নারীবাদ কেন প্রয়োজনীয়, নারীবাদী কারা



ক্যামেলিয়া আলম
অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ক্যামেলিয়া আলম বর্তমানে তেজগাঁও সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যপনার সাথে যুক্ত। থিয়েটার সেন্টারে কাজ করেছেন দীর্ঘ ৬ বছর। ‘কাহার’, ‘ইদারা’ ও শামুকবাস’ তার অভিনীত মঞ্চনাটক। বেশকিছু টিভি নাটক ও মীনা কার্টুন রিপ্যাকেজিং টিমে স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করেছেন। মাদ্রাসার বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলেমেয়েদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র ‘অমৃত সন্ধানী’ নির্মাণ করেছেন। 


কয়েক দশক থেকে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পর্যায়ক্রমিক ভ্রমণের পরে নারীবাদ কী বা এর মূল উদ্দেশ্য বুঝতে কারো সমস্যা হবার কথা না। কিন্তু তবু তা নিয়ে কতগুলো ভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। নারীবাদী নারী আসলে কী? তার স্বরূপ কেমন? কোন মাপকাঠিতে নারীকে বিশ্লেষণ করলে নারীর কাজ নারীবাদী হবে আর কোন ক্ষেত্রে অনারীবাদী হবে? নারীবাদী নারীর প্রতি এক শ্রেণীর পুরুষই নয়, নারীদের এক অংশেরও প্রচ্ছন্ন এক শ্লেষ কেন কাজ করে? বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ভাবছি। আর সেই উপলব্ধিকে সামান্য ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।

নারীবাদ নারীর ওপর সকল প্রকার বৈষম্য দূর করবার এক মতাদর্শ। এই বৈষম্য দূর হবে কী করে? ‘মানব জাতির অসমতার কারণ’ বলে জ্যঁ জাক রুশোর এক নিবন্ধ আছে। সেখানে বহু বিষয়ের মাঝে দুইটি বিষয় টেনে আনছি এ আলোচনায়। একটা হলো, প্রকৃতির জন্ম সত্তাকে যখনই আবিষ্কার করতে পারল মানুষ তখনই তা তাকে এক স্থায়ী জীবনে অভ্যস্ত করালো। আর এই স্থায়ী জীবনই কালক্রমে যূথবদ্ধ জীবন তথা পরিবারের জন্ম দিল। আর এই পরিবারকে ঘিরে যেমন মায়া, মমতা, ভালোবাসার সূত্রপাত হলো, তেমনই ঠিক সেই বিষয় থেকেই জন্ম নিল হিংসা, বিদ্বেষ আর দ্বন্দ্ব। পরবর্তীতে যূথবদ্ধ জীবন তাদের দিল প্রকৃতির সাথে একা লড়াই করে চলবার সংকট থেকে মুক্তি, দিল অখণ্ড অবসর। অবসর জন্ম দিল শিল্প, সংস্কৃতি। মানুষের মাঝে জন্ম নিল মান যাচাইয়ের ক্ষমতা। সবচেয়ে সুন্দর বা কৌশলী বা সবল—কিংবা ভালো বক্তা যখনই চিহ্নিত হওয়া শুরু হলো বা অন্তত নিজেকে অন্যের চাইতে ব্যতিক্রম ভাবা শুরু করল তখন থেকেই জন্ম নিল অসমতার প্রথম ধাপ।

রুশোর সামাজিক চুক্তি বইয়ের এই নিবন্ধের এই কথাগুলো কতটা সত্য তার কোনো বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা নাই। তবে বিষয়বস্তুর সাথে একমত না হয়ে পারা যায় না। মানুষের মাঝে বৈষম্য কেন সৃষ্টি হবে? যদি নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাববার মানসিকতা তাদের মাঝে না থাকবে। আর এই শ্রেষ্ঠ ভাবনাটাই তাকে নিঃসন্দেহে উদারতাবোধের জায়গা থেকে দূরে নিয়ে আসে। আধিপত্যের বিস্তার তখনই শুরু হয় যখন থেকে কর্তা হিসেবে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখবার মননশীলতা গড়ে ওঠে।

