ধানের জাত ও নমুনা চেয়ে সরকারকে মিল মালিকদের চিঠি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ধানের জাত ঠিকমতো না চেনায় কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকল মালিকরা ধানের জাত ও জাতের নমুনা চেয়ে কুষ্টিয়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে কুষ্টিয়ার অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (৩০ জুন) কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তার দপ্তরে এ চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি ওমর ফারুক উল্লেখ করেন, চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত লিখতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাইস মিল (চালকল) মালিকদের। এজন্য সরকারের তালিকাভুক্ত ধানের জাতের নাম ও নমুনা সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ওমর ফারুক জানান, সরকার বলছে, মিনিকেট বলে কোনো ধান নেই। কিন্তু আমরা এ নামে ধান কিনছি কৃষকদের কাছ থেকে। তাহলে ওই ধানের ক্ষেত্রে বস্তায় কি লিখব, তা জানার জন্যই এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে চালের বস্তায় ধানের জাত, মিলের ঠিকানা ও দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হলেও এখনও হাট-বাজার ও আড়তে কার্যকর হয়নি সরকারি সেই নির্দেশনা। বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকদের কাছ থেকে নির্দেশনাযুক্ত চালের বস্তা হাতে পাননি তারা।

কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান, অন্য জাতের ধান থেকে মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করে লাভবান হন মিল মালিকরা। তাই তারা এসব চিঠি দিচ্ছেন। চিঠিটি ঊর্ধ্বতন মহলে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা এলে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা জানান, সরকার অনুমোদিত জাতের ধান ছাড়া অন্য নামে যেমন মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করার সুযোগ নেই। করতে দেওয়া হবে না।

কুষ্টিয়ার খাজানগরে ৫০টির মতো অটোমেটিক রাইস মিল থেকে সারাদেশের সরু চালের সিংহভাগ সরবরাহ করা হয়। ধানের জাত যেটাই হোক, এখান থেকে মিনিকেট নামের চালই বেশি সরবরাহ হয়ে থাকে। বাজারে মিনিকেট চালের চাহিদা বেশি। এ কারণেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিপত্র জারি করেছে যে চালের বস্তার গায়ে ধানের জাতের নাম ও চালের দাম লিখে দিতে হবে। আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ মিল মালিক বস্তার গায়ে এসব তথ্য লিখছেন না।

অপরদিকে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুষ্টিয়ার বেশিরভাগ কৃষকই তাদের ধানের জাতের নাম উল্লেখ করেই বিক্রি করেন। এছাড়া কৃষি বিভাগও ধানের জাত উল্লেখ করেই বীজ বিতরণ ও প্রণোদনা দিয়ে থাকে। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী উৎপাদিত ধানের জাত উল্লেখ থাকে। তবে মিলাররা এসব ধানকে সরু করে মিনিকেট বলে বিক্রি করেন। জাত উল্লেখ করে বিক্রি করলে মিলারদের মিনিকেটের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা এমনটা করছেন।

এছাড়া অদৃশ্য কারণেই কুষ্টিয়ার চালকল মালিকরা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দিনের পর দিন মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করে আসছেন। এর মধ্যে জাত না চেনার এ চিঠি তথ্য গোপন করে মিনিকেট বাজারজাত ও সরকারি নির্দেশনা অমান্যের জন্য কালক্ষেপণ মাত্র- এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্ট।

চট্টগ্রামে থানায় আসামির ঝুলন্ত মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চান্দগাঁও থানা/ছবি: সংগৃহীত

চান্দগাঁও থানা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার হাজত খানায় মো. জুয়েল (২৬) নামের এক আসামি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

মো. জুয়েল চান্দগাঁও খেজুরতলা এলাকার মৃত আব্দুল মালেক প্রকাশ আব্দুল মাবুদের ছেলে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, পরোয়ানামূলে আসামি মো. জুয়েলকে গ্রেফতার করে থানার হাজতখানায় রাখা হয়। আজ ভোর ৬টা ২৫ মিনিটে জুয়েল নিজের পরনের শার্ট খুলে হাজতের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুবরণ করে। সিসিটিভির ফুটেজে তা দেখা যায়।

ওসি আরও বলেন, জুয়েলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনে মোট ৭টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

সাতক্ষীরায় উচ্ছেদকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন/ছবি: বার্তা২৪.কম

ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় সড়কের পাশ থেকে উচ্ছেদকৃত অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (০৩ জুলাই) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি, বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এর আয়োজনে এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা উচ্ছেদকৃত ভূমিহীন পরিবারগুলোর দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, পরিবারগুলো বসতঘর হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খোলা মাঠে পলিথিন টানিয়ে দিন-রাত কাটছে তাদের। কারো ঘরে চুলা জ্বলেনি গত দুইদিন। অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। নারীরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জায়গাও পাচ্ছে না। বৃষ্টির মধ্যে শিশুদের কোলে জড়িয়ে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছে পরিবারগুলো।

বক্তারা আরও বলেন, ৪০-৫০ বছর আগে এসব পরিবার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা কারণে ভিটে-মাটি হারিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা, বাঙালের মোড় এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় খুপড়ি ঘর বেধে বসবাস শুরু করেন। কেউ ভ্যান-রিকশঅ চালায়, কেউ জোগাড়ি দেয়, কেউ দিনমজুরের কাজ করে। কেউ স্বামী পরিত্যাক্তা, কেউ বিধবা, কেউবা প্রতিবন্ধী। তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বলেই তারা খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টানিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

তারা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্টরা সরকারকে প্রকৃত তথ্য সরবরাহ না করায় আজ পরিবারগুলো পথে বসেছে। শুধু ইটাগাছা বস্তি নয়, এমন হাজারো পরিবার এখনো সাতক্ষীরা জেলায় রয়েছে, যারা ভূমিহীন। যাদের থাকায় নিরাপদ জায়গা নেই। রাস্তার পাশে খুপড়ি ঘর বেধে জীবনযাপন করছেন। কিন্তু তাদের কথা বিবেচনায় না নিয়েই সাতক্ষীরাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে ফেসবুকে অনেকে ট্রলও করেন। এতে সরকারের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার মহৎ উদ্যোগ ম্লান হচ্ছে। তাই অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীন অসহায় মানুষকে পুনর্বাসন করতে হবে।

মানববন্ধনে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, সিপিবির আবুল হোসেন, বাংলাদেশ জাসদের ইদ্রিস আলী, গণফোরামের আলী নুর খান বাবুল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মুনসুর রহমান, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের আব্দুস সামাদ, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের মুশফিকুর রহিম, উচ্ছেদ হওয়া প্রতিবন্ধী হাফিজা খাতুন, জবেদা খাতুন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ০১ জুলাই থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে ইটাগাছা-বাকাল এলাকার শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র পরিবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।

;

কুমিল্লায় কাভার্ডভ্যান উল্টে চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যান খাদে পড়ে চালক নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নোয়াবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চালকের নাম মো. মেহেদী হাসান (৩০)। তিনি নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার শুলটিয়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মো. ইলিয়াছ শেখের ছেলে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মেহেদী হাসান সুজন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের নোয়াবাজার এলাকায় ঢাকামুখী দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে কাভার্ডভ্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ঘটনাস্থলে চালক মো. মেহেদী হাসান নিহত হন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে।

মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

আগুনে পুড়ল বান্দরবানের নির্মাণাধীন ইকো রিসোর্ট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে আগুন লেগে নির্মাণাধীন একটি রিসোর্টের কটেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে শহরের মিলনছড়ি এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাত ১০টার দিকে শহরের মিলনছড়ি এলাকায় ডুমুর রিসোর্টের একটি কটেজে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। এটি ইকো কটেজ ছিল। বাঁশ কাঠ দিয়ে তৈরি। এ কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান তিনি।

রিসোর্টের মালিক আবুল হাসেম চৌধুরী জানান, এই রিসোর্ট তাদের ৫ জনের অংশীদার। তার দাবি, চক্রান্ত করে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও রিসোর্টে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হওয়ার দাবি করেছেন তিনি।

;