শার্লটটাউনের চিঠি : জীবন যখন যেমন



রঞ্জনা ব্যানার্জী
অলঙ্করণ: কাব্য কারিম

অলঙ্করণ: কাব্য কারিম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাকালে সবচেয়ে বেশি শোনা বাক্য : ‘ভাল্লাগছে না’। কোভিড-১৯ নামের ক্ষুদে অদেখা শত্রু সারা বিশ্বকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে। টপাটপ মানুষ মরছে। অথচ যমদুয়ারে কাঁটা দেওয়ার কোনো পন্থা বেরোচ্ছে না। সংক্রমণের ভয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সঠিক সময়ে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির অনিশ্চয়তার আতঙ্ক। আর এই সব মিলেমিশে আমাদের মনের চাপ ঊর্ধ্বসীমা অতিক্রম করেছে এবং আমরা সকলেই কোনো না কোনো সময়ে পরস্পরকে উচ্চস্বরে অথবা নিজেকেই অনুচ্চারে বলছি, ‘ভাল্লাগছে না’।

এই ক্রান্তিকালের শুরুতে কিন্তু এমনটি ছিল না। নটা-পাঁচটার যে জীবনে আমরা অভ্যস্ত ছিলাম সেটাতে হঠাৎ বিরাম পড়ায় খুব একটা অখুশি হইনি কেউ। সবার মধ্যে বেশ একটা ছুটি-ছুটি হালকাভাব এসেছিল। সংক্রমণের খবরে তেমন উদ্বেগ ছোঁয়নি তখনও। মনে হয়েছিল এই রোগে আমাদের চেনা-জানা কিংবা আপনজনদের কারো কিচ্ছুটি হবে না। বিশ্বাস করেছিলাম হ্যান্ড-সেনিটাইজার আর মাস্কের বর্মেই এই আপদ শতহস্ত দূরে থাকবে। তাই আতঙ্ক নয় হালকা মেজাজেই আমাদের ঘরবন্দী জীবনের সূত্রপাত হয়েছিল। নতুন রান্না, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘন হয়ে বসে পুরনো সিনেমা/সিরিয়াল দেখা, নতুন বই কিংবা পুরনো কোনো শখ নতুন করে ঝালাই করা...এইসব নানা আয়োজনে বেশ কাটছিল সবার। প্রায় সকলের বাড়িতেই গৃহসহকারীদের ছুটি দিয়ে দেওয়ার ফলে যে বাড়তি কাজের চাপ, তাও পরিবারের সবার সঙ্গে ভাগবাটোয়ারায় সামলানো গিয়েছিল। কিন্তু এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই আমরা টের পেলাম এই লকডাউন এক অনিশ্চিত আগামীর পূর্বাভাষ মাত্র, এর পরেই শুরু হবে মন্দা এবং মঙ্গাকাল। আর তখন থেকেই সংক্রমণ এবং মৃত্যুচিন্তার সঙ্গে অনাগত আগামীর উৎকণ্ঠা মিলেমিশে আমাদের ঘরবন্দী সময়কে পাথরের মতো ভারী করে দিল। অনেকের জন্যই এক একটা দিন ঠেলে সরানোও দুরূহ হয়ে দাঁড়াল। আর তখনই এই ‘ভাল্লাগে না’র নায়ে পাল চড়ল! এখন সেই স্বর ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে। এই লেখা যখন লিখছি তখনও সংখ্যায় এবং বিষাদের ঘনঘটায় ভারাক্রান্ত হচ্ছে আরো অনেকে।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এরই আগাম আভাষ দিয়েছিলেন করোনাকালের শুরুতেই।

অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে লকডাউন খুলতে হবে পর্যায়ক্রমে। কোথাও কোথাও সীমিত পরিসরে ইতোমধ্যেই খুলে গেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যারা বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ ভোগ করেই ভারাক্রান্ত তাদের আগামীতে চাকরিস্থলে যোগ দিতে হবে, অথবা হচ্ছে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমরা একটা নতুন পৃথিবীতে ঢুকছি। আমাদের জীবনযাপনে বিস্তর পরিবর্তন এরই মধ্যে ঘটেছে এবং এখন এই অণুজীবের সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর প্রতিষেধক বাজারে না-আসা পর্যন্ত আমাদেরই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে। এই সময়ে যদি নিজেদের অথবা পরিবারের কারো মানসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটে তবে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

