে জ্বলে উঠতে হবে নিজেকেই। এজন্য আসলে কেউ তাকে সাহায্য করবে না। না সমাজ, না রাষ্ট্র। এমনকি পরিবারও। অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার যে অশালীন অভ্যস্ততা, সেই অভ্যস্ততা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে নারীকেই। মধ্যবিত্ত শিক্ষিত যেসব মেয়েরা ভালো স্বামীর আশায় দিনরাত সৌন্দর্য চর্চা করছেন, তাদের মনোযোগ ঘুরতে হবে নিজের ক্যারিয়ারের দিকে। অন্যের অর্থে নয়, নিজের রোজগারে চলবার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে তাদের। পিতৃতান্ত্রিক সিস্টেম যেসব অর্থহীন ডিভিশন অব লেবার তৈরি করে রেখেছে হাজার বছর ধরে, সেই চক্রটি ভাঙতে হবে নারীকেই। পুরুষকে দিয়ে কঠিন কাজ, বাইরের কাজগুলো করিয়ে নেবার মানসিকতা বদলাতে হবে। একই সাথে নিজের ঘরের পুরুষ সদস্যদের দিয়ে গেরস্থালীর কাজ করানোটাও একটি চ্যালেঞ্জ। পিতৃতন্ত্রে ক্ষমতাশালী পুরুষ কিন্তু এত সহজে ছাড়তে চাইবে না তার গদি। তাই গদি ধরে টান মারার কাজটা নারীরই। সেজন্য সবার আগে প্রস্তুত করতে হবে নিজেকে। শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে। শরীর ও মন—এই দুইয়েরই শক্তি সামর্থ্য চাই নারীর। নিজেকে শারীরিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তুলবার কাজটিও করতে হবে একইসাথে। মনে রাখতে হবে, শারীরিক শক্তিমত্তা সামাজিক বেড়ে ওঠার ফল। প্রাকৃতিক নয়। তাই নিজেকে জিরো ফিগার না বানিয়ে শক্ত সমর্থ মানুষের শরীর বানাবার বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।

নারীর সামনে অনেক কাজ। অনেক লড়াই। অর্জন এত সহজ নয়। ঊনিশ শতকে ব্রিটেনের নারীবাদী এমেলিন প্যাঙ্কহার্স্ট নারীর ভোটাধিকারের দাবিতে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছিলেন। একসময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করল। তিনি অনশন করলেন। পুলিশ হেফাজতে তাকে নাকে নল ঢুকিয়ে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা চালানো হতো। অবর্ণনীয় অত্যাচার সয়েছিলেন। পরে মুক্তি মিললেও শরীর ভেঙে পড়ে। মারা যান দ্রুত।

নারীবাদের ইতিহাসে এরকম অসংখ্য রক্তাত্ত লড়াইয়ের গল্প লেখা আছে। প্রাপ্য বুঝে নিতে লড়াই ছাড়া আর কীইবা উপায় আছে? সংগ্রামই সমতা আদায়ের একমাত্র পথ—এটি নারীকে বুঝতে হবে। আর সেই লড়াই, সেই সংগ্রামের উপযুক্ত যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে নিজেকে।

   

নারীরাই সমাজের স্থপতি



ফাহমিদা নবী
নারীরাই সমাজের স্থপতি

নারীরাই সমাজের স্থপতি

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর জাগরণে অনেক পিছিয়ে আছি বললে ভুল হবে। যদি বলি, তবে প্রযুক্তির যুগে এসে সে কথা বলার কোন মানে হয় না। নারীও তাঁর অধিকারে এগিয়ে যাচ্ছে সাহস এবং শক্তিশালী মানসিকতার বদৌলতে। কেন পিছিয়ে থাকবে?

