বাংলা ভাইয়ের সহযোগী ছিলেন আব্দুল ওহাব
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা আবারও সক্রিয় হচ্ছে। তবে তাদের সক্রিয়তার খবর ও কার্যক্রমকে নজরদারিতে রেখে সফল অভিযান পরিচালনা করছেন র্যাব-পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সদ্য র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া আনসার আল ইসলামের অপারেশন টিমের সদস্য আব্দুল ওহাব নির্বাচনী সহিংসতার পরিকল্পনা করছিলেন। এই আব্দুল ওহাব বাংলা ভাইয়ের সহযোগী ছিলেন বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
র্যাব জানায়, আব্দুল ওহাবের বাড়ি রাজশাহী বাগমারা থানায়। ২০০৫ সালে সে বাংলা ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে জেএমবিতে যোগদান করেন এবং সক্রিয়ভাবে রাজশাহী বাগমারা জেএমবি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
পরবর্তীতে ২০১১ সালে সে জসিম উদ্দিন রহমানির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে কাজ শুরু করেন। সে সময় জসিম উদ্দিন রহমানির বিশ্বস্ত হয়ে উঠেন তিনি।
২ বছর সক্রিয়ভাবে কাজ করার পর, ২০১৩ সালের ওহাবের আমন্ত্রণে জসিম উদ্দিন রহমানি বাগমারা এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দু’দিন অবস্থান করে এবং বিভিন্ন স্থানে গোপন মিটিং করে। যার নেতৃত্ব দেন আব্দুল ওহাব।
র্যাব সূত্রে আরও জানা যায়, আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা জসিম উদ্দিন রহমানির গ্রেফতারের পর সেখানে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দাওয়াতের কার্যক্রম তিনি পরিচালনা করেন।
আব্দুল ওহাবের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অপারেশন টিমে বিভক্ত করে দিয়েছেন ওহাব। তারা সবাই টিমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের কাজ করছেন।
একই উদ্দেশ্যে ২০১৫ সাল রাজধানীর জুরাইনে আনসার আল ইসলামের ৭-৮ জন সদস্য নিয়ে অপারেশন সেল গঠন করেন তিনি।
পরে অপারেশনাল টিমের কয়েকজন সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে। তারা গোপনে দাওয়াতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এ লক্ষ্যে তারা নতুন কর্মী সংগ্রহ মাসিক চাঁদা আদায়, দরিদ্র মানুষদের সহায়তা নামে জাকাতের টাকা সংগ্রহ করতে থাকে।
জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেরকে কেন্দ্র করে নাশকতার উদ্দেশ্য ছিলো ওহাবের এবং তার সহযোগিতায় বড় ধরনের সহিংস পরিকল্পনা করছিল তারা।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল রাজধানীর জুরাইন এলাকায় আনসার আল ইসলামের এই অপারেশনাল টিমের সদস্য ওহাবকে গ্রেফতার করেন।
র্যাব সদর দফতরের সিনিয়র এএসপি মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাশকতা করার পরিকল্পনা উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকে মিলিত হচ্ছিল এই জঙ্গিরা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সেখান থেকে আটক করা হয়।
সাংগঠনিকভাবে তার একাধিক নাম রয়েছে। আব্দুল ওহাব ওরফে মুস্তাফিজুর ওরফে হামিদ।