বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সিতে বাংলাদেশ কই?



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২০১৯ বিশ্বকাপ জার্সি নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা

২০১৯ বিশ্বকাপ জার্সি নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের বিশ্বকাপে দুই রংয়ের জার্সি পরে খেলবে বাংলাদেশ। একটি জার্সি পুরোই সবুজ। অন্যটি পুরোপুরি লাল। সাধারণত বাংলাদেশের জার্সিতে পতাকার লাল-সবুজের একটা মিশ্রণ আবহ ধরে রাখা হয়। কিন্তু এবার কিছুটা ভিন্নতা আনা হয়েছে সেই ধারণায়। শুধুই লাল। আর শুধুই সবুজ। জার্সিতে এই একরঙা ধারণার ছাপ রাখা হয়েছে এবার।

-খুব কি নতুনত্ব কিছু হয়েছে এবারের জার্সিতে?

উত্তর মিললো-খুবই সাধারণ একটা জার্সি এটা। ঠিক বোঝার উপায় নেই এই জার্সি বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে কিনা! এমন একরঙা জার্সি তো আয়ারল্যান্ড এবং জিম্বাবুয়ে আগেও পরে মাঠে নেমেছে!

এবারের বিশ্বকাপের জার্সির খোঁজ জানাতে বেশ কয়েকবার ঘটা করে সংবাদ সম্মেলনও হয়ে গেছে। কারা জার্সি বানাচ্ছে। কোন প্রতিষ্ঠান জার্সি বিক্রি করছে। অরিজিনাল অফিসিয়াল জার্সির দাম কেমন হবে ইত্যাদি ইত্যাদি তথ্যে তোলপাড় তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মূলত বিশ্বকাপ জার্সি নিয়ে একটা আলগা আমেজ তৈরির জন্যই এমন ঘনঘন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন। কিন্তু অফিসিয়াল জার্সি দেখার পর প্রায় সবার আগ্রহ মিইয়ে গেছে!
বাংলাদেশের জার্সি তে যে বাংলাদেশই নেই!

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ থেকে পেছনের সবগুলো বিশ্বকাপের জার্সি জমানোর শখ আছে দেশের সিনিয়র ক্রিকেট সাংবাদিক মাসুদ পারভেজের। কিছুদিন আগে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু তাকে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের একটি জার্সি সুভেনির হিসেবে উপহার দিয়েছেন। স্পোর্টস সুভেনির সংগ্রহ করা সৌখিন মাসুদ নিজেও এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সি দেখে হতাশ।

বার্তা২৪ এর কাছে তিনি বলছিলেন-‘এক কথায় বললে এটা একেবারেই সাধারণ মানের জার্সি। আমি জার্সির কাপড় বা সেলাই নিয়ে কথা বলছি না। ডিজাইন এবং রংয়ের যে ব্যবহার এতে করা হয়েছে এই জার্সিতে তা দেখে আমি হতাশ! জাতীয় দলের জার্সির পছন্দ এতো সাধারণ মানের কেন হবে?

আগের বিশ্বকাপের জার্সি প্রসঙ্গে মাসুদ জানালেন-‘২০১১ বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোন ধরনের জার্সি পরে খেলবে সেটা খুঁজে বের করতে একটা জার্সি ডিজাইন প্রতিযোগিতা হয়েছিলো। সুষ্ঠু সেই প্রতিযোগিতা শেষে একটা জার্সি বেছে নেয়া হয়েছিলো। সেই বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের জার্সিটা বেশ ভালো রং ও ডিজাইনের হয়েছিলো। একইভাবে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের জার্সিও এমন এক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে খুঁজে বের করা হয়। সেই জার্সিও মোটামুটি মানের হওয়ায় সবার প্রশংসা পেয়েছিলো। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের জার্সি ডিজাইনের মানে এবং রংয়ের মেজাজে মোটেও আকর্ষণীয় কিছু হয়নি।’

জানা গেছে যে কোম্পানিকে এবারের বিশ্বকাপের জার্সির ডিজাইন দিতে বলা হয়েছিলো তারা সবমিলিয়ে ২০ ধরনের ডিজাইন বিসিবির টেবিলে হাজির করে। সেই ডিজাইনের ভিড় থেকে বিসিবি যে দুটি রংয়ের জার্সি বেছে নিয়েছে সেটা সাধারণের কাছে প্রথম দেখায় মোটেও প্রশংসা পাচ্ছে না। বিসিবি মোটেও খুব ভালো কোনো ডিজাইন এবার বেছে নিতে পারেনি।

২০১৯ বাংলাদেশ বিশ্বকাপের জার্সি দেখে ফেসবুকে জাফর আহমেদ নামের একজন ক্রিকেটপ্রেমি মন্তব্য করেন-‘দেশে কি ডিজাইনারের এতো অভাব পড়েছে? সবুজে লাল নাই, আবার লালে সবুজ নাই। সবুজ দিচ্ছে তাও পাকিস্তানি আর আইরিশ (আয়ারল্যান্ড) লাগে। আবার লালটা লাগে কানাডা নয়তো জিম্বাবুয়ে..!’

ঠিক একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানালেন সিনিয়র ক্রিকেট সাংবাদিক মাসুদ পারভেজও-‘বাংলাদেশের ক্রিকেট জার্সি মানেই লাল-সবুজের একটা মিশ্রণ থাকবেই। এবার মিশ্রণটা রাখা হয়নি। দুটো রংকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। জার্সিতে আমাদের ঐতিহ্যের সেই রংয়ের মিশ্রণ না রাখায় আমার মনে হচ্ছে এই জার্সি ঠিক বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে না!’

   

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;

টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’ সেখানে একক টেবিল টেনিস ইভেন্টে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের রুমেল খান। রানার্স-আপ হয়েছেন সংবাদ সংযোগের মো. শামীম হাসান এবং তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল।

আজ (শনিবার) সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোরে অনুষ্ঠিত হয় এই টেবিল টেনিস ইভেন্টটি।

এদিকে টেবিল টেনিসের দ্বৈত ইভেন্টে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রুমেল খান ও মাহমুদুন্নবী চঞ্চল জুটি। এর মধ্য দিয়ে দ্বিমুকুট জয় করেন রুমেল খান। দ্বৈতে রানার্স-আপ হয় মজিবুর রহমান ও মোরসালিন আহমেদ জুটি এবং তৃতীয় হয়েছে মো. শামীম হাসান ও সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জুটি।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আর্চারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবকটি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও। এছাড়া প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

;