১৯০৮ সালের শ্রম আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণাটি। বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া আমাদের নারীদের জাগরণের জন্য যখন পথ দেখালেন তখন থেকে অদ্যাবধি অবস্থানকে শক্ত এবং শক্তিশালী করবার দুর্নিবার পথ চলা কিন্তু থেমে নেই। তবুও আমরা আজো পিছিয়ে কেন? যে জাতি নারীদের সম্মান করতে পারে না, সে জাতির উন্নতি অসম্ভব।

নারীরাই সমাজের প্রকৃত স্থপতি। নারীকে চিন্তা চেতনার শর্তে জীবনযাপন করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হতে হবে। আমাদের দেশে আত্মসচেতনতার অভাব রয়েছে বলেই নারীদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে; সবসময় এবং বারংবার। নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাজসেবার সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের মেধা ও শ্রমশক্তিকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে হবে। আর তা করতে হলে সমাজ সম্পর্কে তাঁর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন।

নারী দিবস মানেই আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া সৃষ্টিতে-কৃষ্টিতে সমতায় সেরা নারী যেন কোনভাবেই ভেঙে না পড়ে।

আমার তো মনে হয় নারী ফিনিক্স পাখি! সে যেভাবে বারবার পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাড়ায়। নিজের কিশোরবেলা থেকে শুরু করে সংসার, বিয়ে, সন্তান থেকে পরিবার পুরো সমাজ সংসারে তার চলাচল ভীষণ ইতিবাচক। তাঁর তো সময় নেই নেতিবাচকতায় চোখ রাখবার! থাকুক যতই বাধা তার ধৈর্যের কমতি নাই। হাসিমুখে সব কিছুতে তাঁর অংশগ্রহণ এক বিস্ময়।

সত্যি বলতে কী নারী মানেই “মা”। তাই নারী সব কিছুরই উদাহরণ। মাকে কখনো কঠিন হতে হয়, কখনো কোমল, কখনো বা সংসার কৌশলী, বুদ্ধিমত্তায় পারদর্শী।

নারীদের বলতে চাই জীবনে সংগ্রাম থাকবেই কিন্তু পিছিয়ে পড়া যাবে না। এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কথা বলতে, না বলতে, সাহসে পথ চলতে শিখতে হবে। নিজেকে ভালোবাসতে হবে।

আমাদের দেশে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। শুধু সাহস আর মানবিকতা পথটাকে আরেকটু চিনে চলতে হবে। কারণ অমানবিকতা আনাচেকানাচে চিরকালই দেখি।

আরেকটা বিষয়কে প্রাধান্য দিতেই হবে যা মানবিক আচরণ। কিছু সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যদি সবাই এক সমতায় তবে এখনো পিতার সম্পত্তি বণ্টনে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না কেন? বিশাল সমস্যা এখানেই রয়ে গ্যাছে। এই সমঅধিকারের প্রতিকার যতদিন না হবে বৈষম্যের ফাঁকটা রয়েই যাবে। এবং মেয়েদের উপর অত্যাচার কখনোই কমবে না।

পৃথিবীর কোন দেশে এই বৈষম্যতা নেই বলেই নারীরা অনেক সাহসে এবং সমতার অংশগ্রহণের নিশ্চিত থাকতে পারে।

আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। সমবণ্টন নিশ্চিত হোক। নারীর এগিয়ে যাওয়া আর রুদ্ধ হবে না।

আমি সব সময় মুগ্ধ হই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে। কী প্রাণবন্ত হয়ে নারীদের অগ্রগতিতে তিনি কতটা ভূমিকা রাখছেন! প্রতি মুহূর্তে তিনি চান মেয়েরা এগিয়ে আসুক সাহসী হোক। তিনি এ ব্যাপারেও কাজ করছেন শুনেছি। আশা করি অবশ্যই পিতার সম্পত্তিতে ছেলেমেয়ের সমঅধিকার হবে। কাজেকর্মে, শিক্ষায় সমাজ সংসার জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখুক সমতায়। সেজন্য সুযোগ সুবিধায় নারীদের সম্মানকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

সকল নারীদের জন্য শুভ কামনা; আত্মবিশ্বাসে পথ চলা সফল হোক।

ফাহমিদা নবী: সংগীত শিল্পী

;

‘নারীবাদী’ শব্দের উৎপত্তি এবং এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক



নারীশক্তি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নারীবাদী কিনা?’ প্রশ্নে পুরুষ কিংবা নারী- অনেককেই অপ্রস্তুত হতে দেখা যায়। কারো উত্তরে থাকে দ্বিধা। হাস্যকর হলেও সত্য, কেউ কেউ উত্তর দেয়,‘আমি নারীবাদী নই, তবে আমি সমতায় বিশ্বাসী।’ সমাজে অধিকাংশ মানুষের কাছে ‘নারীবাদী’ শব্দটার অর্থ সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। বর্তমান সমাজে মানুষ নারীদের সমান অধিকারের দাবীর কথা শুনে হাসে। কিছু মানুষের মতে, নারীরা বরং বেশিই পাচ্ছে। বর্তমান সমাজচিত্র দেখে অনেকে মনে করেন, নারীবাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বরফখণ্ড ভাসতে দেখে, পানির নিচে তার আকার বোঝা যায় না। নারীবাদী  শব্দের সূচনা যখন হয়েছিল, তখন সমাজের চিত্র একদম ভিন্ন ছিল।

নারীবাদ মানেই পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের মানসিকতা। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে-মানুষ হিসেবে নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার প্রাপ্য, সেই নারীবাদী। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান সময়ের অনেক নারীবাদীদের মধ্যে পুরুষ বিদ্বেষী ভাব ফুটে ওটে। এই আচরণ কোনোভাবেই নারীবাদী হওয়ার প্রমাণ নয়!    

উনবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবার ফেমিনিজম বা নারীবাদ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিল। ফ্রান্সের দার্শনিক চার্লস ফুরিয়ে ১৮৩৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন। এরপর ১৮৭২ সালে  ফ্রান্স এবং ১৮৯০ সালে নেদারল্যান্ডসে ফেমিনিজম এবং ফেমিনিস্ট শব্দ দু’টির ব্যবহার হয়। পরবর্তীতে যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়।

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা ভোটের অধিকার আদায়ে এবং নারী-পুরুষ সমান ক্ষমতায়নের আন্দোলন শুরু করে। এই  আন্দোলন হয়েছিল কারণ, কর্মক্ষেত্রে সম্মান এবং আয়ের দিকে নারীরা ছিল পুরুষদের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে।  সমান অধিকার ছিল না বলেই, তা ছিনিয়ে নিতে বার বার আন্দোলনে নামতে হয়েছে নারীদের ।

স্রষ্টা পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষ-কে পাঠিয়েছেন। অথচ বিবেক-বুদ্ধিবান মানব সমাজেই একপক্ষকে অপর পক্ষ থেকে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়েছে। ব্যাপারটা কেমন বেখাপ্পা নয় কি?

একটা সময় নারীদের নিজ ইচ্ছায় ঘর থেকে বের হওয়ার অধিকারও ছিল না। শিক্ষাগ্রহণ বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ছিল স্বপ্নাতীত। ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় স্বামীর মৃত্যু হলে, জীবিত নারীদের তাদের সাথে পুড়িয়ে মারা হতো। নারীর ইচ্ছা না থাকলেও পরিবারের সকলে মিলে তাকে এই নিয়ম মানতে বাধ্য করতো। সম্রাট আকবর তার রাজত্বকালে, নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। এছাড়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে চালু হয়ে বিধবা বিবাহ আইন। ১৮৫৬ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা নারীদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ছেলেকে এক বিধবা কন্যার সাথে বিয়ে দিয়ে।

তৎৎকালীন এই অসমতার চিত্র, ইউরোপের অনেক লেখকের কলমে ফুটে উঠেছিল প্রাচ্যের বর্বরতা হিসেবে। তারা নারীদের প্রতি আচরণের কারণে, প্রাচ্যকে অনুন্নত বিবেচনা করতো। অথচ পশ্চিমের আচরণ যে নারীদের প্রতি খুব সম্মানজনক ছিল, নাও কিন্তু নয়!

ইংল্যান্ডের বাজারে একসময় বউ বিক্রি হতো। নারীদের লাল লিপস্টিক দিয়ে সাজ ছিল নিষিদ্ধ। কেবল দেহ ব্যবসায়ী নারীরাই লাল লিপস্টিকের ব্যবহার স্বাধীনভাবে করতে পারতেন। ১৮০০ সালের দিকে ঝগড়া করার অপরাধে এক ইউরোপীয়ান তার স্ত্রীর মুখে বেড়ি পড়িয়ে রাস্তায় হাঁটিয়েছিলেন। এমনকি নারী আন্দোলন এবং জাগরণের শুরুই হয়েছিল খোদ পশ্চিমের দেশগুলোতেই।  

