রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে
রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান তাদেরই করতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শনিবার (৪আগস্ট) সিঙ্গাপুরে ২৫তম আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট) আঞ্চলিক ফোরামের বৈঠকে এসব কথা বলেন। ২৭টি দেশের প্রতিনিধি এ বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি বলেন,২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ এক চরম ঘূর্ণিপাকে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্মরণকালে এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পড়েনি। মিয়ানমার সেনার অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গারা মুসলিম জনগোষ্ঠীর সদস্যদের বাংলাদেশ নৈতিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু সরকার ও জনগণ কেউই সারা জীবন রোহিঙ্গাদের রাখতে রাজী নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের রক্ষা ও তাদের ফেরত নিতে জাতিসংঘে ৫ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘসহ বিশ্বনেতাদের কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর ৫ দফা প্রস্তাবে বলেন অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করতে হবে, মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করা, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা, রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে এটি সমাধানে এগিয়ে আসার কথা বলেন।