মনের সঙ্গে আমাদের শরীর লেপ্টে থাকে। মন নাজুক হলেই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে। তাছাড়া এই মন খারাপের নাগালেই ঘোরে বিষণ্নতা। মন খারাপ যদি বিষণ্ণতায় পালটায় তবে এর সঙ্গে হুড়মুড়িয়ে ঢোকে নানারকম ক্ষতিকর আসক্তি, উঁকি দেয় আত্মহত্যার প্রবণতা এবং বাড়ে পারিবারিক কিংবা সামাজিক সহিংসতা। এই যে ক্রমশ ঢাল গড়িয়ে খাদের কাছে গড়িয়ে যাওয়া এটা কিন্তু থামানো যায়। এবং থামানো উচিত এখনই।

আগেই বলেছি এখনকার ‘ভাল্লাগে না’র উৎসের কথা। কিন্তু যারা ভালো লাগে না বলে নিজেকে দুখি করছেন তারা কিন্তু কারণ হিসেবে প্রথমেই বলেন, ‘এই ঘরবন্দী থাকা আর কত!’ এর পরেই অবশ্য পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো এই সব অনুযোগ, অভিযোগের ঝাঁঝ বাড়তে বাড়তে মূল সমস্যায় পৌঁছায় কেউ কেউ। যারা পৌঁছান তারা বেরোতে চান তবে এর মধ্যে অনেকেই আছেন এরই মধ্যেই যাদের কথা বলার ইচ্ছেও ‘ভাল্লাগে না’-তে আটকে গেছে। আমরা জানি ভিড়ে থেকেও ‘মানুষ একা!—মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ একা’, কবি আবুল হাসান বলেছিলেন। এই একাকিত্ব নিয়েই তো মানুষ হাজার বছর পার করে দিল, ‘মারি ও মড়ক’ উজিয়ে বিস্তার করল সংখ্যায় এবং টিকে রইল এখনো। কাজেই এই ঝঞ্ঝাও পার হবে।

ব্যাপার হলো আমরা সকলে কমবেশি একঘেয়েমির চক্করে পড়েছি। একঘেয়ে আর একঘেয়েমি সমার্থক মনে হলেও একঘেয়েমিতে একটা দীর্ঘসূত্রিতার ব্যাপার আছে। একঘেয়ে লাগাটা হালকা দুধের সরের মতো। একে জ্বাল দিয়ে দিয়ে আমরা নিজেরাই একঘেয়েমির ঘন সর তৈরি করেছি। এখন এই একঘেয়েমি থেকে বেরোবার পন্থা বার করতে হবে আমাদের নিজেদেরই।

লকডাউনে সবারই দিনের রুটিন পাল্টে গেছে। কারো কারো অবশ্য কোনো রুটিনই ছিল না কখনোই। অনেকে ভাবেন রুটিন আবার কী? সেও তো একঘেয়েমিই। আসলে তা নয় রুটিন মানে আগামীকালের জন্য কিছু অসমাপ্ত কাজ তুলে রাখা। আগামীকালের আশায় বাঁচা। সে আগামীকাল দেখা হবে কিনা না জানলেও জীবন টানার প্রেরণা আছে এই আশাতেই।

আমি যে রুটিনের কথা বলছি তার মানে লাগাতার ঘণ্টা ধরে কাজ নয় বরং কাজকে গড়িয়ে মেঝেতে জমতে না দেওয়ার চেষ্টা। এবং মনের স্থবিরতা কাটানোর একটা চেষ্টা। এই রুটিন হোক খানিক এলানো। নিজের দেখভালের বিষয়টাও থাকুক এই রুটিনে। থাকুক না-দেখা সিনেমা বা না-পড়া কোনো বই পড়ার ইচ্ছা। যারা একঘেয়েমির চক্করে এরই মধ্যে পা দিয়েছেন তাদের বলি আমার নিজের অভিজ্ঞতা আছে এই দুরন্ত ঘুর্ণিতে চুবানি খাওয়ার। আমার নিজের খাদে গড়ানো আটকেছি এই রুটিন-পথ্যে বহুবার। প্ল্যানারে বা নোটবুকে কিংবা একটুকরো কাগজে দিনের করণীয় বিষয়গুলো যখন লিখতে থাকি বিশ্বাস করুন সেই কিছু না-করার ইচ্ছেটার বিশ ভাগ উবে যায়। আমি আগামীকালের কথা ভাবতে শুরু করি এবং আমার বিষণ্ণতার কালো বেড়াল বুকে স্থির হয়ে চেপে বসতে পারে না। আপনিও চেষ্টা করুন এতে বন্দীদশার একঘেয়েমি খানিক কাটবেই। এছাড়া যারা বলেন, ‘কোথাও যেতে পারছি না, কারো সঙ্গে দেখা হচ্ছে না। চার দেওয়ালের চৌহদ্দিতে আর কত?’ তাদের বলি, মানছি ঘরের বাইরে প্রিয় মানুষদের সঙ্গ পাচ্ছেন না। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আজকের দিনে যোগাযোগ তো কোনো ব্যাপার নয়। ট্যাকনোলজির আশির্বাদে নিয়ম করে আমরা আমাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলতেই পারি। সুযোগ থাকলে অনলাইনে অনেকে একসঙ্গে আড্ডাও দিতে পারি। কেবল মুখোমুখি দেখা নয়, দূরে থেকেও ছুঁয়ে থাকা যায়। আপনার জীবনকে যারা নানাভাবে সহজ করেছেন, আশির্বাদ হয়ে পাশে ছিলেন কিংবা আছেন তাদের কৃতজ্ঞতা অথবা ভালোবাসা জানানোর কোনো মোক্ষম মুহূর্ত নেই। সুযোগ পেলেই বলুন, জানান; কেননা কারো মনে খুশির ঝিলিক দেওয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই। দুঃসময়ে আপনার এই ছোট প্রয়াস সেই মানুষটিকে আস্থা দেবে, মনে জোর দেবে এবং আপনার মনেও সেই ছুঁয়ে থাকার আনন্দ রোদ ছড়াবে।

এই সময়ে অস্থির হওয়া, দুশ্চিন্তা হওয়া কিন্তু খুব স্বাভাবিক। আসলে এমন পরিস্থিতি তো আমরা প্রায় সকলেই এতদিন বইয়ে পড়েছি। সিনেমায় দেখেছি। হাতে কলমে অভিজ্ঞতার কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। একবার ভাবুন, আমরা কিন্তু এই কঠিন সময়ের অনেকটাই ধৈর্য ধরেই পার করছি। এবং জীবনের বড় কিছু পরিবর্তনও এরই মধ্যে প্রতিদিনের অভ্যাসে পাল্টেছি। এই যে রেস্তোরাঁয় যাচ্ছেন না, সহকারীর সাহায্য ছাড়াই নিজে রান্না করছেন কিংবা দোকানে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা ছাড়া তিনমাস কাটিয়ে দিলেন এই অর্জনও কি কম? আপনি, আমি এবং অনেকেই জেনেছি অপ্রয়োজনীয় কত কী করি আমরা যা না করলেও জীবন দিব্যি চলে যায়!

এই সময়ে মৃত্যুচিন্তাও অস্বাভাবিক নয় কিন্তু এই ভাবনার গতি যেন জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ না করে সেই দিকেই লক্ষ রেখে জীবনের আশির্বাদগুলো ফিরে দেখাও জরুরি। এই পৃথিবীতে আসাটা যেমন আমাদের হাতে নেই যাওয়াটাও নয়। কেবল মাঝের জীবন-যাপনের সময়টাই আমাদের পাঠকাল। এই সময় ফুরোবার আগেই চলুন নিজের সৃজনশীল দিকটি খুঁজে বার করি যা আগে কখনো খেয়াল করিনি। একে তাকে চিনতে গিয়ে রাগে, ক্ষোভে অপমানে কত সময় নষ্ট করেছি! আজ করোনা বুঝিয়েছে আমির কিংবা ঘুঁটে-কুড়ানি যেই হোক বিধিই জানে কে রইবে আর কে যাবে। তাই অন্যের যা কিছু আমাদের বিরক্তি বাড়ায়, রাগ হয় কিংবা ঘৃণা, নিজের ভেতর থেকে সেই বদভ্যাসগুলো ঘষে-মেজে দূর করার ব্রত তো নিতে পারি যেন করোনা-উত্তর পৃথিবীকে আরেকটু বেশি মানবিক চোখে দেখার অভ্যেস হয়।

খুব বেশিদূর ভাবার অভ্যেসটাও অবশ্য এইসময় ক্লান্তি আনে এবং আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে। তাই এক একটা দিনই ভালো কাটাবার চেষ্টা করি। এবং বিশ্বাস রাখি যে এই দুঃসময় কাটবে। আমি, আপনি একা নই সারা বিশ্ব সংগ্রাম করছে এই দুঃসময় পেরিয়ে স্বাভাবিক পৃথিবীকে ফিরিয়ে আনার। অন্তত এই একটি বিষয়ে উন্নত কিংবা তৃতীয়বিশ্ব সকলেই নিরলস খাটছে। অতএব সমাধান আসবেই। তবে আমাদের নিজের জায়গা থেকে নিজনিজ লড়াইটাও চালু রাখতে হবে, যার মধ্যে নিজেদের কর্মক্ষম এবং মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখাটা অন্যতম।

একটাই জীবন আমাদের এবং একটাই পৃথিবী। তাই প্রত্যয় হোক, ‘মরার আগে মরব না’। চলুন ‘ভাল্লাগে না’র খোপ থেকে বেরিয়ে আজই জানালা খুলে ভোর দেখি, দেখি বিকেলের সূর্যাস্তও। এবং বুক ভরে শ্বাস টেনে জোর গলায় বলি : ভালো লাগছে সবই।

   

নারীরাই সমাজের স্থপতি



ফাহমিদা নবী
নারীরাই সমাজের স্থপতি

নারীরাই সমাজের স্থপতি

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর জাগরণে অনেক পিছিয়ে আছি বললে ভুল হবে। যদি বলি, তবে প্রযুক্তির যুগে এসে সে কথা বলার কোন মানে হয় না। নারীও তাঁর অধিকারে এগিয়ে যাচ্ছে সাহস এবং শক্তিশালী মানসিকতার বদৌলতে। কেন পিছিয়ে থাকবে?

১৯০৮ সালের শ্রম আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণাটি। বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া আমাদের নারীদের জাগরণের জন্য যখন পথ দেখালেন তখন থেকে অদ্যাবধি অবস্থানকে শক্ত এবং শক্তিশালী করবার দুর্নিবার পথ চলা কিন্তু থেমে নেই। তবুও আমরা আজো পিছিয়ে কেন? যে জাতি নারীদের সম্মান করতে পারে না, সে জাতির উন্নতি অসম্ভব।

নারীরাই সমাজের প্রকৃত স্থপতি। নারীকে চিন্তা চেতনার শর্তে জীবনযাপন করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হতে হবে। আমাদের দেশে আত্মসচেতনতার অভাব রয়েছে বলেই নারীদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে; সবসময় এবং বারংবার। নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাজসেবার সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের মেধা ও শ্রমশক্তিকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে হবে। আর তা করতে হলে সমাজ সম্পর্কে তাঁর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন।

নারী দিবস মানেই আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া সৃষ্টিতে-কৃষ্টিতে সমতায় সেরা নারী যেন কোনভাবেই ভেঙে না পড়ে।

আমার তো মনে হয় নারী ফিনিক্স পাখি! সে যেভাবে বারবার পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাড়ায়। নিজের কিশোরবেলা থেকে শুরু করে সংসার, বিয়ে, সন্তান থেকে পরিবার পুরো সমাজ সংসারে তার চলাচল ভীষণ ইতিবাচক। তাঁর তো সময় নেই নেতিবাচকতায় চোখ রাখবার! থাকুক যতই বাধা তার ধৈর্যের কমতি নাই। হাসিমুখে সব কিছুতে তাঁর অংশগ্রহণ এক বিস্ময়।

সত্যি বলতে কী নারী মানেই “মা”। তাই নারী সব কিছুরই উদাহরণ। মাকে কখনো কঠিন হতে হয়, কখনো কোমল, কখনো বা সংসার কৌশলী, বুদ্ধিমত্তায় পারদর্শী।

নারীদের বলতে চাই জীবনে সংগ্রাম থাকবেই কিন্তু পিছিয়ে পড়া যাবে না। এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কথা বলতে, না বলতে, সাহসে পথ চলতে শিখতে হবে। নিজেকে ভালোবাসতে হবে।

আমাদের দেশে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। শুধু সাহস আর মানবিকতা পথটাকে আরেকটু চিনে চলতে হবে। কারণ অমানবিকতা আনাচেকানাচে চিরকালই দেখি।

আরেকটা বিষয়কে প্রাধান্য দিতেই হবে যা মানবিক আচরণ। কিছু সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যদি সবাই এক সমতায় তবে এখনো পিতার সম্পত্তি বণ্টনে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না কেন? বিশাল সমস্যা এখানেই রয়ে গ্যাছে। এই সমঅধিকারের প্রতিকার যতদিন না হবে বৈষম্যের ফাঁকটা রয়েই যাবে। এবং মেয়েদের উপর অত্যাচার কখনোই কমবে না।

পৃথিবীর কোন দেশে এই বৈষম্যতা নেই বলেই নারীরা অনেক সাহসে এবং সমতার অংশগ্রহণের নিশ্চিত থাকতে পারে।

আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। সমবণ্টন নিশ্চিত হোক। নারীর এগিয়ে যাওয়া আর রুদ্ধ হবে না।

আমি সব সময় মুগ্ধ হই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে। কী প্রাণবন্ত হয়ে নারীদের অগ্রগতিতে তিনি কতটা ভূমিকা রাখছেন! প্রতি মুহূর্তে তিনি চান মেয়েরা এগিয়ে আসুক সাহসী হোক। তিনি এ ব্যাপারেও কাজ করছেন শুনেছি। আশা করি অবশ্যই পিতার সম্পত্তিতে ছেলেমেয়ের সমঅধিকার হবে। কাজেকর্মে, শিক্ষায় সমাজ সংসার জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখুক সমতায়। সেজন্য সুযোগ সুবিধায় নারীদের সম্মানকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

সকল নারীদের জন্য শুভ কামনা; আত্মবিশ্বাসে পথ চলা সফল হোক।

ফাহমিদা নবী: সংগীত শিল্পী

;

‘নারীবাদী’ শব্দের উৎপত্তি এবং এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক



নারীশক্তি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নারীবাদী কিনা?’ প্রশ্নে পুরুষ কিংবা নারী- অনেককেই অপ্রস্তুত হতে দেখা যায়। কারো উত্তরে থাকে দ্বিধা। হাস্যকর হলেও সত্য, কেউ কেউ উত্তর দেয়,‘আমি নারীবাদী নই, তবে আমি সমতায় বিশ্বাসী।’ সমাজে অধিকাংশ মানুষের কাছে ‘নারীবাদী’ শব্দটার অর্থ সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। বর্তমান সমাজে মানুষ নারীদের সমান অধিকারের দাবীর কথা শুনে হাসে। কিছু মানুষের মতে, নারীরা বরং বেশিই পাচ্ছে। বর্তমান সমাজচিত্র দেখে অনেকে মনে করেন, নারীবাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বরফখণ্ড ভাসতে দেখে, পানির নিচে তার আকার বোঝা যায় না। নারীবাদী  শব্দের সূচনা যখন হয়েছিল, তখন সমাজের চিত্র একদম ভিন্ন ছিল।

নারীবাদ মানেই পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের মানসিকতা। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে-মানুষ হিসেবে নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার প্রাপ্য, সেই নারীবাদী। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান সময়ের অনেক নারীবাদীদের মধ্যে পুরুষ বিদ্বেষী ভাব ফুটে ওটে। এই আচরণ কোনোভাবেই নারীবাদী হওয়ার প্রমাণ নয়!    

উনবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবার ফেমিনিজম বা নারীবাদ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিল। ফ্রান্সের দার্শনিক চার্লস ফুরিয়ে ১৮৩৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন। এরপর ১৮৭২ সালে  ফ্রান্স এবং ১৮৯০ সালে নেদারল্যান্ডসে ফেমিনিজম এবং ফেমিনিস্ট শব্দ দু’টির ব্যবহার হয়। পরবর্তীতে যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়।

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা ভোটের অধিকার আদায়ে এবং নারী-পুরুষ সমান ক্ষমতায়নের আন্দোলন শুরু করে। এই  আন্দোলন হয়েছিল কারণ, কর্মক্ষেত্রে সম্মান এবং আয়ের দিকে নারীরা ছিল পুরুষদের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে।  সমান অধিকার ছিল না বলেই, তা ছিনিয়ে নিতে বার বার আন্দোলনে নামতে হয়েছে নারীদের ।

স্রষ্টা পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষ-কে পাঠিয়েছেন। অথচ বিবেক-বুদ্ধিবান মানব সমাজেই একপক্ষকে অপর পক্ষ থেকে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়েছে। ব্যাপারটা কেমন বেখাপ্পা নয় কি?

একটা সময় নারীদের নিজ ইচ্ছায় ঘর থেকে বের হওয়ার অধিকারও ছিল না। শিক্ষাগ্রহণ বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ছিল স্বপ্নাতীত। ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় স্বামীর মৃত্যু হলে, জীবিত নারীদের তাদের সাথে পুড়িয়ে মারা হতো। নারীর ইচ্ছা না থাকলেও পরিবারের সকলে মিলে তাকে এই নিয়ম মানতে বাধ্য করতো। সম্রাট আকবর তার রাজত্বকালে, নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। এছাড়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে চালু হয়ে বিধবা বিবাহ আইন। ১৮৫৬ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা নারীদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ছেলেকে এক বিধবা কন্যার সাথে বিয়ে দিয়ে।

তৎৎকালীন এই অসমতার চিত্র, ইউরোপের অনেক লেখকের কলমে ফুটে উঠেছিল প্রাচ্যের বর্বরতা হিসেবে। তারা নারীদের প্রতি আচরণের কারণে, প্রাচ্যকে অনুন্নত বিবেচনা করতো। অথচ পশ্চিমের আচরণ যে নারীদের প্রতি খুব সম্মানজনক ছিল, নাও কিন্তু নয়!

ইংল্যান্ডের বাজারে একসময় বউ বিক্রি হতো। নারীদের লাল লিপস্টিক দিয়ে সাজ ছিল নিষিদ্ধ। কেবল দেহ ব্যবসায়ী নারীরাই লাল লিপস্টিকের ব্যবহার স্বাধীনভাবে করতে পারতেন। ১৮০০ সালের দিকে ঝগড়া করার অপরাধে এক ইউরোপীয়ান তার স্ত্রীর মুখে বেড়ি পড়িয়ে রাস্তায় হাঁটিয়েছিলেন। এমনকি নারী আন্দোলন এবং জাগরণের শুরুই হয়েছিল খোদ পশ্চিমের দেশগুলোতেই।  

সব মানুষেই নিজের জীবন স্বাধীনভাবে কাটাতে চায়। কেউই  পরাধীন থাকতে চায়না বিধায়, কালের বিবর্তনে বিশ্বজুড়ে বার বার বিদ্রোহ এবং আন্দোলন হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েও লড়ে গেছে স্বাধীনতার জন্য। বর্তমান সমাজ নারীর প্রতি যথেষ্ট নমনীয় হলেও, শুরু থেকে এমনটা ছিল না। সেই কারণেই নারীরা আন্দোলন করে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।    

;

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক। তিনি ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। কিশোরগঞ্জের সমাজ প্রগতি ও জনসেবায় তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মরণোত্তর সম্মাননা পদক প্রদানকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবী নূরজাহান বেগমকে ১ম শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অষ্টবর্গ শাহ্ বাড়িতে নবনির্মিত নান্দনিক স্থাপত্য শাহ্ মাহ্তাব আলী কালচারাল কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।

পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের পক্ষে তাঁর বড় ছেলে, মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর, বার্তা২৪.কম এর অ্যাসোসিয়েট এডিটর ড. মাহফুজ পারভেজ পদক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘জীবনের ধ্রুবতারা: আমার মা নূরজাহান বেগম ও কিশোরগঞ্জের স্মৃতি’ শীর্ষক পাবলিক লেকচার প্রদান করেন।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ্ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তার। এতে পদক প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. গোলাম হোসেন।

এতে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সি‌নিয়র আইনজীবী বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা না‌সির উ‌দ্দিন ফারুকী, সিনিয়র আইনজীবী, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা পাব‌লিক লাই‌ব্রে‌রির সাধারণ সম্পাদক মু আ ল‌তিফ, সি‌নিয়র সাংবা‌দিক আলম সা‌রোয়ার টিটু, সহকারী অধ্যাপক মো. সেলিম, ফ্রন্টিয়ার্স রিপোর্টার্স সোসাইটির সভাপতি মিনহাজ শিহাব ফুয়াদ, সমাজকর্মী লুৎফু‌ন্নেছা চিনু প্রমুখ। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কিশোরগঞ্জের বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা. এ.এ. মাজহারুল হক ও সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক সমীক্ষাধর্মী মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন কীর্তির ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা ছাড়াও বিভিন্ন জনহিতকর ও সমাজসেবামূলক কাজ করছে।

এছাড়া সমাজসেবী নূরজাহান বেগম বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসাসহ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি এই মহীয়সী নারী পরলোকগমন করেন। তাঁর কর্ম ও স্মৃতিকে অম্লান রাখার জন্য শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন তাঁকে মরণোত্তর পদকে ভূষিত করেছে।

;

‘প্রতিবন্ধী নারীদের বাধা দূর করতে একসঙ্গে সাইরেন বাজাতে হবে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), অ্যারো ও সিএনএস এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা রোধ’ বিষয়ক একটি কর্মশালা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিআরইউ সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় বেলা ১১টায় ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

এ সময় তিনি বলেন, বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধী নারীরা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারসহ শীর্ষ পর্যায়ে নারী ক্ষমতায় থাকলেও নারীরা এখনও তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। এই নারীরাই যখন প্রতিবন্ধী হয় তখন তারা আরো নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হন।


নারীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না এমন মন্তব্য করে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, রাস্তাঘাটসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্ট থাকলেও মানুষের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবন্ধীদের নিয়েও পর্যাপ্ত পরিমানে প্রকল্প নেই। আমার মনে হয়, রাষ্ট্র একটা ভুল মডেলের দিকে যাচ্ছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে একসঙ্গে বাঁশি এবং সাইরেনটা বাজাতে হবে, আওয়াজ এক সঙ্গে করতে হবে।

এসময় তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে এ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একটি সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে সরকার, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ এগিয়ে আসলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

কর্মশালাটিতে প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ প্রকল্প সমন্বয় বিশেষজ্ঞ তুশিবা কাশেম মূল বিষয়ের উপরে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো: আল-আমিন, এসকে রেজা পারভেজ ও মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) উপস্থিত ছিলেন।

;