রাজধানীর মিরপুরের কালশি বস্তিতে মাদকদ্রব্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের সন্ধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান ২ কেজি গাঁজাসহ দুই ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এই অভিযানে থানা পুলিশ, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), আনসার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতেরর সর্বমোট ২০০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেছে।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
অভিযান শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রোর সহকারি পরিচালক খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০০ সদস্য নিয়ে অভিযানে পরিচালনা করা হয়। কিন্তু অভিযানের কথা ও আমাদের উপস্থিতি আগে থেকে টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, অভিযানে ২ কেজি গাজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া রংপুরবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ২৪ -এর গণঅভ্যুত্থানে আপনারা আবু সাঈদের মতো একজন বীর পেয়েছেন। তার কারণে উত্তরবঙ্গের অভাব ঘুচবে। আবু সাঈদের উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রতিনিধিরা নানাবিধ সমস্যার নোট দিয়েছেন, তা উচ্চপর্যায়ে বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং বাস্তবায়নে কাজ করার আশ্বাস দেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটায় রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আজ ২৪ -এর শহীদ পরিবারদের কথা শুনেছি। আমরা চাই দেশ গড়ার প্রতিটি আয়োজনে যেন শহীদ পরিবারদের সদস্যদের কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়। আমরা শহীদদের স্মরণ রাখতে পারি তাদের পরিবারের মাধ্যমে। ইতোমধ্যে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে শহীদ ও আহত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। সারাজীবন বাংলাদেশ তাদের পাশে আছে এবং থাকবে। শহীদ পরিবারে ৩০ লক্ষ করে টাকা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে অতি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে। শুধু তাই নয়,তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
রংপুরবাসীকে আশ্বাস দিয়ে তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রাণের দাবি পূরণ করার জন্য অতি দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নের জন্য কীভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যায় তা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কাজ করবে।
২৪ এর গণঅভ্যুত্থান হয়েছে মানুষের স্বপ্নের জায়গা থেকে। আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছি। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি বাংলাদেশে অঞ্চলভেদে যে বৈষম্য, এমপি, মন্ত্রীদের নিজ নিজ অঞ্চলের উন্নয়ন চোখে পড়েছে তবে অবহেলিত অঞ্চলগুলোর খোঁজ রাখা হয়নি৷ তারমধ্যে অন্যতম বৈষম্যের অঞ্চল রংপুর। আপনাদের উন্নয়ন বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও তার জামিন নামঞ্জুরের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক বিবৃতির মাধ্য এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সনাতন সম্মিলিত জোটের মুখপাত্রকে গ্রেফতার ও তার জামিন নামঞ্জুর করে দেওয়ার বিষয়টি আমরা বেশ উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি।
এছাড়া, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুট করা, বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নুরজামাল (২১) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চান্দুয়াইল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরজামাল চান্দুয়াইল গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যুতিক পাম্প দিয়ে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে পানি দিচ্ছিলেন নুরজামাল। অসাবধানতা বসত বিদ্যুৎ সঞ্চালন তারে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী আহত অবস্থায় নুরজামালকে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শরিফুল ইসলাম নুরজামালকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলমাকান্দা থানায় অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, সেচের পাম্পে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। তবে পরিবারের কোনো প্রকার অভিযোগ না থাকায় ঊর্ধ্বতনদের সাথে কথা বলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কে না চায়। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে করতে হয় পরিশ্রম। স্নাতক পড়া অবস্থায় বন্ধুদের সাথে নিয়ে বায়িং হাউজের ব্যবসা শুরু করেন। পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করেন।পাশাপাশি গড়ে তোলেন ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান। করোনার আগে ব্যবসার পাশাপাশি নিজ জমিতে ফলের বাগান শুরু করেন। করোনার কারণে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ফল বাগানে মনোনিবেশ করেন। স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন কিভাবে ফলের বাগান বৃদ্ধি করা যায়। প্রথমে অল্প জমিতে ফলের বাগান শুরু করলেও এখন তা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৬ একর জমিতে। নিজের ফলের বাগানের নাম দিয়েছেন দিলু এগ্রাে ফার্ম। চায়না কমলা আবাদ করে বর্তমানে সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি। বলছিলাম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দিলুর কথা।
দেলোয়ার হোসেন দিলু উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে চায়না কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কমলাগুলো গাছে গাছে ঝুলছে। এ যেন চোখের তৃপ্তি। ১৪০টি চায়না কমলা গাছে কমলা ধরেছে থোকায় থোকায়। অনেকেই কমলার সাথে তুলছেন ছবি। প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ৪০ কেজি কমলা তোলা যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থান থেকে কমলার গাছ দেখতে ক্রেতারা ভিড় করছেন। বাগান দেখে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন অনেকে।
কমলা চাষি দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, প্রথমে ব্যবসার পাশাপাশি অল্প পরিসরে ফলের বাগান শুর করি। করোনার সময় ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হই। তারপর থেকে ফলের বাগানে মনোযোগ দেই। নিজ জমিতে শুরু করি ফলের বাগান। নিজের ফলের বাগানের নাম দেই দিলু এগ্রো ফার্ম। আমার বাগানটি আসলে মিশ্র ফল। আমার বাগানের মূল আকর্ষণ চায়না কমলা। সাড়ে ৬ একর জমিতে রয়েছে ফলের বাগান। ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে অল্প পরিসরে চায়না কমলা গাছের চারা রোপন করি। সঠিক পরিচর্যা করার ফলে ২০২২ সালে গাছে চায়না কমলা আসতে শুরু করে। চায়না কমলা আবাদে বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা আয় করছি। খরচ বাদে তিন বছরে চায়না কমলা থেকে আয় করছি সাড়ে ৯ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমার বাগান প্রতিনিয়ত চারজন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের জন প্রতি ৪৫০ টাকা দিতে হয়। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই আসেন কমলার বাগান দেখতে। আমার বাগানের কমলা খুবই সুস্বাদু। এবছর ফলন ভালো হয়েছে। ১৪০টি কমলা গাছ থেকে ২০ থেকে ৪০ কেজি কমলা তুলতে পারবো। প্রতি কেজি কমলা ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কালিয়াকৈর চন্দ্রা থেকে কমলা বাগান দেখতে আসা রিপন মাহমুদ বলেন, আমি কমলা বাগানটি দেখার জন্য এসেছি। ভবিষ্যৎতে আমিও যেন উদ্যােক্তা হতে পারি সেই আশা নিয়েই এখানে আসছি। দেলোয়ার ভাইয়ের সাথে কথা বললাম, দেলোয়ার ভাইয়ের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম প্রত্যকটি এলাকায় এরকম নতুন নতুন কোন ফলের আবাদ যদি আমরা করতে পারি তাহলে আমরা দ্রুতই স্বাবলম্বী হবো।
গাজীপুর থেকে কমলা বাগান দেখতে আসা আশিকুর রহমান বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে দেলোয়ার ভাইয়ের বাগানের বিষয়টি জানাতে পারি। বাগানে এসে কমলার ফলন দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি। আমারও ইচ্ছে আছে পারিবারিক ফলের বাগান করার। যদি পারি কোনভাবে এখান থেকে চারা সংগ্রহ করে বাগান করার ইচ্ছে আছে আমার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন, আমরা কমলা চাষি দেলোয়ার হোসেনের কমলা বাগানে এসেছি। এই বাগানে ১৪০টি চায়না কমলা গাছ রয়েছে।এই বাগানটি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ও পরামর্শগত সহায়তা প্রদান করেছি। এখানে যিনি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন তিনি চাষি দেলোয়ারকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। কমলা গাছে কখন কি প্রয়োগ করতে হবে সবসময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহযোগিতা করেছেন। তিন বছরে অনেক ভালো ফলন এসেছে। আশা করছি সামনে আরও ফলন বাড়বে। কৃষক ভাইরা যারা বাগান করতে আগ্রহী তারা এই বাগানটি দেখে উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি আহ্বান জানাবো এই এলাকায় যারা কৃষক রয়েছেন এসে এই বাগানটি দেখে যান। আমি চাই এই এলাকায় আরও বাগান হোক। এই এলাকাটি পাহাড়ি এখানে ফলের বাগান করার সুযোগটা বেশি। দেশী ফল দিয়ে যেন দেশটাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারি।