ব্যারিস্টার মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন/ ছবি: সংগৃহীত

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন’ বলার ঘটনায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নারী সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ রকম ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়ারও দাবি জানান তারা। অন্যথায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নারী সংবাদকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তারা এই হুঁশিয়ারি দেন।

প্রতিবাদ সভায় এক খোলাচিঠিতে মাসুদা ভাট্টি বলেন, ‘দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা দিয়েই বুঝেছি যে, যুক্তিহীন মানুষই সাধারণত ব্যক্তিগত আক্রমণ করে। একজন নারীর ক্ষেত্রে বিষয়টি সব সময় তার চরিত্রকে নির্দেশ করে আক্রমণ করা হয়।

‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আপনিও তার ব্যতিক্রম নন। উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা আপনাকে বলেছেন, আপনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। এটা তিনি মেনে নেবেন না। কিন্তু আপনি অত্যন্ত রূঢ় হয়ে পুরো অনুষ্ঠানে কথা বললেন। বরাবরের মতোই সেটা ছিল আক্রমণাত্মক।’

চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘বুধবার সন্ধ্যায় যখন আপনি (মইনুল হোসেন) আমাকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ক্ষমা চাইলেন, তখন আমি বলেছি, যে অন্যায় কাজটি আপনি করেছেন একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন টকশোতে, তার সাক্ষি অনুষ্ঠানটির লাখ লাখ দর্শক। তাদের অগোচরে আপনি একটি ফোন করে ক্ষমা চাইলে আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে ক্ষমা করলেও যে অগণিত নারীকে আপনি অপমান করেছেন, তাদের ক্ষোভ কোনোভাবেই তাতে প্রশমিত হয় না।’

নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ‘মাসুদা ভাট্টি একজন নারী বলেই সরাসরি তাকে চরিত্রহীন বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল। তিনি মাসুদা ভাট্টিকে আক্রমণ করতে গিয়ে সব নারীকে অপমান করেছেন এবং এ জন্য তাঁর যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।’

প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাছিমা আক্তার সোমা, সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, ডা. নুজহাত চৌধুরী, সাংবাদিক মুন্নী সাহা, মিথিলা ফারজানা, নাসিমা খান মন্টি, শাহনাজ মুন্নী, ফারজানা রূপা, সুপ্রীতি ধর, আঙ্গুর নাহার মন্টি, ফারহানা মিলি, নাদিরা কিরণ, মুনমুন শারমিন শামস প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর টেলিভিশনের একটি টকশোতে মাসুদা ভাট্টি মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আপনাকে শিবিরের একটি জনসভায় অংশ নিতে দেখা গেছে। সে কারণে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন আপনি কি জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে উপস্থিত থাকছেন কিনা?’ প্রশ্নের জবাবে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার সাহসের প্রশংসা করতে হয়। তবে, আমি আপনাকে একজন চরিত্রহীন বলতে চাই।’ 

 

   

কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহমেদ কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্থ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে। তাহলেই তারা লাভবান হতে পারবেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় চত্বরে তিনদিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. শাকিল আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি মেলার আয়োজন করেছে। এতে করে অনেক কৃষক কন্দাল ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আমরা চাইছি, এই মেলার মধ্য দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকেরা যেন লাভবান হতে পারেন।

এসময় তিনি বলেন, কৃষক যদি উৎপাদন না করেন, দেশটা পিছিয়ে পড়বে। তাই, এই মেলার মধ্য দিয়ে আপনাদের বলছি, আপনারা আপনাদের জমি একটু ভাগ করেন। অন্তত তিন ভাগে ভাগ করেন। কিছু সবজি, কিছু কন্দাল ফসল ও কিছু ধান আবাদ করুন। তাহলেই আপনারা লাভবান হতে পারবেন।

অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল রানার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল হাসিম, কৃষক মো. মুর্শিদ প্রমুখ।

;

চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে চসিক-সিএমপি চুক্তি সই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মহানগরীতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) একটি চুক্তি সই করেছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের কোনো শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটিই প্রথম চুক্তি সই।

মঙ্গলবার (৭ মে) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়ের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও সিএমপির ডেপুটি কমিশনার (হেড কোয়ার্টার) আব্দুল ওয়ারিশ নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

সভায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিক এবং সিএমপি যানজটমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে একসঙ্গে কাজ করছে। ইতোমধ্যে, উচ্ছেদ কার্যক্রমের কারণে শহরে যানজট কমেছে। এই চুক্তির আওতায় পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা নিরাপদ নগর পরিকল্পনায় আরো এগিয়ে যাবো

