ফরাসি নবতরঙ্গের প্রধান চরিত্র

আনিয়েস ভারদার সর্বশেষ সাক্ষাৎকার



ভাষান্তর: জুয়েইরিযাহ মউ
অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্ণাঢ্য সৃজনশীল ও নিরীক্ষাধর্মী এক স্রষ্ঠার নাম আনিয়েস ভারদা (Agnes Varda)। বেলজিয়াম বংশোদ্ভূত এই ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা শুরুর দিকে হতে চেয়েছিলেন জাদুঘরের কিউরেটর। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আলোকচিত্র নিয়ে পঠন পাঠনের ফলে হয়ে এ মাধ্যমেই কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ২৬ বছর বয়সে যোগ দেন চলচ্চিত্র নির্মাণে। হয়ে ওঠেন ফরাসি নব তরঙ্গের প্রধান চরিত্র। বিভিন্ন পরীক্ষণমূলক কৌশল অবলম্বন করে প্রামাণ্য বাস্তবতাবাদ, নারীবাদী বিষয়াবলিসহ সামাজিক অন্যান্য বিষয়গুলো চলচ্চিত্রে তুলে ধরেন দক্ষতার সাথে। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল নিবিড়। কান চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বশেষ আসরে অফিশিয়াল পোস্টার করা হয় তাঁর একটি ছবি দিয়ে।
মৃত্যুর আগে গুণী এই নির্মাতা ‘দ্য গার্ডিয়ান’কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। যেখানে চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর আবেগ, আত্মবিশ্বাস আর যাপন নিয়ে দৃঢ়তার কথা ফুটে ওঠে। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অউন মায়ারকে দেওয়া তাঁর সর্বশেষ সাক্ষাৎকারটি ভাষান্তর করেছেন জুয়েইরিযাহ মউ


দ্য গার্ডিয়ান: আপনার শৈশবের সবচেয়ে দারুণ স্মৃতি কোনটি?
আনিয়েস ভারদা: আমার মা-বাবা আমার নাম রেখেছিলেন আরলেতে। আমি সেটা বদলে আনিয়েস রাখি ছোটবেলাতেই। আমি নামটা পছন্দ করতাম না, কারণ এমন কোনো নামই আমার পছন্দ হতো না যেটার সাথে ‘এতে’ আছে, কেমন বাচ্চামেয়েদের নাম মনে হতো। লাফ-ঝাঁপ দিচ্ছে এরকম। এরকম বাচ্চা-বাচ্চা থাকতে আমি কখনোই পছন্দ করতাম না, সেজন্য আমি ‘আনিয়েস’ নাম রাখলাম।

দ্য গার্ডিয়ান: ১৯৫০ থেকেই আপনি একই বাসায় ছিলেন। বাসাটা নিয়ে কিছু বলুন।
আনিয়েস ভারদা: যখন এলাম, অতোটা আরামদায়ক জায়গা ছিল না বাসাটা। অপরিষ্কার ছিল, শাওয়ার পর্যন্ত ছিল না, ভাবো! আস্তে আস্তে জায়গাটাকে বদলে নিলাম আমি। যখন জ্যাক [জ্যাক দ্যমি, ভারদার দাম্পত্য সঙ্গী] আমার সাথে থাকতে এলো, আমরা দুজনে মিলে আরো সুন্দর করে তুললাম বাসাটাকে। এখন তো একটা ছোট্ট বাগানও আছে, তিনটা বিড়াল আছে আমার। স্বর্গের মতোন অনেকটা!

দ্য গার্ডিয়ান: আপনার কাজকে অনুপ্রেরণা যোগায় কোন জিনিসটা?
আনিয়েস ভারদা: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবতা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। অনেক চলচ্চিত্র আমি নির্মাণ করেছি সাধারণ মানুষজনকে নিয়ে। আমার প্রথম চলচ্চিত্র ‘লা পোয়্যাঁত কুর্ত’ (La Pointe Courte) নির্মাণের সময় জেলেদের সাথে মিশেছি। আর ‘দ্য গ্লিনার্স এন্ড আই’ (The Gleaners and I) যখন নির্মাণ করি তখন আমার উদ্দ্যেশ্যই ছিল সমাজের নোংরা দিক তুলে ধরা। এক চরম নোংরামি!

দ্য গার্ডিয়ান: ‘দ্য গ্লিনার্স এন্ড আই’ সেসময় থেকে অনেকখানি অগ্রসর একটা ভাবনা ছিল।
আনিয়েস ভারদা: ধরতে চেষ্টা করেছিলাম, ফরাসি ভাষায় যাকে বলে ‘সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে’। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে অনেক যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে আমি যেতে ভালোবাসি। জানি না শুনেছো কিনা, নিজের ফিল্মের প্রিন্টগুলো জমিয়ে এক স্তূপ বানিয়ে ফেলেছিলাম আমি। শেষ নির্মিত চলচ্চিত্রটা ছিল ‘Le Bonheur’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে।

দ্য গার্ডিয়ান: ‘ফরাসি নিউ ওয়েভের’ অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত হতে কেমন লাগে?
আনিয়েস ভারদা: “The grandmother of the New Wave!”—কথাটাকে আমার হাস্যকর মনে হয় কারণ আমি ত্রিশ বছর বয়সী ছিলাম। ত্রুফো ‘ফোর হান্ড্রেড ব্লোজ’ নির্মাণ করলেন, গদার ‘ব্রেথলেস’ বানালেন। কিন্তু আমি পাঁচ বছর আগেই (১৯৫৫-তে) কাজটা করে ফেলেছিলাম আমার প্রথম চলচ্চিত্র ‘লা পোয়্যাঁত কুর্ত’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে। আমার বয়স যখন কম তখনই আমি দেখছিলাম লেখকেরা লেখালেখির নতুন ফর্ম, নতুন ভাষা নিয়ে কাজ করছে, এই যেমন—জেমস জয়েস, হেমিংওয়ে, ফকনার। আর আমি ভাবছিলাম সিনেমার নতুন স্ট্রাকচার খুঁজে বের করতে হবে। সারা জীবনই আমি সেটাই খুঁজে গেলাম।

দ্য গার্ডিয়ান: নারীদের গল্প কিংবা নারীদের নিয়ে গল্প বলাটা কি গুরুত্বপূর্ণ ছিল আপনার জন্য?
আনিয়েস ভারদা: ক্লিও নারী ছিলেন বটে! কিন্তু জানো, নারী-অধিকারের জন্য আমাকে অধিকাংশ নারীর সাথেই যুদ্ধটা করতে হয়েছিল। নারী অধিকার নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করলাম। একজন গাইলেন, বাকিরা গাইলেন না (১৯৭৬)। কিন্তু আমরা বলতে পারি না যে আমরা জিতে গেছি, কারণ লড়াইটা তো এখনো চলছে। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এই যে চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে এখন বলে—‘সিলেকশন কমিটিতে অর্ধেক নারী অর্ধেক পুরুষ রাখছি আমরা।’ কিন্তু এটা সসময় পুরুষরাই নির্ধারণ করে কেন?

দ্য গার্ডিয়ান: আমি শুনেছিলাম ম্যাডোনা ‘ক্লিও ফ্রম ফাইভ টু সেভেন’ রিমেক করতে চেয়েছিলেন?
আনিয়েস ভারদা: ক্লিও’র স্টোরিটা ম্যাডোনার খুব ভালো লেগেছিল। (ক্লিও একজন মহিলা যিনি অপেক্ষা করছিলেন ক্যানসারের চিকিৎকার জন্য।) সে একজন মহিলাকে বলেছিল এটার চিত্রনাট্য লেখার জন্য। ঠিক আছে সেটা। কিন্তু ম্যাডোনার মা মারা যান তখন ক্যানসারে। এরপর সে আর এই ফিল্ম নিয়ে এগোয়নি।
আমি যদি এই সিনেমা পুনর্নির্মাণ করতাম তবে এমন কোনো নারীর কাহিনী নির্মাণ করতাম যে এইডস নিয়ে শঙ্কায় আছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেসময় এইডস এমন ভয়াবহ হুমকি ছিল। আমি হুইটনি হাস্টনকে নিয়ে কাজ করতাম, করলে।

দ্য গার্ডিয়ান: শুনেছিলাম জিম মরিসনের অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলেন আপনি?
আনিয়েস ভারদা: তাঁকে, তাঁর কাজকর্মকে আমি খুব পছন্দ করতাম, প্রথম ওর সাথে দেখা হয়েছিল ৬০-এর দশকে, লস এঞ্জেলেসে। তারপর তাঁকে তারকা হয়ে উঠতেও দেখলাম। সে সিনেমা নিয়ে খুব ভাবত, আমাদের নির্মাণ-ভাবনা সম্পর্কে জানত। আমরা মাত্র চারজন ছিলাম তাঁর শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে, প্যারিসের সিমতিয়ের দ্যু’পের লাশেজ-এ। যখন তারকারা কম বয়সে মারা যান তখন তারা আইডল হয়ে ওঠেন।

দ্য গার্ডিয়ান: টেকনোলজি আপনার চলচ্চিত্র নির্মাণকে কিভাবে প্রভাবিত করে?
আনিয়েস ভারদা: ২০০০ সালের দিকে, শতাব্দীর অদল-বদলের সময়। আমি নিজের জীবনকেও কিছুটা বদলে দিতে চাইলাম। আকারে ছোট, হেন্ডহেল্ড ক্যামেরাগুলো খুঁজতে থাকলাম, বুঝতে পারলাম যে একাই আমি চিত্রধারণের কাজটা করতে পারব। এইভাবেই ‘Gleaners and I’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করলাম। মেঝেতে কুড়িয়ে পাওয়া খাবার খেয়ে জীবন চালিয়ে নেওয়া মানুষদের নিয়ে যখন কাজ করতে হয় তখন বড় একটা টিম নিয়ে কাজ করা সুবিধাজনক নয়। তাদেরকে আমি কিছুতেই অস্বস্তিতে ফেলতে চাইনি।
আমি এমনিতে খুব বিচক্ষণ বটে, কিন্তু অনেক পাগলামিও করতে পারি। ২০০৩ সালে ভেনিস বিয়েন্যালে-তে একটা বড় প্রজেক্ট করলাম ‘পোটেটোপিয়া’—হার্টের আকারের আলুগুলোর স্পেশালিস্ট হয়ে গেলাম। উদ্বোধনের দিন পোটেটো-কস্টিউম পরেছিলাম। লক্ষণীয় হয়ে উঠতে চেয়েছিলাম তখন। এখন আমি লক্ষণীয় আমার চুলের জন্য। সাদা রঙ হওয়ার কথা ছিল চুলের, কিন্তু ফ্যান্টাসির জন্য অন্য এক রঙ করেছি চুলে। এইভাবে ‘PUNK’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে যাই, বুঝলেন? আমার নাতি-নাতনিরা যখন ছোট ছিল তখন আমাকে ‘মামিতা পাঙ্ক’ ডাকত। মাঝে মাঝে এমন কিছু কাজ করি যা হয়তো ‘সঠিক’ না কিন্তু আমি সাহস করে সেসব করতে ভালোবাসি।

দ্য গার্ডিয়ান: ভ্যাগাবন্ড পাঙ্ক ছিল, কাউন্টার-কালচার ফিল্ম ...
আনিয়েস ভারদা: না, পাঙ্ক ছিল না। এটা রাস্তার মানুষদের গল্প। সান্দ্রিন বুনে-র বয়স তখন আঠারোও হয়নি; প্রতিভাময়, স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা বিদ্রোহী। আমি উচ্ছ্বসিত ছিলাম সিনেমাটা নিয়ে, কেননা এই সিনেমাটা খুবই রিয়েলিস্টিকভাবে বলে ‘যখন তোমার কিছুই থাকবে না তখন তুমি কেমন আচরণ করবে? কোথায় যাবে? তোমার ক্রোধ, রাগ নিয়ে কী করবে তুমি?’
ভ্যাগাবন্ড—অর্থনৈতিক দিক থেকে সফল ছিল যেটা আমার অন্য কোনো সিনেমা ছিল না।