আজ নারীকে নিয়ে বৈষম্যের মাত্রা চূড়ান্ত না হলে তা থেকে পরিত্রাণের চেষ্টা চলত না বা তেমন ভাবাদর্শের জন্মও হতো না। এখন আরেকটা প্রশ্নও প্রচুর শোনা যাচ্ছে যে, মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠিত হলেই নারীর ওপর বৈষম্য আপনা-আপনি দূর হবে আর সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে। তাদের জন্য একটা উত্তর যে, মতামত ঠিক আছে, কিন্তু বাস্তবতায় মানবতাবাদের পর্যায়ে নারীর অবস্থানই এখন আর নাই। কারণ মানবতাবাদের মূল কথা মানুষ সব সমান অধিকার পাবে। এই সমঅধিকারের জায়গাতে নারীদের এখনো পৌঁছানো হয়নি। এর কারণ নারীর মেধা, বুদ্ধির অভাব নয়, দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা সামাজিক সাংস্কৃতিক মানসিক গঠন। সামাজিক কাঠামোর নানা বেড়াজাল। আর নারী যেহেতু তাকে সনাক্ত করতে পেরেছে, তা সমাধানের চেষ্টা তো তারই করতে হবে। ফলে কেবল মানবতাবাদের প্রতিষ্ঠার লড়াই দিয়ে নারীর দীর্ঘদিনের শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তি মিলবে না। আর নারীর কিছু ব্যতিক্রম ইস্যু আছে যা সমঅধিকার দিয়ে প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। প্রজননকালীন দুর্বলতা বা ঋতূকালীন সময়ে নারীর জন্য যা প্রয়োজন সেই প্রয়োজনীয়তা একজন পুরুষের নেই। সন্তান লালন পালনে পুরুষের ভূমিকা থাকলেও সন্তান ধারণে পুরুষের থাকে না ভূমিকা।

আরেকটি বিষয় নারীর শারীরিক গঠন। বায়োলজিক্যালি তাকে শোষণ বা নিপীড়ন করবার যৌনাঙ্গ পুরুষের চেয়ে ব্যতিক্রম। ফলে পুরুষের চাইতে নারীর ওপর যৌণ নিপীড়ন এমন এক ইস্যু যে তা প্রতিরোধে স্বতন্ত্র পরিস্থিতিরই জন্ম দিতে হয়। হ্যাঁ, অনেক ছেলে শিশুও এবিউজের শিকার হয়, কিন্তু তার থাকে একটা নির্দিষ্ট বয়স সীমা। নারীদের মতন দুই মাস থেকে পঞ্চাশোর্ধ অবধি না। ফলে এই অবস্থা থেকে নারীর অধিকারকে আলাদা করতে হয়। এছাড়াও নানা বিবিধ বিষয় তো আছেই। নারীবাদ তাই ততদিন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয় যতদিন পর্যন্ত নারী পুরুষের অবস্থানের পরিবর্তন না আসবে।
নারীবাদ নয়, কেবল মানবতাবাদের পক্ষে যারা সাফাই গাইছে। তারা নিজেরাও কী মানবিক? তারা কেউ জ্ঞান, কেউ শৌর্য বা কেউ বীর্যের প্রতীকী ক্ষমতায়ন দেখাবার চেষ্টা কি করেন না নানা ছলে? সমঅধিকারের সংজ্ঞা তাদের কাছে আমরা খালি গায়ে থাকি, তোমরাও থাকো? নাকি মানুষের বিচিত্রতাকে গ্রহণ করে প্রত্যেককে স্বতন্ত্র সমাধান বিস্তারের লড়াইয়ে নামা। আমরা বহু মানুষকে এক জায়গায় করলে সেখানে প্রায় একই মানের মানুষ পাই, ব্যতিক্রম খুব একটা থাকে না। কিন্তু এরপরেও নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাববার মানসিক গঠনই আমাদের মাঝে অসমতার বীজ বপন করে। আমরা অংশগ্রহণমূলক জীবন ভুলে হয়ে পড়ি প্রতিপক্ষ। আর তা-ই আমাদের অসুস্থ সমাজের মূল কারণ।

এবার প্রশ্ন হলো, নারীবাদী কারা? কোন মাপকাঠিতে ফেলে একজন নারীকে বলা হয় তিনি নারীবাদী আর তিনি নারীবাদী নয়? নারীবাদের মূল উদ্দেশ্য নারীর ওপর সকল প্রকার বৈষম্যের মুক্তি। আবার নারীবাদ মানবতার কথাও বলে। সেক্ষেত্রে নারীর প্রথম লড়াই বৈষম্যের দেয়াল ভাঙা। সেই দেয়াল আছে প্রথা, ধর্ম, আইনের নানা নীতি মত পথ দিয়ে। সেই পথ ভাঙবার জন্য নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া আর কোনো পথ আছে কিনা আমার জানা নাই।

তবে আরেক শ্রেণিও সমাজে টিকে আছে, যারা পরিবারের নানা নিপীড়ন সয়েও নিজ সন্তানকে একনিষ্ঠভাবে মানুষ গড়ার কাজ নিভৃতে করে যাচ্ছে, স্বামীর সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবার পরেও সন্তানের দায়ভার নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে না, স্বামীর মৃত্যুর পরে সন্তানদের প্রাণপণে মানুষ করছে, অসুস্থ জনের সেবা করতে গিয়ে নিজের সুখ বিসর্জন দিচ্ছে, স্বামী বা বাবার সম্পত্তি আদায়ে লড়াইয়ে নামছে, সারাদিনের ক্লান্তিকর কাজের যোগান সংসারে অবলীলায় ছেড়ে দিচ্ছে, স্বামী বা সন্তানের প্রতিষ্ঠায় একনিষ্ঠভাবে ভূমিকা পালন করছে। এই তারা কি নারীবাদীর সংজ্ঞায় পড়বে কিনা! আমার ধারণা পড়বে। কারণ আমি ততক্ষণই তাকে নারীবাদী বলতে চাই যতক্ষণ সে কোনো আধিপত্যবাদী মানসিকতার মধ্যে অবস্থান নেবে।

তাহলে অনারীবাদী কারা? যে শব্দটা আমি নিজেও ব্যবহার করি। অনারীবাদী আমার দেখা তারাই যারা যে কোনো কর্তৃত্ববাদীর পাশে নিজের অবস্থান রাখার মধ্য দিয়ে সেই সব নারীদের অপমান করে যারা নারীর ওপর অত্যাচার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। আধিপত্যবাদীর প্রতিটি কাজে প্রচ্ছন্ন সহায়তা করে (বউ হিসেবে বা ছেলের মা হিসেবে বা কর্তৃত্ববাদী ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের আজ্ঞাবাহক হয়ে), রক্ষণশীলতা দিয়ে পুরুষের গড়া সিস্টেমের ছায়াতলে নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেয়। পুরুষদেরও একটা কথা মাথায় রাখা উচিত যে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন দিয়ে তারা যে সমস্ত নারীদের লালন পালন করে তা তার জন্য ভারবাহী এক বস্তু। বরং অংশগ্রহণমূলক সমাজে তার একক দায়ভারের সামাজিক মনঃস্তত্ত্ব আর থাকবে না।

ইদানীং আরেক কথা শুনছি, আপনার মেয়েকে তার বরের খাওয়া পরা যোগাড় করতে পারার মানসিক শিক্ষা দিন, তাই বা কেন হবে? একটা সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার গড়ায় সকলের ভূমিকাই থাকবে। সমাজ হবে সমন্বয়ের, অংশীদারত্বের। একে অপরের ভার হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করবার চাইতে যার যা ক্ষমতা আছে তা দিয়ে অংশগ্রহণ করানো অনেক বেশি উপযোগী। একজন নারী পিতা বা স্বামীর সম্পত্তির ভাগ পাওয়ার চাইতে একটা নির্দিষ্ট সিস্টেমে উত্তরাধিকারী হোক, দেনমোহর বা কনে পণের মতো বিষয় থেকে নারীরা নিজেকে গুটিয়ে নিক। নিজের দুই পা, দুই হাত আর মাথার ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াক, নারী হিসেব তার শারীরিক যতটা সহযোগিতা পাওয়া উচিত রাষ্ট্র তাকে দিক, শারীরিক কাজ ছাড়াও বৌদ্ধিক বহু কাজের ক্ষেত্র আছে যেখানে নারীর অবস্থান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে তারা সফলতার সাথে করতে সক্ষম হয়েছে। এই ক্ষেত্র আরো বাড়াক রাষ্ট্র। কল্যাণমূলক রাষ্ট্রই যদি আমরা চাই, তাহলে এর কোনো বিকল্প কি আছে? আর নারীবাদ তো সেই রকম এক রাষ্ট্রগঠনের কথাই বলছে। নারীকে ‘অপর’ ভাবা হয়েছে বলেই এই আদর্শের জন্ম হয়েছে। যখন ‘সেল্ফ’ ভাবা হবে তখন আপনা থেকেই ইজমের আগে অন্য কোনো শব্দ বসে যাবে।

   

নারীরাই সমাজের স্থপতি



ফাহমিদা নবী
নারীরাই সমাজের স্থপতি

নারীরাই সমাজের স্থপতি

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর জাগরণে অনেক পিছিয়ে আছি বললে ভুল হবে। যদি বলি, তবে প্রযুক্তির যুগে এসে সে কথা বলার কোন মানে হয় না। নারীও তাঁর অধিকারে এগিয়ে যাচ্ছে সাহস এবং শক্তিশালী মানসিকতার বদৌলতে। কেন পিছিয়ে থাকবে?

১৯০৮ সালের শ্রম আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণাটি। বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া আমাদের নারীদের জাগরণের জন্য যখন পথ দেখালেন তখন থেকে অদ্যাবধি অবস্থানকে শক্ত এবং শক্তিশালী করবার দুর্নিবার পথ চলা কিন্তু থেমে নেই। তবুও আমরা আজো পিছিয়ে কেন? যে জাতি নারীদের সম্মান করতে পারে না, সে জাতির উন্নতি অসম্ভব।

নারীরাই সমাজের প্রকৃত স্থপতি। নারীকে চিন্তা চেতনার শর্তে জীবনযাপন করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হতে হবে। আমাদের দেশে আত্মসচেতনতার অভাব রয়েছে বলেই নারীদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে; সবসময় এবং বারংবার। নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাজসেবার সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের মেধা ও শ্রমশক্তিকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে হবে। আর তা করতে হলে সমাজ সম্পর্কে তাঁর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন।

নারী দিবস মানেই আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া সৃষ্টিতে-কৃষ্টিতে সমতায় সেরা নারী যেন কোনভাবেই ভেঙে না পড়ে।

আমার তো মনে হয় নারী ফিনিক্স পাখি! সে যেভাবে বারবার পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাড়ায়। নিজের কিশোরবেলা থেকে শুরু করে সংসার, বিয়ে, সন্তান থেকে পরিবার পুরো সমাজ সংসারে তার চলাচল ভীষণ ইতিবাচক। তাঁর তো সময় নেই নেতিবাচকতায় চোখ রাখবার! থাকুক যতই বাধা তার ধৈর্যের কমতি নাই। হাসিমুখে সব কিছুতে তাঁর অংশগ্রহণ এক বিস্ময়।

সত্যি বলতে কী নারী মানেই “মা”। তাই নারী সব কিছুরই উদাহরণ। মাকে কখনো কঠিন হতে হয়, কখনো কোমল, কখনো বা সংসার কৌশলী, বুদ্ধিমত্তায় পারদর্শী।

নারীদের বলতে চাই জীবনে সংগ্রাম থাকবেই কিন্তু পিছিয়ে পড়া যাবে না। এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কথা বলতে, না বলতে, সাহসে পথ চলতে শিখতে হবে। নিজেকে ভালোবাসতে হবে।

আমাদের দেশে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। শুধু সাহস আর মানবিকতা পথটাকে আরেকটু চিনে চলতে হবে। কারণ অমানবিকতা আনাচেকানাচে চিরকালই দেখি।

আরেকটা বিষয়কে প্রাধান্য দিতেই হবে যা মানবিক আচরণ। কিছু সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যদি সবাই এক সমতায় তবে এখনো পিতার সম্পত্তি বণ্টনে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না কেন? বিশাল সমস্যা এখানেই রয়ে গ্যাছে। এই সমঅধিকারের প্রতিকার যতদিন না হবে বৈষম্যের ফাঁকটা রয়েই যাবে। এবং মেয়েদের উপর অত্যাচার কখনোই কমবে না।

পৃথিবীর কোন দেশে এই বৈষম্যতা নেই বলেই নারীরা অনেক সাহসে এবং সমতার অংশগ্রহণের নিশ্চিত থাকতে পারে।

আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। সমবণ্টন নিশ্চিত হোক। নারীর এগিয়ে যাওয়া আর রুদ্ধ হবে না।

আমি সব সময় মুগ্ধ হই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে। কী প্রাণবন্ত হয়ে নারীদের অগ্রগতিতে তিনি কতটা ভূমিকা রাখছেন! প্রতি মুহূর্তে তিনি চান মেয়েরা এগিয়ে আসুক সাহসী হোক। তিনি এ ব্যাপারেও কাজ করছেন শুনেছি। আশা করি অবশ্যই পিতার সম্পত্তিতে ছেলেমেয়ের সমঅধিকার হবে। কাজেকর্মে, শিক্ষায় সমাজ সংসার জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখুক সমতায়। সেজন্য সুযোগ সুবিধায় নারীদের সম্মানকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

সকল নারীদের জন্য শুভ কামনা; আত্মবিশ্বাসে পথ চলা সফল হোক।

ফাহমিদা নবী: সংগীত শিল্পী

;

‘নারীবাদী’ শব্দের উৎপত্তি এবং এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক



নারীশক্তি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নারীবাদী কিনা?’ প্রশ্নে পুরুষ কিংবা নারী- অনেককেই অপ্রস্তুত হতে দেখা যায়। কারো উত্তরে থাকে দ্বিধা। হাস্যকর হলেও সত্য, কেউ কেউ উত্তর দেয়,‘আমি নারীবাদী নই, তবে আমি সমতায় বিশ্বাসী।’ সমাজে অধিকাংশ মানুষের কাছে ‘নারীবাদী’ শব্দটার অর্থ সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। বর্তমান সমাজে মানুষ নারীদের সমান অধিকারের দাবীর কথা শুনে হাসে। কিছু মানুষের মতে, নারীরা বরং বেশিই পাচ্ছে। বর্তমান সমাজচিত্র দেখে অনেকে মনে করেন, নারীবাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বরফখণ্ড ভাসতে দেখে, পানির নিচে তার আকার বোঝা যায় না। নারীবাদী  শব্দের সূচনা যখন হয়েছিল, তখন সমাজের চিত্র একদম ভিন্ন ছিল।

নারীবাদ মানেই পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের মানসিকতা। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে-মানুষ হিসেবে নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার প্রাপ্য, সেই নারীবাদী। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান সময়ের অনেক নারীবাদীদের মধ্যে পুরুষ বিদ্বেষী ভাব ফুটে ওটে। এই আচরণ কোনোভাবেই নারীবাদী হওয়ার প্রমাণ নয়!    

উনবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবার ফেমিনিজম বা নারীবাদ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিল। ফ্রান্সের দার্শনিক চার্লস ফুরিয়ে ১৮৩৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন। এরপর ১৮৭২ সালে  ফ্রান্স এবং ১৮৯০ সালে নেদারল্যান্ডসে ফেমিনিজম এবং ফেমিনিস্ট শব্দ দু’টির ব্যবহার হয়। পরবর্তীতে যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়।

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা ভোটের অধিকার আদায়ে এবং নারী-পুরুষ সমান ক্ষমতায়নের আন্দোলন শুরু করে। এই  আন্দোলন হয়েছিল কারণ, কর্মক্ষেত্রে সম্মান এবং আয়ের দিকে নারীরা ছিল পুরুষদের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে।  সমান অধিকার ছিল না বলেই, তা ছিনিয়ে নিতে বার বার আন্দোলনে নামতে হয়েছে নারীদের ।

স্রষ্টা পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষ-কে পাঠিয়েছেন। অথচ বিবেক-বুদ্ধিবান মানব সমাজেই একপক্ষকে অপর পক্ষ থেকে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়েছে। ব্যাপারটা কেমন বেখাপ্পা নয় কি?

একটা সময় নারীদের নিজ ইচ্ছায় ঘর থেকে বের হওয়ার অধিকারও ছিল না। শিক্ষাগ্রহণ বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ছিল স্বপ্নাতীত। ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় স্বামীর মৃত্যু হলে, জীবিত নারীদের তাদের সাথে পুড়িয়ে মারা হতো। নারীর ইচ্ছা না থাকলেও পরিবারের সকলে মিলে তাকে এই নিয়ম মানতে বাধ্য করতো। সম্রাট আকবর তার রাজত্বকালে, নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। এছাড়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে চালু হয়ে বিধবা বিবাহ আইন। ১৮৫৬ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা নারীদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ছেলেকে এক বিধবা কন্যার সাথে বিয়ে দিয়ে।

তৎৎকালীন এই অসমতার চিত্র, ইউরোপের অনেক লেখকের কলমে ফুটে উঠেছিল প্রাচ্যের বর্বরতা হিসেবে। তারা নারীদের প্রতি আচরণের কারণে, প্রাচ্যকে অনুন্নত বিবেচনা করতো। অথচ পশ্চিমের আচরণ যে নারীদের প্রতি খুব সম্মানজনক ছিল, নাও কিন্তু নয়!

ইংল্যান্ডের বাজারে একসময় বউ বিক্রি হতো। নারীদের লাল লিপস্টিক দিয়ে সাজ ছিল নিষিদ্ধ। কেবল দেহ ব্যবসায়ী নারীরাই লাল লিপস্টিকের ব্যবহার স্বাধীনভাবে করতে পারতেন। ১৮০০ সালের দিকে ঝগড়া করার অপরাধে এক ইউরোপীয়ান তার স্ত্রীর মুখে বেড়ি পড়িয়ে রাস্তায় হাঁটিয়েছিলেন। এমনকি নারী আন্দোলন এবং জাগরণের শুরুই হয়েছিল খোদ পশ্চিমের দেশগুলোতেই।  

সব মানুষেই নিজের জীবন স্বাধীনভাবে কাটাতে চায়। কেউই  পরাধীন থাকতে চায়না বিধায়, কালের বিবর্তনে বিশ্বজুড়ে বার বার বিদ্রোহ এবং আন্দোলন হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েও লড়ে গেছে স্বাধীনতার জন্য। বর্তমান সমাজ নারীর প্রতি যথেষ্ট নমনীয় হলেও, শুরু থেকে এমনটা ছিল না। সেই কারণেই নারীরা আন্দোলন করে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।    

;

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক। তিনি ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। কিশোরগঞ্জের সমাজ প্রগতি ও জনসেবায় তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মরণোত্তর সম্মাননা পদক প্রদানকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবী নূরজাহান বেগমকে ১ম শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অষ্টবর্গ শাহ্ বাড়িতে নবনির্মিত নান্দনিক স্থাপত্য শাহ্ মাহ্তাব আলী কালচারাল কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।

পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের পক্ষে তাঁর বড় ছেলে, মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর, বার্তা২৪.কম এর অ্যাসোসিয়েট এডিটর ড. মাহফুজ পারভেজ পদক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘জীবনের ধ্রুবতারা: আমার মা নূরজাহান বেগম ও কিশোরগঞ্জের স্মৃতি’ শীর্ষক পাবলিক লেকচার প্রদান করেন।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ্ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তার। এতে পদক প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. গোলাম হোসেন।

এতে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সি‌নিয়র আইনজীবী বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা না‌সির উ‌দ্দিন ফারুকী, সিনিয়র আইনজীবী, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা পাব‌লিক লাই‌ব্রে‌রির সাধারণ সম্পাদক মু আ ল‌তিফ, সি‌নিয়র সাংবা‌দিক আলম সা‌রোয়ার টিটু, সহকারী অধ্যাপক মো. সেলিম, ফ্রন্টিয়ার্স রিপোর্টার্স সোসাইটির সভাপতি মিনহাজ শিহাব ফুয়াদ, সমাজকর্মী লুৎফু‌ন্নেছা চিনু প্রমুখ। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কিশোরগঞ্জের বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা. এ.এ. মাজহারুল হক ও সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক সমীক্ষাধর্মী মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন কীর্তির ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা ছাড়াও বিভিন্ন জনহিতকর ও সমাজসেবামূলক কাজ করছে।

এছাড়া সমাজসেবী নূরজাহান বেগম বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসাসহ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি এই মহীয়সী নারী পরলোকগমন করেন। তাঁর কর্ম ও স্মৃতিকে অম্লান রাখার জন্য শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন তাঁকে মরণোত্তর পদকে ভূষিত করেছে।

;

‘প্রতিবন্ধী নারীদের বাধা দূর করতে একসঙ্গে সাইরেন বাজাতে হবে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), অ্যারো ও সিএনএস এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা রোধ’ বিষয়ক একটি কর্মশালা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিআরইউ সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় বেলা ১১টায় ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

এ সময় তিনি বলেন, বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধী নারীরা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারসহ শীর্ষ পর্যায়ে নারী ক্ষমতায় থাকলেও নারীরা এখনও তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। এই নারীরাই যখন প্রতিবন্ধী হয় তখন তারা আরো নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হন।


নারীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না এমন মন্তব্য করে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, রাস্তাঘাটসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্ট থাকলেও মানুষের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবন্ধীদের নিয়েও পর্যাপ্ত পরিমানে প্রকল্প নেই। আমার মনে হয়, রাষ্ট্র একটা ভুল মডেলের দিকে যাচ্ছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে একসঙ্গে বাঁশি এবং সাইরেনটা বাজাতে হবে, আওয়াজ এক সঙ্গে করতে হবে।

এসময় তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে এ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একটি সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে সরকার, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ এগিয়ে আসলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

কর্মশালাটিতে প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ প্রকল্প সমন্বয় বিশেষজ্ঞ তুশিবা কাশেম মূল বিষয়ের উপরে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো: আল-আমিন, এসকে রেজা পারভেজ ও মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) উপস্থিত ছিলেন।

;