ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ফিনল্যান্ডে কেন? 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফিনল্যান্ডে পৌঁছেছেন। ট্রাম্প ও পুতিন সোমবার (১৬ জুলাই)  ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিস্কিতে শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।

ট্রাম্প-পুতিনের এই বৈঠক নিয়েই আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই বিশ্ব জুড়ে। এ বৈঠকের স্থান হিসেবে কেন তৃতীয়  দেশ ফিনল্যান্ডকে পছন্দ করা হল-তা নিয়েও চলছে চুল-চেরা বিশ্লেষণ।

তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ফিনল্যান্ডে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার বিষয়ে বেশ কিছু কারণ বর্ণনা করেছেন।

/uploads/files/WVa5VDz57CU4LaQCpLomwooeemb6zORS92zlfYzY.jpeg

ভৌগলিক কারণ

ভৌগলিক কারণে ফিনল্যান্ডের রাজধানীতে এ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে ইউরোপেই রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল রাশিয়া। এ উপলক্ষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মস্কোতেই অবস্থান করছিলেন। দুই বিশ্ব নেতার পক্ষে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ফিনল্যান্ডে পৌঁছানো সহজ ছিল- এ বিষয়টিও আমলে নেওয়া হচ্ছে।

বৈদেশিক নীতি

ফিনল্যান্ড এমন একটি দেশ যার নেতারা সবসময় যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। ফিনল্যান্ডের একজন সাবেক কূটনৈতিক প্রিটি থোসটেলিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প এবং পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে রয়েছে। অন্যদিকে এ কূটনৈতিকের ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গেও এ তাদের ভালো সম্পর্কে রয়েছে। এ বৈঠক আয়োজনে তিনি মূল ভূমিকা রেখেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

আরেকটি বিষয় ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় থেকে ফিনল্যান্ড রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সবসময় নিরপেক্ষ ভুমিকা রেখে চলেছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। 

/uploads/files/JlCrQCz1vV702HyJPYGTINkeUz4WRa9nHiqLYxCP.jpeg

ইতিহাস

গত শতকের মাঝামাঝি থেকে আজ পযর্ন্ত ফিনল্যান্ড দুই পরাশক্তির জন্য বেশ কয়েকটি বৈঠক আয়োজন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ১৯৭৫, ১৯৮৮, ১৯৯০ সাল পযর্ন্ত বৈঠকের আয়োজন করেছে ফিনল্যান্ড। শুধু তাই নয়, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরও ১৯৯২ সালে ও ১৯৯৭ সালে দুই দেশের জন্য বৈঠক আয়োজন করে ফিনল্যান্ড। অতিতের এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে ট্রাম্প–পুতিন বৈঠকটি এখানে আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

/uploads/files/B9xYcbihnyZX4ukhRmEsoXPz86FXrpwygDIxBDJl.jpeg

১৯৭৫ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফর্ড ও সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট ব্রেজেনেভকে এক বৈঠক মিলিত করার স্থান হলো ফিনল্যান্ড । প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ –গর্ভাচেভের মধ্যকার বৈঠকটিও ১৯৯০ সালে হয় ফিনল্যান্ডে। ১৯৯৭ সালের বিল ক্লিনটন বরিস ইয়েলৎসিন এর মধ্যে বৈঠকটিও ফিনল্যান্ডে হয়।

   

যুক্তরাষ্ট্রকে কিমের হুঁশিয়ারি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জল ও আকাশ সীমায় গোয়েন্দা বিমান আর জাহাজ পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া মিলে সার্বভৌমত্বে আঘাতের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে উত্তর কোরিয়া।

দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন উভয় দেশকে অভিযুক্ত করে বলেন, তাদের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড উত্তর কোরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং দেশের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করে।

রোববার (২৬ মে) উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেসিএন জানায়, আকাশ ও জলসীমায় গোয়েন্দা বিমান ও জাহাজ পাঠিয়ে সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্নের চেষ্টা চালিয়েছে অভিযুক্ত দেশ দুটি।