দ্য গার্ডিয়ান: কেমন লেগেছিল সেটা?
আনিয়েস ভারদা: দুঃখিত, আমি আসলে যা নির্মাণ করতে চাই, যেভাবে চাই সেভাবেই করেছি। কোনো বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে করিনি, কোনো বিখ্যাত অভিনয়শিল্পীর সাথে খুব কমই কাজ করেছি। একবার ক্যাথেরাইন ডায়ারের সাথে একটা কাজ করেছিলাম, সেটা সবচেয়ে বাজেভাবে ফ্লপ একটা সিনেমা হলো। সফলতার সাথে খুব কমই সংযোগ আমার। আমি চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথে বরঞ্চ নিজেকে জুড়ে দিতে পারি। ২০১৭-তে উচ্ছ্বাস আর বিনয়ের সাথে অস্কার পুরস্কার গ্রহণ করলাম। বেশ আগ্রহোদ্দীপক একটা ব্যাপার ছিল জানতে পারা যে আমি হলিউডে ফিল্মমেকার হিসেবে এক্সিস্ট করি, যদিও আমি কোনো ব্লকব্লাস্টার চলচ্চিত্র নির্মাণ করিনি কখনো।

দ্য গার্ডিয়ান: এমন কোনো উপদেশের কথা মনে পড়ে যা আপনার জীবনে পাওয়া সবচেয়ে ভালো উপদেশ?
আনিয়েস ভারদা: ফটোগ্রাফার ব্রাসেইয়ের সাথে দেখা করেছিলাম একবার। তরুণ একজন ফটোগ্রাফার আমি তখন। তিনি বলেছিলেন—‘নিজেকে সময় দাও, দেখো চারপাশ, সূক্ষ্ণভাবে দেখো।’ ধারণাটা ভালো লেগেছিল—কাজটা নয়, ব্যাপারটা হচ্ছে আপনার মাথার ভেতর কী চলছে ছবিটা তোলার আগে।

দ্য গার্ডিয়ান: আপনার ইচ্ছা কী? কিভাবে আপনাকে স্মরণ করুক কেউ?
আনিয়েস ভারদা: একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা যিনি জীবনকে উপভোগ করে গেছেন, বেদনাকেও। পৃথিবীটা ভয়ানক কষ্টদায়ক, কিন্তু আমার মনে হয়েছে প্রতিটা দিন আকর্ষণীয় হতে হবে। যা যা ঘটেছে আমার জীবনের প্রতিটা দিনে— এই কাজ, মানুষকে দেখা-জানা-শোনা—সমস্ত মিলিয়ে আমার মনে হতো কী দারুণ প্রাচুর্যময় এই বেঁচে থাকা!

   

নারীরাই সমাজের স্থপতি



ফাহমিদা নবী
নারীরাই সমাজের স্থপতি

নারীরাই সমাজের স্থপতি

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর জাগরণে অনেক পিছিয়ে আছি বললে ভুল হবে। যদি বলি, তবে প্রযুক্তির যুগে এসে সে কথা বলার কোন মানে হয় না। নারীও তাঁর অধিকারে এগিয়ে যাচ্ছে সাহস এবং শক্তিশালী মানসিকতার বদৌলতে। কেন পিছিয়ে থাকবে?

১৯০৮ সালের শ্রম আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণাটি। বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া আমাদের নারীদের জাগরণের জন্য যখন পথ দেখালেন তখন থেকে অদ্যাবধি অবস্থানকে শক্ত এবং শক্তিশালী করবার দুর্নিবার পথ চলা কিন্তু থেমে নেই। তবুও আমরা আজো পিছিয়ে কেন? যে জাতি নারীদের সম্মান করতে পারে না, সে জাতির উন্নতি অসম্ভব।

নারীরাই সমাজের প্রকৃত স্থপতি। নারীকে চিন্তা চেতনার শর্তে জীবনযাপন করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হতে হবে। আমাদের দেশে আত্মসচেতনতার অভাব রয়েছে বলেই নারীদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে; সবসময় এবং বারংবার। নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাজসেবার সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের মেধা ও শ্রমশক্তিকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে হবে। আর তা করতে হলে সমাজ সম্পর্কে তাঁর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন।

নারী দিবস মানেই আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া সৃষ্টিতে-কৃষ্টিতে সমতায় সেরা নারী যেন কোনভাবেই ভেঙে না পড়ে।

আমার তো মনে হয় নারী ফিনিক্স পাখি! সে যেভাবে বারবার পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাড়ায়। নিজের কিশোরবেলা থেকে শুরু করে সংসার, বিয়ে, সন্তান থেকে পরিবার পুরো সমাজ সংসারে তার চলাচল ভীষণ ইতিবাচক। তাঁর তো সময় নেই নেতিবাচকতায় চোখ রাখবার! থাকুক যতই বাধা তার ধৈর্যের কমতি নাই। হাসিমুখে সব কিছুতে তাঁর অংশগ্রহণ এক বিস্ময়।

সত্যি বলতে কী নারী মানেই “মা”। তাই নারী সব কিছুরই উদাহরণ। মাকে কখনো কঠিন হতে হয়, কখনো কোমল, কখনো বা সংসার কৌশলী, বুদ্ধিমত্তায় পারদর্শী।

নারীদের বলতে চাই জীবনে সংগ্রাম থাকবেই কিন্তু পিছিয়ে পড়া যাবে না। এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কথা বলতে, না বলতে, সাহসে পথ চলতে শিখতে হবে। নিজেকে ভালোবাসতে হবে।

আমাদের দেশে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। শুধু সাহস আর মানবিকতা পথটাকে আরেকটু চিনে চলতে হবে। কারণ অমানবিকতা আনাচেকানাচে চিরকালই দেখি।

আরেকটা বিষয়কে প্রাধান্য দিতেই হবে যা মানবিক আচরণ। কিছু সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যদি সবাই এক সমতায় তবে এখনো পিতার সম্পত্তি বণ্টনে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না কেন? বিশাল সমস্যা এখানেই রয়ে গ্যাছে। এই সমঅধিকারের প্রতিকার যতদিন না হবে বৈষম্যের ফাঁকটা রয়েই যাবে। এবং মেয়েদের উপর অত্যাচার কখনোই কমবে না।

পৃথিবীর কোন দেশে এই বৈষম্যতা নেই বলেই নারীরা অনেক সাহসে এবং সমতার অংশগ্রহণের নিশ্চিত থাকতে পারে।

আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। সমবণ্টন নিশ্চিত হোক। নারীর এগিয়ে যাওয়া আর রুদ্ধ হবে না।

আমি সব সময় মুগ্ধ হই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে। কী প্রাণবন্ত হয়ে নারীদের অগ্রগতিতে তিনি কতটা ভূমিকা রাখছেন! প্রতি মুহূর্তে তিনি চান মেয়েরা এগিয়ে আসুক সাহসী হোক। তিনি এ ব্যাপারেও কাজ করছেন শুনেছি। আশা করি অবশ্যই পিতার সম্পত্তিতে ছেলেমেয়ের সমঅধিকার হবে। কাজেকর্মে, শিক্ষায় সমাজ সংসার জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখুক সমতায়। সেজন্য সুযোগ সুবিধায় নারীদের সম্মানকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

সকল নারীদের জন্য শুভ কামনা; আত্মবিশ্বাসে পথ চলা সফল হোক।

ফাহমিদা নবী: সংগীত শিল্পী

;

‘নারীবাদী’ শব্দের উৎপত্তি এবং এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক



নারীশক্তি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নারীবাদী কিনা?’ প্রশ্নে পুরুষ কিংবা নারী- অনেককেই অপ্রস্তুত হতে দেখা যায়। কারো উত্তরে থাকে দ্বিধা। হাস্যকর হলেও সত্য, কেউ কেউ উত্তর দেয়,‘আমি নারীবাদী নই, তবে আমি সমতায় বিশ্বাসী।’ সমাজে অধিকাংশ মানুষের কাছে ‘নারীবাদী’ শব্দটার অর্থ সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। বর্তমান সমাজে মানুষ নারীদের সমান অধিকারের দাবীর কথা শুনে হাসে। কিছু মানুষের মতে, নারীরা বরং বেশিই পাচ্ছে। বর্তমান সমাজচিত্র দেখে অনেকে মনে করেন, নারীবাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বরফখণ্ড ভাসতে দেখে, পানির নিচে তার আকার বোঝা যায় না। নারীবাদী  শব্দের সূচনা যখন হয়েছিল, তখন সমাজের চিত্র একদম ভিন্ন ছিল।

নারীবাদ মানেই পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের মানসিকতা। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে-মানুষ হিসেবে নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার প্রাপ্য, সেই নারীবাদী। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান সময়ের অনেক নারীবাদীদের মধ্যে পুরুষ বিদ্বেষী ভাব ফুটে ওটে। এই আচরণ কোনোভাবেই নারীবাদী হওয়ার প্রমাণ নয়!    

উনবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবার ফেমিনিজম বা নারীবাদ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিল। ফ্রান্সের দার্শনিক চার্লস ফুরিয়ে ১৮৩৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন। এরপর ১৮৭২ সালে  ফ্রান্স এবং ১৮৯০ সালে নেদারল্যান্ডসে ফেমিনিজম এবং ফেমিনিস্ট শব্দ দু’টির ব্যবহার হয়। পরবর্তীতে যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়।

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা ভোটের অধিকার আদায়ে এবং নারী-পুরুষ সমান ক্ষমতায়নের আন্দোলন শুরু করে। এই  আন্দোলন হয়েছিল কারণ, কর্মক্ষেত্রে সম্মান এবং আয়ের দিকে নারীরা ছিল পুরুষদের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে।  সমান অধিকার ছিল না বলেই, তা ছিনিয়ে নিতে বার বার আন্দোলনে নামতে হয়েছে নারীদের ।

স্রষ্টা পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষ-কে পাঠিয়েছেন। অথচ বিবেক-বুদ্ধিবান মানব সমাজেই একপক্ষকে অপর পক্ষ থেকে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়েছে। ব্যাপারটা কেমন বেখাপ্পা নয় কি?

একটা সময় নারীদের নিজ ইচ্ছায় ঘর থেকে বের হওয়ার অধিকারও ছিল না। শিক্ষাগ্রহণ বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ছিল স্বপ্নাতীত। ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় স্বামীর মৃত্যু হলে, জীবিত নারীদের তাদের সাথে পুড়িয়ে মারা হতো। নারীর ইচ্ছা না থাকলেও পরিবারের সকলে মিলে তাকে এই নিয়ম মানতে বাধ্য করতো। সম্রাট আকবর তার রাজত্বকালে, নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। এছাড়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে চালু হয়ে বিধবা বিবাহ আইন। ১৮৫৬ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা নারীদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ছেলেকে এক বিধবা কন্যার সাথে বিয়ে দিয়ে।

তৎৎকালীন এই অসমতার চিত্র, ইউরোপের অনেক লেখকের কলমে ফুটে উঠেছিল প্রাচ্যের বর্বরতা হিসেবে। তারা নারীদের প্রতি আচরণের কারণে, প্রাচ্যকে অনুন্নত বিবেচনা করতো। অথচ পশ্চিমের আচরণ যে নারীদের প্রতি খুব সম্মানজনক ছিল, নাও কিন্তু নয়!

ইংল্যান্ডের বাজারে একসময় বউ বিক্রি হতো। নারীদের লাল লিপস্টিক দিয়ে সাজ ছিল নিষিদ্ধ। কেবল দেহ ব্যবসায়ী নারীরাই লাল লিপস্টিকের ব্যবহার স্বাধীনভাবে করতে পারতেন। ১৮০০ সালের দিকে ঝগড়া করার অপরাধে এক ইউরোপীয়ান তার স্ত্রীর মুখে বেড়ি পড়িয়ে রাস্তায় হাঁটিয়েছিলেন। এমনকি নারী আন্দোলন এবং জাগরণের শুরুই হয়েছিল খোদ পশ্চিমের দেশগুলোতেই।  

