২০৪০ সালের মধ্যেই তামাক মুক্ত হবে দেশ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪০ সালে তামাক মুক্ত হবে বাংলাদেশ। তবে আমি বলতে চাই এর আগেই বাংলাদেশ তামাক মুক্ত হবে।
রোববার (১২ মে) দুপুর দেড়টার দিকে পিকেএসএফ মিলনায়তনে জাতীয় তামাক বিরোধী প্ল্যাটফর্ম বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৯ উপলক্ষে সেমিনার ও তামাক নিয়ন্ত্রক শীর্ষক পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মন্ত্রী।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করার জন্য আমরা কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকীকরণ করব তাহলে কৃষি ক্ষেত্রে আরও উন্নত হবে। একই সাথে আমাদের সরকার কৃষিতে লাভজনক করার জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে।'
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘তামাকের সমস্যাটা জটিল ও কঠিন। এর ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা জানি। যারা তামাক চাষ করে তাদেরকে এর ভয়াবহতা বোঝাতে হবে এবং অন্য ফসল চাষে উৎসাহিত করতে হবে।
তামাক কোম্পানিগুলোর রেভিনিউ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘তামাক কোম্পানিগুলো সরকারকে ২২ হাজার কোটি টাকা রেভিনিউ দেয়। এখানে অনেক টাকা। আমাদের জাতীয় পর্যায়ে চিন্তা করতে হবে। দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আরও উন্নয়ন করার জন্য রেভিনিউ বাড়াতে হবে। কাজেই এর জন্য ব্যতিক্রম চিন্তা করতে হবে জাতীয় পর্যায় থেকে, যাতে কারে তামাক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে রেভিনিউ না নিতে হয়।'
তামাক চাষ বন্ধে কৃষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘রংপুরে যেখানে তামাক চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল। সুখের কথা হল রংপুরে এখন আলু চাষ হয় তামাক চাষ কমে গেছে। আমরা ভেবে দেখেছি কিভাবে আন্তর্জাতিক বাজার ধরা যায় তার জন্য চট্টগ্রামে কফি, ক্যাশোনাট উৎপাদন করলে এগুলো আমরা বাইরে রফতানি করতে পারব। তাই কৃষক ভাইদের তামাক বাদ দিয়ে এগুলো উৎপাদন করার অনুরোধ করব।'
মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পিকেএসএফ এর সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, ‘তামাক চাষ বন্ধে আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টির পাশাপাশি তামাক সেবনে ট্যাক্স বাড়িয়ে এর দাম বাড়ানো যেতে পারে। সিগারেটের দাম বাড়াতে হবে। তামাক চাষ বন্ধে সরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো নিলে তামাক চাষ নির্মূল করা যাবে।'
অনুষ্ঠান শেষে তামাক নিয়ে কাজ করার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক দেওয়া হয়। ব্যক্তি উদ্যোগ ক্যাটাগরিতে পদক পান প্রাণ গোপাল দত্ত। গবেষণা/প্রকাশনা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি পুরস্কার পায়। তরুণ গবেষক হিসেবে সৈয়দ সাজেদা আফরোজ রুম্পা কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।