এক বছরে ২ লাখ ২২ হাজার বাংলাদেশি চিকিৎসা নিয়েছে ভারতে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বারবার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের কথা বলা হলেও মানুষের আস্থা ফিরছে না। বরং দিন দিন বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের সংখ্যা বাড়ছেই। উচ্চবিত্তরা যেখানে থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন চিকিৎসা নিতে সেখানে উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি পর্যন্ত চলে যাচ্ছেন ভারতে চিকিৎসা নেয়ার জন্যে। এরই মধ্যে ভারতের পর্যটন মন্ত্রনালয় জানিয়েছে দেশটিতে বিদেশী রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি।
চেন্নাই, দিল্লী, কলকাতা এবং মুম্বাইয়ের মতো বড় শহরগুলোতে প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন নামী দামী হাসপাতালে রোগীরা যাচ্ছেন। চেন্নাইয়ের ভেল্লরে খ্রিষ্টান মিশনারি কলেজ (সিএমসি), মুম্বাইয়ের টাটা হসপিটাল, কলকাতা ও চেন্নাইয়ের এপোলো হসপিটালেই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি।
ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই বাংলাদেশ থেকে ২ লাখ ২১ হাজার ৭৫১ জন মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছেন।
বাংলাদেশের পরই রয়েছে আফগানিস্তানের রোগীর সংখ্যা। দেশটি থেকে ৫৫ হাজার ৬৮১ জন রোগী গত বছরে ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন। এরপর ইরাকের ৪৭ হাজার ৬৪০ জন রোগী, মালদ্বীপের ৪৫ হাজার রোগী, ওমানের ২৮ হাজার ১৫৭ জন রোগী ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন।
বাংলাদেশি রোগীদের জন্যে আরো সেবা বৃদ্ধি করতে ভারতের হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সঙ্গে এয়ারপোর্টগুলোতেও হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশে বিভিন্ন ৫ তারকা হাসপাতালে ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আধিপত্যতো রয়েছেই।
তবে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধীরে ধীরে বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অবহেলা এবং ওষুধ দেয়ার নামে কমিশন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়া থেকেই হতাশা তৈরি হয়েছে। এবং তারা বিদেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে।