তীব্র পরিবহন সংকটে মানুষের ভোগান্তি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাসের চাপায় সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় গণ পরিবহনের নৈরাজ্য বন্ধ ও বিচারের নয়দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের কারণে রাস্তায় নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে গণ পরিবহণ চলাচল বন্ধ রেখেছে মালিক-শ্রমিকেরা। ফলে রাজধানীতে আজও দেখা দিয়েছে তীব্র যানবাহন সংকট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

রোববার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে কোন গণ পরিবহন দেখা যায় নি। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১০ টা  পর্যন্ত শাহবাগ মোড় দাঁড়িয়ে বিআরটিসি বাদে কোন লোকাল বাস ছিল না। বিআরটিসির সংখ্যাও ছিল স্বল্প। এদিকে গণ পরিবহনের সংখ্যা কম থাকায় রিকশা চালকেরা যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম। মহসীন হল থেকে ব্যক্তিগত কাজে মগবাজার যাবেন তিনি। জানতে চাইলে বার্তা২৪কে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে কোন গাড়ি চলছে না। যেখানে নিয়মিত ভাড়া ৫০/৬০ টাকা সেখানে রিক্সা ওয়ালার ১০০ টাকার নিচে যেতে রাজি হন নি।’

ইন্টারনেটের স্পিড কম থাকায় ‘পাঠাও, সহজ, উবারের’ মত মোবাইল অ্যাপ শেয়ারিং অ্যাপ নিষ্ক্রিয় হওয়ায় বিগত দিনের মত সেগুলার সেবাও নিতে পারছে না যাত্রীরা। শাহবাগে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী শিহাবুজ্জামান বলেন, কোন উবার পাঠাও পাওয়া যাচ্ছে না, শাহবাগে মটোরসাইকেল গুলো দাঁড়িয়ে আছে। সেখান থেকে অতিরিক্ত টাকায় চুক্তি করে বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ‘ট্রাফিক সপ্তাহে’র অংশ হিসেবে মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের তল্লাশি শুরু হয়েছে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা রাস্তায় থাকা মটোরসাইকেল, গাড়ির লাইসেন্স, ফিটনেস চেক করছে। যাদের লাইসেন্স ঠিক নাই তাদের নামে মামলা দিচ্ছে।

অফিস গামী আনোয়ারুল ইসলাম বার্তা২৪কে বলেন, ট্রাফিককে কড়াকড়ি ও ছাত্রদের অন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার ঘাটতি থাকায় পরিবহন মালিক শ্রমিকরা রাস্তায় বাস নামাচ্ছেন না। তাদের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদেরকে। আজ সাতদিন হল সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে পারছে না। এভাবে চলতে পারে না। সবকিছুর দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। সরকারকে সময় দিয়ে ছাত্রদের ঘরে ফিরে যাওয়া দরকার এখন।