সব মানুষেই নিজের জীবন স্বাধীনভাবে কাটাতে চায়। কেউই  পরাধীন থাকতে চায়না বিধায়, কালের বিবর্তনে বিশ্বজুড়ে বার বার বিদ্রোহ এবং আন্দোলন হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েও লড়ে গেছে স্বাধীনতার জন্য। বর্তমান সমাজ নারীর প্রতি যথেষ্ট নমনীয় হলেও, শুরু থেকে এমনটা ছিল না। সেই কারণেই নারীরা আন্দোলন করে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।    

;

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক। তিনি ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। কিশোরগঞ্জের সমাজ প্রগতি ও জনসেবায় তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মরণোত্তর সম্মাননা পদক প্রদানকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবী নূরজাহান বেগমকে ১ম শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অষ্টবর্গ শাহ্ বাড়িতে নবনির্মিত নান্দনিক স্থাপত্য শাহ্ মাহ্তাব আলী কালচারাল কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।

পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের পক্ষে তাঁর বড় ছেলে, মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর, বার্তা২৪.কম এর অ্যাসোসিয়েট এডিটর ড. মাহফুজ পারভেজ পদক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘জীবনের ধ্রুবতারা: আমার মা নূরজাহান বেগম ও কিশোরগঞ্জের স্মৃতি’ শীর্ষক পাবলিক লেকচার প্রদান করেন।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ্ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তার। এতে পদক প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. গোলাম হোসেন।

এতে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সি‌নিয়র আইনজীবী বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা না‌সির উ‌দ্দিন ফারুকী, সিনিয়র আইনজীবী, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা পাব‌লিক লাই‌ব্রে‌রির সাধারণ সম্পাদক মু আ ল‌তিফ, সি‌নিয়র সাংবা‌দিক আলম সা‌রোয়ার টিটু, সহকারী অধ্যাপক মো. সেলিম, ফ্রন্টিয়ার্স রিপোর্টার্স সোসাইটির সভাপতি মিনহাজ শিহাব ফুয়াদ, সমাজকর্মী লুৎফু‌ন্নেছা চিনু প্রমুখ। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কিশোরগঞ্জের বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা. এ.এ. মাজহারুল হক ও সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক সমীক্ষাধর্মী মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন কীর্তির ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা ছাড়াও বিভিন্ন জনহিতকর ও সমাজসেবামূলক কাজ করছে।

এছাড়া সমাজসেবী নূরজাহান বেগম বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসাসহ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি এই মহীয়সী নারী পরলোকগমন করেন। তাঁর কর্ম ও স্মৃতিকে অম্লান রাখার জন্য শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন তাঁকে মরণোত্তর পদকে ভূষিত করেছে।

;

‘প্রতিবন্ধী নারীদের বাধা দূর করতে একসঙ্গে সাইরেন বাজাতে হবে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), অ্যারো ও সিএনএস এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা রোধ’ বিষয়ক একটি কর্মশালা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিআরইউ সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় বেলা ১১টায় ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

এ সময় তিনি বলেন, বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধী নারীরা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারসহ শীর্ষ পর্যায়ে নারী ক্ষমতায় থাকলেও নারীরা এখনও তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। এই নারীরাই যখন প্রতিবন্ধী হয় তখন তারা আরো নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হন।


নারীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না এমন মন্তব্য করে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, রাস্তাঘাটসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্ট থাকলেও মানুষের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবন্ধীদের নিয়েও পর্যাপ্ত পরিমানে প্রকল্প নেই। আমার মনে হয়, রাষ্ট্র একটা ভুল মডেলের দিকে যাচ্ছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে একসঙ্গে বাঁশি এবং সাইরেনটা বাজাতে হবে, আওয়াজ এক সঙ্গে করতে হবে।

এসময় তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে এ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একটি সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে সরকার, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ এগিয়ে আসলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

কর্মশালাটিতে প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ প্রকল্প সমন্বয় বিশেষজ্ঞ তুশিবা কাশেম মূল বিষয়ের উপরে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো: আল-আমিন, এসকে রেজা পারভেজ ও মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) উপস্থিত ছিলেন।

;