সব মানুষেই নিজের জীবন স্বাধীনভাবে কাটাতে চায়। কেউই  পরাধীন থাকতে চায়না বিধায়, কালের বিবর্তনে বিশ্বজুড়ে বার বার বিদ্রোহ এবং আন্দোলন হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েও লড়ে গেছে স্বাধীনতার জন্য। বর্তমান সমাজ নারীর প্রতি যথেষ্ট নমনীয় হলেও, শুরু থেকে এমনটা ছিল না। সেই কারণেই নারীরা আন্দোলন করে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।    

;

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক। তিনি ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। কিশোরগঞ্জের সমাজ প্রগতি ও জনসেবায় তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মরণোত্তর সম্মাননা পদক প্রদানকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবী নূরজাহান বেগমকে ১ম শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অষ্টবর্গ শাহ্ বাড়িতে নবনির্মিত নান্দনিক স্থাপত্য শাহ্ মাহ্তাব আলী কালচারাল কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।

পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের পক্ষে তাঁর বড় ছেলে, মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর, বার্তা২৪.কম এর অ্যাসোসিয়েট এডিটর ড. মাহফুজ পারভেজ পদক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘জীবনের ধ্রুবতারা: আমার মা নূরজাহান বেগম ও কিশোরগঞ্জের স্মৃতি’ শীর্ষক পাবলিক লেকচার প্রদান করেন।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ্ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তার। এতে পদক প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. গোলাম হোসেন।

এতে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সি‌নিয়র আইনজীবী বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা না‌সির উ‌দ্দিন ফারুকী, সিনিয়র আইনজীবী, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা পাব‌লিক লাই‌ব্রে‌রির সাধারণ সম্পাদক মু আ ল‌তিফ, সি‌নিয়র সাংবা‌দিক আলম সা‌রোয়ার টিটু, সহকারী অধ্যাপক মো. সেলিম, ফ্রন্টিয়ার্স রিপোর্টার্স সোসাইটির সভাপতি মিনহাজ শিহাব ফুয়াদ, সমাজকর্মী লুৎফু‌ন্নেছা চিনু প্রমুখ। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কিশোরগঞ্জের বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা. এ.এ. মাজহারুল হক ও সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক সমীক্ষাধর্মী মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন কীর্তির ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা ছাড়াও বিভিন্ন জনহিতকর ও সমাজসেবামূলক কাজ করছে।

এছাড়া সমাজসেবী নূরজাহান বেগম বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসাসহ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি এই মহীয়সী নারী পরলোকগমন করেন। তাঁর কর্ম ও স্মৃতিকে অম্লান রাখার জন্য শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন তাঁকে মরণোত্তর পদকে ভূষিত করেছে।

;

‘প্রতিবন্ধী নারীদের বাধা দূর করতে একসঙ্গে সাইরেন বাজাতে হবে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), অ্যারো ও সিএনএস এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা রোধ’ বিষয়ক একটি কর্মশালা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিআরইউ সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় বেলা ১১টায় ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

এ সময় তিনি বলেন, বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধী নারীরা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারসহ শীর্ষ পর্যায়ে নারী ক্ষমতায় থাকলেও নারীরা এখনও তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। এই নারীরাই যখন প্রতিবন্ধী হয় তখন তারা আরো নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হন।


নারীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না এমন মন্তব্য করে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, রাস্তাঘাটসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্ট থাকলেও মানুষের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবন্ধীদের নিয়েও পর্যাপ্ত পরিমানে প্রকল্প নেই। আমার মনে হয়, রাষ্ট্র একটা ভুল মডেলের দিকে যাচ্ছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে একসঙ্গে বাঁশি এবং সাইরেনটা বাজাতে হবে, আওয়াজ এক সঙ্গে করতে হবে।

এসময় তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে এ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একটি সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে সরকার, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ এগিয়ে আসলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

কর্মশালাটিতে প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ প্রকল্প সমন্বয় বিশেষজ্ঞ তুশিবা কাশেম মূল বিষয়ের উপরে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো: আল-আমিন, এসকে রেজা পারভেজ ও মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) উপস্থিত ছিলেন।

;