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, তথ্যের এই আদান-প্রদান ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে আরো বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক ও গতিশীল করবে। ভূমিকা রাখবে সড়ককে আরো নিরাপদ করতে।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) বিশ্বের ২৮টি শহরে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহতের সংখ্যা কমাতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছে। চট্টগ্রামেও বিআইজিআরএসের কারিগরি সহায়তায় চসিক ও সিএমপি নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করবে।

জানা গেছে, এ চুক্তির লক্ষ্য চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বশীল দুটি প্রধান সংস্থা সিএমপি এবং চসিকের মধ্যে একটি সমন্বয় প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা। নগরের সড়ক ব্যবস্থাপনা, সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য লিপিবব্ধ করা এবং তদন্তের দায়িত্ব সিএমপির। অন্যদিকে, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিদ্যমান রাস্তাগুলির দেখভালের কাজটি চসিকের।

এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় সংস্থাই চট্টগ্রাম মহানগরীতে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য তথ্য আদান-প্রদান এবং সমন্বয় করে কাজ করবে।

এই চুক্তি দুর্ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান, ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্লেষণ, রাস্তার ডিজাইন এবং তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করবে। এর ফলে প্রতিটি সংস্থা কার্যকরভাবে তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে সড়ক নিরাপত্তায় শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। এছাড়া সড়ক অবকাঠামোর নকশা, নির্মাণ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে উভয় সংস্থা একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করবে।

এই চুক্তির অধীনে, চসিক ও সিএমপি দুর্ঘটনার তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে শহরে দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা কমিয়ে আনতে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা তথ্য বিশ্লেষণ করবে এবং যৌথভাবে বার্ষিক সড়ক নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

সংস্থাগুলি শহরের সড়ক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং রোডগুলি চিহ্নিত করতে একত্রে কাজ করবে, যেখানে নকশা পরিবর্তন, পরিমার্জন করা দরকার। বৃহত্তর অর্থে, এই চুক্তিটি সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য চসিক ও সিএমপির মধ্যে একটি সমন্বিত পদ্ধতির বিকাশ ঘটাবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুর, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের এমবেডেড কর্মকর্তারা।

;

ধান সংগ্রহে কৃষকদের হয়রানি না করার নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহে কৃষকরা যেনো হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে জেলাপ্রশাসক (ডিসি) ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো লেবার যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেদিকে জেলাপ্রশাসক (ডিসি) এবং আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। যারা লেবার সাপ্লাই দেন, সেই ল্যান্ডিং ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হয়, এজন্য আমরা সচেষ্ট থাকব। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

শিলাবৃষ্টিতে হাওরের ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, হাওরের ৯৮-৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। শুকিয়ে তা ঘরে তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওরকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষক যাতে হয়রানি না হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লক সুপারভাইজার বলা হতো, তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেওয়া আছে।’

মন্ত্রী বলেন, কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাহলে সেই ধান শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এজন্য কৃষি দপ্তরের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তারা আর্দ্রতার যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন।

;

হালদায় ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদায় ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ৬টার দিকে হালদা নদীর রাউজানের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম পাওয়া যায়।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সোমবারের টানা কয়েকঘণ্টার বজ্রপাতসহ ভারি বর্ষণের ফলে হালদায় পাহাড় থেকে যে ঢল নেমেছে এতে নদীর নিচের দিকে ডিমের দেখা মিলেছে৷ আজ সকাল ৬টায় ভাটার শেষের দিকে হালদা নদীর রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে পাকিরাম দাশ, হরিরন্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ ও সুনিলদাশ ১১ টি নৌকার মাধ্যমে ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে দুই থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেন তারা।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন আগে গবেষণা করে আমি একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। সেখানে বলেছি, পানির তাপমাত্রা কমে বজ্রপাতসহ ভারি বৃষ্টি হলে ৬ থেকে ১০ মের মধ্যে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। কাল এই সময়ের অমাবস্যার জো চলমান থাকবে।


পোনা সংগ্রহকারী সুনিলদাশ বলেন, সকালে আমরা নৌকা প্রতি আড়াই কেজি কার্প জাতীয় মাছের পোনা সংগ্রহ করেছি। গতকাল বৃষ্টি হওয়ার কারণে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে মা মাছ ডিম ছাড়তে অনুকূল পরিবেশ পায়নি। রাতের জোয়ার শেষে ভাটায় মা মাছ ডিম ছেড়েছে। আশা করি আরও ডিম সংগ্রহ করতে পারব।

সোমবার পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতরের পতেঙ্গা কার্যালয় তিন ঘণ্টায় ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চঙ্গা বার্তা২৪.কমকে বলেন, সোমবার বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়া বয়ে গেছে।

আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।

;