বেসরকারি শিক্ষকদের বেতনের অতিরিক্ত ১০ভাগ চাঁদা বাতিলের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
মানববন্ধনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা, ছবি: বার্তা২৪

মানববন্ধনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসরের সুবিধা বোর্ডের জন্য মূল বেতন থেকে পূর্বের ৬ ভাগ ও নতুন করে অতিরিক্ত ৪ভাগসহ মোট ১০ভাগ চাঁদা কর্তনের প্রজ্ঞাপনটি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এই প্রজ্ঞাপনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের জন্য মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো)। 

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাবেশিকফোর আয়োজনে, 'বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন হতে অতিরিক্ত ৪ভাগ চাঁদা কর্তনের প্রজ্ঞাপন বাতিল এবং বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণার দাবিতে এক মানববন্ধনে শিক্ষকরা এই দাবি জানান।

মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, ‘দেশের ৯৭ ভাগ শিক্ষা ব্যবস্থার মূল চালকের ভূমিকায় বেসরকারি শিক্ষকরা। বেসরকারি শিক্ষকদের অমর্যাদা, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও বৈষম্যের মাঝে রেখে মানসম্মত শিক্ষার প্রত্যাশা একটি অলীক কল্পনা মাত্র। শিক্ষার মানোন্নয়ন শিক্ষকদের আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা সম্মান মর্যাদা ও সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।’ 

তারা আরও বলেন, গুনমান সম্পন্ন শিক্ষকরাই পারেন যুগের চাহিদা অনুযায়ী মেধাবী দক্ষ জনশক্তি উপহার দিতে। এক্ষেত্রে সেই শিক্ষকদের ওপর অতিরিক্ত চাঁদা নির্ধারণ করাটা অমানবিক। আমরা শিক্ষকদের ওপর অতিরিক্ত চাঁদা নির্ধারণের অমানবিক প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাই। এবং বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণার দাবি জানাই।

বাবেশিকফোর সভাপতি মোঃ সাইদুল হাসান সেলিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন,  সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাস, হারুন-অর-রশিদ,  আমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মন্টু, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল জব্বার, দেলোয়ার হোসেন আজিজি, আব্দুল হালিম, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, রেহান উদ্দিন, আমির হোসেন সহ আরো অনেকে।

   

রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপনে প্রস্তুত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনে প্রস্তুত কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়।

প্রতিবারের মতো এবারও কুঠিবাড়ির আঙিনায় বাঁশ-কাঠ-ত্রিপল দিয়ে সাজানো হয়েছে মঞ্চ ও দর্শনার্থীদের বসার স্থান। রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে রং-তুলির আঁচড়, ব্যবহৃত জিনিসপত্রকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও শেষ হয়েছে। জন্মজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে কুঠিবাড়ির পাশেই তিন দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলারও আয়োজন করা হয়েছে।

এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরাও সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

জেলার দুইটি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও তীব্র গরমের কারণে তিনদিনের অনুষ্ঠান এবার দুই দিনে করা হচ্ছে। তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আগত দর্শনার্থীদের জন্য নতুন করে ৪টি টিউবওয়েল বসিয়ে সুপেয় পানি নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যবারের মতো থাকছে চিকিৎসক ও সেবক দল।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৮ মে) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন কুষ্টিয়া-৫ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ।

এবছর স্থায়ীভাবে নির্মিত মঞ্চে চলবে কবিগুরুর সাহিত্য ও শিল্পজীবন নিয়ে আলোচনা, গান ও কবিতা। এখানে এসে কবিগুরুর শিল্প ও সাহিত্যকর্ম ব্যক্তিজীবনে অনুপ্রেরণা যোগায় এমনটায় মনে করেন রবীন্দ্র ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।


বৈশাখের ঝড়-বৃষ্টিতে উৎসবের আয়োজন যাতে বিফলে না যায় তাই অক্লান্ত পরিশ্রম করছে নির্মাণ শ্রমিকেরা। পাশাপাশি আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন তারা।

সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ আয়োজনকে সফল করতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে।

এব্যাপারে শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান আল-আমিন জানান, বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার তিনদিনের স্থলে দুইদিন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই শিলাইদহ কুঠি-বাড়ির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ যে সকল কাজ আছে সেগুলো শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই সকল কাজ শেষ হয়ে যাবে।

সাহিত্যিক ইমাম মেহেদী বলেন, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে তার রয়েছে অসামান্য অবদান। কবিগুরুর দার্শনিক চিন্তাসমৃদ্ধ গভীর জীবনবাদী চিন্তা জাগানিয়া লেখায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে বাংলার জল, বাংলার মাটি, বাংলার ফল আর বাংলার আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা মানুষ।

তিনি সারা জীবন হৃদয়ের গহিনে লালন করেছেন মানব মুক্তির দর্শন। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই দর্শন অন্বেষণ করেছেন। তার কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাসসহ সব সৃষ্টি মানুষকে আজও সেই অন্বেষণের পথে, তার অনিষ্ট উপলব্ধির পথে আকর্ষণ করে।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এই অঞ্চলের জমিদারি পান। পরবর্তী সময়ে ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে জমিদার হয়ে আসেন। শিলাইদহে তিনি ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারি পরিচালনা করেন। এখানে অবস্থানকালে তিনি রচনা করে তার বিখ্যাত গ্রন্থ সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালীসহ আরও বিভিন্ন গ্রন্থ।

রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে বসেই গীতাঞ্জলী কাব্য গ্রন্থের অনুবাদের কাজ শুরু করেন। পরে ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী গ্রন্থের অনুবাদে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এখানে বসে রচনা করা বিশ্বকবির অসংখ্য গান, কবিতা ও সাহিত্যকর্ম বাঙলা সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ। তাই রবীন্দ্র সাহিত্যে শিলাইদহের গুরুত্ব অন্যতম।

;

উপজেলা নির্বাচন

পীরগাছায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়ম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের পীরগাছায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা) নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ উপজেলায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগে দক্ষ ও অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিগত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন অনেক কর্মকর্তাকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা থেকে বাদ দিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া একই শিক্ষককে একাধিক কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রদান, ১০ গ্রেডের অফিসার প্রিসাইডিং এবং ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডের শিক্ষককে সহকারী প্রিসাইডিং, কর্মরত প্রতিষ্ঠান এবং নিজ ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে প্রার্থীরা একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেও সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নির্বাচনে দায়িত্ব প্রদান করার অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, কৌশলে একজন শিক্ষককে দুই বা তিনটি করে ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ দিয়ে পরবর্তীতে দালালের মাধ্যমে পাঁচশ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে অন্যদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই হ-য-ব-র-ল অবস্থা নিয়ে নিয়োগ প্রাপ্তদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পীরগাছা উপজেলায় ১১৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। ১১৩টি কেন্দ্রের জন্য ১১৩ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৭৬০ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১৫২০ জন পোলিং অফিসার, ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ২৩৯ জনসহ মোট ২৬৩২ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী শিক্ষকদের বাদ দিয়ে যারা দায়িত্ব পালন করতে চান না তাদেরকে নিয়োগ দিয়ে পরবর্তীতে নাম কাটা ও সংযোজন করতে দালালের মাধ্যমে পাঁচশ থেকে দুই হাজার টাকার ঘুষ বাণিজ্য করার অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।

পীরগাছায় সরকারী ও এমপিওভূক্ত কলেজ, মাদ্রাসায় প্রায় ১০০ জন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে চাকরি করছেন। সিনিয়র প্রভাষক, প্রভাষক প্রায় ১৫০ জন, বিভিন্ন সরকারি দফতর, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা আছেন প্রায় ৫০ জন অথচ ১০ম গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তাদেরকে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু নন এমপিওভূক্ত শিক্ষককে ভোট গ্রহণকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের অনেককেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

ভূক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ পীরগাছায় যোগদানের পর দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তিনি দালাল ছাড়া কোন কাজই করেন না। অফিস সময়ে দরজা আটকিয়ে ভিতরে বসে থাকেন তিনি। জরুরী কাজে কেউ দেখা করতে চাইলেও মেলে না অনুমোদন। এমনকি সেবা প্রার্থীরা দালাল ছাড়া সরাসরি অফিসে গেলে হেনস্থার শিকার হন এই কর্মকর্তার মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরও ফোন রিসিভ করেন না তিনি।

ঝিনিয়া ধনীর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমন চন্দ্র বলেন, আমাকে ২৫ নম্বর কেন্দ্রে পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আমি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং টাকা ছাড়াই ভাতা প্রাপ্তির মাস্টার রোলে আমার প্রাপ্তি স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। পরে টাকার বিনিময়ে আমার পরিবর্তে হাফিজার রহমানকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ আলী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আজাদ হোসেন সরকার বলেন, আমি ঘুষ না দেওয়ার কারণে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমার মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে দায়িত্ব না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়ে ভোটের দায়িত্ব নিয়েছেন। কাশিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্বাস আলী বলেন, নির্বাচন অফিসের এক দালালের মাধ্যমে ১৯৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপত্র দিয়েছেন।

তাম্বুলপুর মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক আদোল হোসেন বলেন, নির্বাচন অফিসের এক দালাল শিক্ষক প্রতি ৫শ টাকা হারে নিয়ে ভোটের দায়িত্ব পাইয়ে দিয়েছেন।

ডাকুয়ার দিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জ্যোৎস্না রাণী মহন্তকে ব্রামণীকুন্ডা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং অফিসার ও সাতদরগা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনন্তরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগমকে পূর্ব পারুল ও পেটভাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং নাছুমামুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারগীছ নিগারকে কিশামত পারুল শাহী স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা, পারুল ও ছাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ঝিনিয়া ধণীর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপক চন্দ্র বলেন, আমি দায়িত্বের জন্য কথা বললে নির্বাচন অফিসের লোক আমার নিকট ৫শ টাকার দাবি করলে আমি নগদ ২শ টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণের ভাতা উঠিয়ে বাকী টাকা পরিশোধের শর্তে আমাকে দায়িত্ব দেন।

এক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্বামী শফিকুল ইসলাম মাস্টারকে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কৌশলে অসংখ্য শিক্ষককে দুই থেকে তিনটি কেন্দ্রে দায়িত্ব দিয়ে পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে নতুন করে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট নিয়োগেও হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তানজিনা আফরোজের স্বামী গোফরান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন অফিসার ফারুক আহমেদ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে খুব পটু। তিনি যোগদানের পর থেকে অনিয়ম বেড়ে গেছে।

কৈকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোসলেহা খাতুন ও তাজমিনা আক্তার নিজের ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। নিজের কর্মরত প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চৌধুরাণী ফাতেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল আউয়াল। এমপিওভূক্ত শিক্ষক বাদ দিয়ে ননএমপিও শিক্ষক হাফিজার রহমান, রুমি ও সাইফুল ইসলামসহ অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ মাহবুবার রহমান ও তছলিম উদ্দিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি থাকায় সেই সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন। অভিযোগে তিনি জানান, শাহ মাহবুবার রহমান পীরগাছা মহিলা কলেজের সভাপতি। তছলিম উদ্দিন দেউতি স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও চর তাম্বুলপুর মাদ্রাসার সভাপতি। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার আবেদন করেন।

অপরদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন নিজেই তাম্বুলপুর, সাতদরগা দাখিল মাদ্রাসা, পবিত্রঝার ফাজিল মাদ্রাসা, অন্নদানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন অপর প্রার্থীরা।

অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, কিছু ভুল ত্রুটি আছে সেগুলো নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংশোধন করা হবে।

রংপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্যাহ্ আল মোতাহসিম বলেন, নিজ কর্মস্থল ও নিজের ভোটকেন্দ্রে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। সুনির্দিষ্টভাবে বললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

কারওয়ান বাজারে প্রাইভেটকারে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি প্রাইভেট কারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেন সোনারগাঁও ট্রাফিক পুলিশ বক্সে কর্মরত সার্জেন্ট মো. আশিকুর রহমান।

আশিকুর রহমান বলেন, কারওয়ান বাজার সোনারগাঁও সংলগ্ন ট্রাফিক বক্সে ডিউটিরত অবস্থায় দেখতে পারি হঠাৎ করে একটি প্রাইভেট কারে আগুনের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক আশেপাশের উপস্থিত জনতার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়।

এ ঘটনায় গাড়িতে অবস্থানরত দুইজন যাত্রী দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার কারণে কেউ দুর্ঘটনার শিকার হয়নি।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নেভানোর পর গাড়িটিকে রেকার এর মাধ্যমে দ্রুত স্থান থেকে সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

;

টাকা লেনদেনের জেরে হত্যা, মূল আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাপড়ের ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত টাকা লেনদেনের জেরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয় নারায়ণগঞ্জের পিয়ার আলী স্বপন (৩৫) কে। এ  ঘটনায় জড়িত হত্যাকারী ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আসামি নুরুল আমীন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (৭ মে) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল সোমবার রাজধানীর দক্ষিণ কেরণীগঞ্জ এলাকা থেকে র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-১৪ এর যৌথ আভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এম. জে. সোহেল বলেন, গত ১১ মার্চ সকালে নারায়নগঞ্জ সদর নৌ থানায় কর্মরত এসআই/ মো. সবুর মিয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ নৌ টহল করা কালে সংবাদ পাওয়া যায় যে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানার আলআমিন নগর সাকিনস্থ শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে একটি অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের (৩৫) মৃতদেহ ভাসছে।

পরে এসআই মো. সবুর মিয়া মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুলকালে অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের চোখের ডান পাশে ও কোমরের উপরের তলপেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের মাধ্যমে কাটা রক্তাক্ত জখম এবং বুকে রক্ত জমাট আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে শাতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় নারায়নগঞ্জ সদর নৌ থানায় কর্মরত এসআই মো. সবুর মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর প্রাথমিক তদন্তে ভিকটিমের নাম পিয়ার আলী স্বপন (৩৫) এবং ভিকটিম নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানা যায়।

ভিকটিম স্বপনের সাথে আসামি নুরুল আমিন (৪২) এবং আসামি নুরুল আমিনের ছোট ভাই রুহুল আমিন (৩৯) অংশাদারিত্বের ভিত্তিতে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভিকটিমের সাথে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আসামি নুরুল আমিন ও রুহুল আমিন অজ্ঞাতনামা অন্যান্য আসামিদের সহযোগীতায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে হত্যাকরে। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানার আলআমিন নগর সাকিনস্থ এস এস ডক ইয়ার্ড সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনাটি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-১৪ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল পিয়ার আলী স্বপন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৬ মে আনুমানিক রাত সাড়ে ৯ টার দিকে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৪ এর সহযোগিতায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন কদমতলী এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে স্বপনকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আসামি নুরুল আমিন (৪২), কে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর হতে নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য রাজধানী ঢাকা, আশুলিয়া ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;