চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের পর ৪৯২ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মাঝে ফেল থেকে পাস করেছে ৮০ জন শিক্ষার্থী। নতুনভাবে জিপিএ-৫ পেয়েছে আরও ৪২ জন।
শনিবার (১ জুন) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান পরিবর্তিত এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
মাহবুব হাসান বার্তা২৪কে বলেন, ‘পুনঃনিরীক্ষণের পর ঘোষিত ফলাফলে গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ৩৯৮ জনের। ফেল থেকে ফেল করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ জন।’
পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিল ১৯ হাজার ১৮৩ জন শিক্ষার্থী। এরজন্য ৪৪ হাজার উত্তরপত্র নিরীক্ষণ করতে হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগদান শেষে দেশে ফিরলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবরাগত রাত ৩টা ৩২ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী ‘কাতার এয়ারওয়েজে’র বাণিজ্যিক ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের সবচেয়ে সফলতম সফর ছিল এবার।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ১২টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সাইডলাইনে ৪০টি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। সফরকালে প্রধান উপদেষ্টার ব্যাপক কর্ম-তৎপরতা বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিশ্বের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং অংশীদারিত্ব এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন ড. ইউনূস। ভাষণে তিনি তুলে ধরেন জুলাই বিপ্লবের বীরত্বগাঁথা। এ সময় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আজও রাজধানী ঢাকাসহ সব বিভাগে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়াবিদ মো: ওমর ফারুকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছুজায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী সে. বৃদ্ধি পেতে পারে।
তবে সোমবার রাত থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
এছাড়া আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানানো হয়।
গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৬ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষজন। তিস্তা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় আগাম আলু রোপনের তৈরি জমি, মৌসুমী ফসলের ক্ষতিসহ আগাম আমন ধান নিয়েও দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে এগারোটায় রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রংপুরে তিস্তার পানি কাউনিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ও ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত রংপুরে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে খোলা রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট। আর ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা রক্ষায় জিও ব্যাগসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
কাউনিয়ার গদাই গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন ও আলামিন জানান, কয়েকদিনের ভারী ঝড়িত নদীর পানি হু হু করি বাড়োছে৷ এ্যালা হামরা আছি ঘরবাড়ি তলায় যাবার, আর ভাঙ্গনের ভয়ে। পানি কমা শুরু হইলেই ভাঙ্গা ধইরবে। আশে পাশে বেবাক ঘর- বাড়ি, আবাদী জমি নদীর পানিতে হারে গেইছে বহুবার। আর সহ্য হয়না তিস্তার থাবায় সর্বহারা হবার জইনতে।
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা একটার দিকে স্থানীয়রা তাকে দামুড়হুদা উপজেলার ছোট দুধপাতিলা রেললাইনের পাশে জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এসময় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বৃদ্ধার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ছোট দুধপাতিলা গ্রামের বাসিন্দা ইকরামুল হক জানান, রেললাইনের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বেলা সোয়া একটার দিকে গ্রামবাসীর সহায়তায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, ওই বৃদ্ধা গ্রামের বাসিন্দা নন। ট্রেনের ধাক্কায় অথবা চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে তিনি জখম হতে পারেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব জানান, বৃদ্ধার মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসার পর তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়, কিন্তু সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, এ ঘটনায় থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।