ঋতু বদলে বেড়েছে মশার উপদ্রব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
ঋতু বদলে বেড়েছে মশার উপদ্রব। ছবি: বার্তা২৪.কম

ঋতু বদলে বেড়েছে মশার উপদ্রব। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রকৃতিতে ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে খুলনায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। রাতে মৃদু শীতল পরিবেশ আর দিনভর উত্তপ্ত আবহাওয়ার এ সময়ে মশার কামড়ে নগরজীবন অসহনীয় হয়ে উঠছে। দিনে কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। মশার কামড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থী, শিশু ও বৃদ্ধরা। বিঘ্ন ঘটছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকার ড্রেন-নর্দমা অপরিচ্ছন্ন। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় জমে থাকা দূষিত পানিতে মশা বংশবিস্তার করছে। সেই সঙ্গে মরার উপর খাড়ার ঘা খুলনায় চলমান ওয়াসার উন্নয়নমূলক প্রকল্প।

মধুমতি নদী থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি এনে খুলনার নগরবাসীকে তা সরবরাহের বৃহৎ এ প্রকল্পের কারণে প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে প্রতিটি এলাকা, এমনকি অলি-গলিতেও চলছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে পাইপলাইন বসানোর এ কাজের কারণে অনেক স্থানের ড্রেন-নর্দমা পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মশার উৎপত্তি বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

নগরবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত ড্রেন-নর্দমা পরিষ্কার না করা, মশার বংশবিস্তারের উৎপত্তি স্থলে সঠিকভাবে ওষুধ প্রয়োগ না করা ও মশা নিধন কার্যক্রম তড়িৎ গতিতে না হওয়ায় নগরীতে এর উপদ্রব বাড়ছে।

নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘একদিকে রাস্তা খোঁড়ার কারণে চলাচলে সমস্যা হয়, আরেকদিকে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হচ্ছি। দিনের বেলায়ও মশার কামড়ে কোথাও বসতে পারি না। এ কারণে নিত্যদিনের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। আমরা কবে যে এ দশা থেকে মুক্তি পাব ওপরওয়ালাই জানেন।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/14/1552549992570.jpg

খালিশপুরের বাসিন্দা নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহার সাদিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকার রাস্তাঘাট আর ড্রেনগুলো অনেক অপরিচ্ছন্ন। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। বিকেল থেকেই মশায় ঘরভর্তি হয়ে যায়। দুপুরে দরজা জানালা আটকে রাখি, তারপরেও এতো মশা কোথা থেকে আসে বুঝি না। বাধ্য হয়ে মশারি টাঙিয়ে তার ভেতরে বসে পড়তে হয়।’

নাগরিক আন্দোলনের সংগঠন জনউদ্যোগ খুলনার আহ্বায়ক কুদরত ই খুদা বার্তা২৪.কমকে জানান, মশা নিধনে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) পদক্ষেপ দেখা যায় না। আগে বাড়িতে বাড়িতে মশার ওষুধ ছিটানো ও ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া দেয়া হতো। তা বর্তমানে দৃশ্যমান নয়। ফলে সন্ধ্যা হতেই মশারির মধ্যে ঢুকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মশার অত্যাচার‌ে অতিষ্ঠ হচ্ছে সবাই। বড় অংকের বাজেট থাকার পরেও কর্তৃপ‌ক্ষের উদাসীনতাই জনসাধার‌ণের দুর্ভো‌গের কারণ। নাগরিক এ সমস্যা সমাধানে কেসিসি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।

তবে খুলনা সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, নগরবাসীর অসচেতনতাই মশা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের আউটলেট উন্মুক্ত রাখা, ড্রেনে অপদ্রব্য ফেলে পানি সরবরাহ বন্ধ করা, ঝোপ-ঝাড়-বাগানে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে মশার উপদ্রব বাড়ছে। এছাড়া শীত থেকে গরম আবহাওয়ায় পরিবর্তনের এ সময় মশার উপদ্রব কিছুটা বাড়ে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের কনজারভেন্সি শাখার কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মশা নিধনে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে। লার্ভিসাইড ও লাইট ডিজেল ছিটানোর পাশাপাশি ফগার মেশিন দিয়েও কার্যক্রম চালাচ্ছি আমরা। এছাড়াও উড়ন্ত মশক নিধনে ৩১টি ওয়ার্ডে ১০ জন করে তিনটি গ্রুপে ফগার মেশিন দিয়ে অ্যাডাল্ট্রিসাইড স্প্রে করা হচ্ছে। বর্তমানে মশার প্রজননের সময় চলছে। এ কারণে মশার উৎপাত বেড়েছে। ডিম নষ্ট করতেই ড্রেনগুলোতে লার্ভিসাইড ও লাইট ডিজেল স্প্রে করা হচ্ছে। দ্রুতই এ সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটবে। তবে আমাদের এতসব কার্যক্রমের মাঝেও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো নাগরিকদের সচেতনতা।’

অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে সুরমার পানি, তলিয়েছে রাস্তাঘাট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে সুরমার পানি, তলিয়েছে রাস্তাঘাট

অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে সুরমার পানি, তলিয়েছে রাস্তাঘাট

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে একদফা বন্যায় কাটানো সুনামগঞ্জে আবারও বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে সুরমা ও যাদুকাটা নদীর পানি। তলিয়ে গেছে গ্রামের রাস্তাঘাট, তাহিরপুরের সাথে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এদিকে দু’দফা বন্যা হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ স্টেশনে সুরমা নদীর পানি ৬৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ও ছাতকে ২৩ সেন্টিমিটার ওপরে বইছে। এতে পানি উঠেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সাহেববাড়ি, উত্তর আরপিননগর, বাগানবাড়িসহ কয়েকটি এলাকার সড়কে। তলিয়ে গেছে সদর, জগন্নাথপুর, তাহিরপুরসহ কয়েকটি উপজেলার গ্রামীণ সড়ক।


তাহিরপুরের সীমান্ত নদী যাদুকাটাও বইছে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়ক ডুবে বন্ধ হয়ে আছে তাহিরপুরের সাথে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ। 

দোয়ারাবাজার উপজেলার আকরম আলী বলেন, এক বারের বন্যার এখনো ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আবার বন্যার শঙ্কা। আমাদের বাঁচা দায় হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুরের আমরিয়া বিবি বলেন, ঘরের কোমর পানি উঠছিল সেই পানি এখনো উঠানে রয়ে গেছে আবার পানি বাড়তেছে। ঘরের আগের ভাঙাই এখনো ঠিক করতে পারিনি। আবার বন্যা এলে আবার নতুন করে ভাঙবে। আমরা কিভাবে এগুলো ঠিক করবো।


গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ১৭০ মিলিমিটার ও চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাত ও ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে।

সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জে অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। আরও দুদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

;

নীলফামারীতে ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ৩৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময়ে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।

রোববার (১ জুলাই) রাতে বালাগ্রামের মন্হেরডাঙ্গা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- লালমনিরহাট পাটগ্রাম এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে মিঠু (২৭) ও একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির (২৫)।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তারা দুজন পাথর বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ে লালমনিরহাট থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময়ে জলঢাকার মন্হেরডাঙ্গা বাজার এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের ৩৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করেন।

এবিষয়ে জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, গতকাল রাতে দুই মাদক কারবারি ট্রাকে বিশেষ কায়দায় ৩৪৫ বোতল ফেন্সিডিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করেন ও ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দফতরে জমায়েত হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। সারাদেশের সমিতির সাথে একযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

সকাল থেকেই নিজেদের দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করছেন তারা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত দাবি দুটি হলো- স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারণে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিতরণ লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।

আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫ মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যাই। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী দাবি দাওয়া উল্লেখ করে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষরসহ চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম (ওএন্ডএম) সৈকত বড়ুয়া বলেন, সারাদেশের সাথে একযোগে আমাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে জরুরি বিদ্যুৎ সেবার দিকে আমাদের নজর রয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপীড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে আবারও আমাদের কর্মবিরতিতে যেতে হলো।

;

পীরগঞ্জে অসহনীয় লোডশেডিং থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজি এবং অসহনীয় লোডশেডিং থেকে মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে এই মানববন্ধন করা হয়।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানবন্ধন চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন রায়, উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ইত্তেশাম উল হক মিম, উপজেলা জাসদের সভাপতি সলেমান আলী, উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুর্তাজা, প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি বিষ্ণুপদ রায়সহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।

অবিলম্বে বিদ্যুতের লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে আনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচীর ডাক দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পীরগঞ্জ উপজেলার গ্রাম গঞ্জে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

;