ওয়াশিংটন ও সিউল যদি নিকট ভবিষ্যতে বাড়াবাড়ি করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পিয়ংইয়ং। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ১৩ থেকে ২৪ মে এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৌশলগত পর্যবেক্ষণকারী বিমানের মধ্যে অন্তত ১৬টি কোরীয় উপদ্বীপের ওপর উড়িয়েছে। আর কোস্টগার্ডের টহল কার্যক্রম বাড়িয়ে সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে সিউল।

উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লক্ষ্য করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রোপাগাণ্ডামূলক বেলুন ওড়ানোরও সমালোচনা করেছেন প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্টরা। এমন কর্মকাণ্ডকে কিম প্রশাসন চিহ্নিত করেছে বিপজ্জনক ও উসকানিমূলক হিসেবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন মোকাবিলায় জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো এই অঞ্চলে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এরইমেধ্যে পিয়ংইয়ং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ বিশ্বকে আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

;

রাফাহ শিবিরে হামলা: জীবন্ত পুড়ে ৩৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার রাফাহ শহরের একটি পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শরণার্থী শিবিরের একটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অনেকেই নারী ও শিশু।

আল জাজিরা জানিয়েছে, হামলার পর তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। এতে অনেকে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।

এছাড়া তাল-আস-সুলতান এলাকাতেও হামলা হয়েছে। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ইসরাইলি বাহিনী জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহারকারী হামাস যোদ্ধাদের টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। আগুন লাগার সময় বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে ইসরাইল। তবে মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ করেনি তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি।

;

পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধস: মাটি চাপায় ২ হাজারের বেশি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ পাপুয়া নিউগিনি জাতিসংঘকে জানিয়েছে, দেশটির এঙ্গা প্রদেশের কাওকালামসহ কয়েকটি গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ জীবিত সমাহিত হয়েছে। 

সোমবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। মূলত দিন দুয়েক আগের ওই ভূমিধসে কাওকালাম গ্রামটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে প্রবল ভূমিধসে ২ হাজারেরও বেশি লোক চাপা পড়েছে বলে পাপুয়া নিউগিনি সোমবার (২৭ মে) জাতিসংঘকে অবহিত করেছে। মূলত একটি চিঠিতে দেশটি জাতিসংঘকে এই তথ্য জানায় এবং সেই চিঠির একটি অনুলিপি এএফপির হাতে এসেছে।

পাপুয়া নিউ গিনির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে অবস্থিত জাতিসংঘের অফিসকে বলেছে, ‘ভূমিধসে ২ হাজারেরও বেশি লোক জীবিত সমাহিত হয়েছে এবং এই ভূমিধস বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পাপুয়া নিউগিনির যে ভূমিধস হয়েছে, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রদেশের ৬টিরও বেশি গ্রাম। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাওকালাম গ্রামটি।

;

গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের জেগে উঠার আহ্বান হামাসের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের জেগে উঠার ডাক দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী রাফাহ শহরের একটি পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৫ জনকে হত্যা করেছে। এরপরই এমন আহ্বান জানাল সংগঠনটি।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অনেকেই নারী ও শিশু।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, হামলার পর তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। এতে অনেকে আগুনে পুড়ে মারা গেছে।

এছাড়া তাল-আস-সুলতান এলাকাতেও হামলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর ‘গণহত্যার’ বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনটি রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রোববার সন্ধ্যায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে অপরাধী দখলদার সেনাবাহিনী যে ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আমরা পশ্চিম তীর, জেরুজালেম, অধিকৃত অঞ্চল এবং বিদেশে অবস্থানরত আমাদের জনগণকে জেগে উঠার এবং চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানাই।’

তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহারকারী হামাস যোদ্ধাদের টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। আগুন লাগার সময় বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে ইসরায়েল। যদিও নিহতের বিষয়ে তারা কিছু বলেনি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

;