সূচির সঙ্গে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা 



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা নিয়ে চলমান সঙ্কট কিভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো এবং মিয়ানমারের স্ট্যাট কাউন্সিলর অং সান সুচি আলোচনা করেছেন। 

মিয়ানমার সফররত জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার (৬ আগস্ট) সুচির সঙ্গে এ আলোচনা করেন।

আলোচনা শেষে রাজধানী নেপোডিতে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে কোনো বলেন, এক ঘণ্টার বৈঠকে রোহিঙ্গা নিয়ে একটি নতুন প্রতিষ্ঠিত কমিশনকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মুক্ত এবং স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছি।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) ঢাকা আসছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর আমন্ত্রণে মিয়ানমার হয়ে ঢাকা আসছেন তিনি। দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় নিয়ে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে বসবেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রোহিঙ্গা সংকট রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। মিয়ানমার ঘোষণা করেছে, পশ্চিম মায়ানমারের রাজ্যের অভিযোগে তদন্তের জন্য সাবেক ফিলিপাইন ও জাপানি কূটনীতিকদের সমন্বয়ে একটি চার সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে, যেখানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে সেনাবাহিনী অভিযুক্ত হয়েছে।

কোনো সাংবাদিকদের জানান, তিনি মিয়ানমার সরকারকে উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য জাতিসংঘের সাথে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মায়ানমার সরকারকে এই বিষয়ে তদন্তের জন্য সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন যেমন তদন্ত কমিশন গঠন এবং জাতিসংঘের সহযোগিতায়, গণতন্ত্রের সফল রূপান্তরের জন্য রাখাইনের শান্তি ও স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো বলেন, জাপান সরকার মিয়ানমারের জনগণের সাথে হাত মেলাতে এবং সুচির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করবে।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সোমবার সকালে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

   

ডিএমপির নতুন এসি মিডিয়া জাহাঙ্গীর কবির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ডিএমপির নতুন এসি মিডিয়া জাহাঙ্গীর কবির

ডিএমপির নতুন এসি মিডিয়া জাহাঙ্গীর কবির

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি মিডিয়া) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির।

বর্তমানে তিনি ডিএমপি সদর দপ্তরে আছেন। ১৩ জুন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের এক অফিস আদেশে এ দায়িত্ব পান জাহাঙ্গীর কবির।

একই আদেশে ডিএমপির তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. এনামুল হক মিঠুকে ওয়ারী গোয়েন্দা বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।

;

রায়ের বাজারে দুর্ধর্ষ চুরি, থানায় মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার এলাকার একটি বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী রাজু আহমেদ। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, প্রায় ৮ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) রাতে রহিম বেপারীর ঘাটে একটি ভবনের তিন তলায় এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২২ জুন) বিকেলে রায়ের বাজারের কাটাসুর রোডের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, তিনতলার দরজার লক ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে চোর। এরপর বাসার দুই রুমের দুইটি ওয়ারড্রব ও একটি স্টিলের আলমারি ভেঙে ৫ ভরি স্বর্ণ, আলমারিতে থাকা একটি মাটির ব্যাংকে থাকা ৭০ হাজার টাকা ও ওয়ারড্রবে থাকা এক লাখ ৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়। সবমিলিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার, নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে গেছে চোর।

ভুক্তভোগী পাপিয়া আক্তার বলেন, আমি বাসায় খাবার রান্না করে বিক্রি করি। আমার স্বামী ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্যবসা করে। এভাবে একটু একটু করে স্বর্ণালংকার কিনেছিলাম। বাবার বাসায় বিকেলের চা খেতে গিয়েই সব হারালাম।

পাপিয়া আরও বলেন, স্টিলের আলমারির ভেতরে মাটির ব্যাংকে প্রায় ৭০ হাজার ও ওয়ারড্রবে এক লাখ ৬ হাজার টাকা ছিলো। সবই নিয়ে গেছে।

পাপিয়ার স্বামী রাজু বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৮ টার মধ্যে এই চুরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এক তরুণ খালি হাতে বাসায় প্রবেশ করে। এর পাঁচ মিনিট পর বাসা থেকে নেমে যায়। রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কল করে পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে দেখে গেছে। 

চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার বিকেলে কথা হয় মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহ্ফুজ হকের সঙ্গে।

তিনি বলেন, রায়ের বাজারের কাটাসুরে চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করছি। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

;

রাসেলস ভাইপার নিয়ে যেসব নির্দেশনা দিলো বন মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাসেলস ভাইপার প্রজাতির সাপের উপদ্রব ও মানুষের উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষের সঙ্গে এই সাপের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই সাপ সাধারণত নীচুভূমির ঘাসবন, ঝোঁপজঙ্গল, উন্মুক্ত বন, কৃষি এলাকায় বাস করে এবং মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে।

সাপটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সাথে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে গেলে সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে আক্রমণ করে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

সাপের কামড় এড়াতে করণীয় সম্পর্কে জানানো হয়েছে, যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা, লম্বা ঘাস, ঝোঁপঝাড়, কৃষি এলাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকতে হবে, গর্তের মধ্যে হাত-পা ঢুকানো যাবে না।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় বুট এবং লম্বা প্যান্ট পরতে হবে, রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করতে হবে, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার ও আবর্জনামুক্ত রাখতে হবে, পতিত গাছ, জ্বালানি লাকড়ি, খড় সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করা যাবে না এবং প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করে বা নিকটস্থ বন বিভাগের অফিসকে জানাতে হবে।

সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, দংশিত অঙ্গ নড়াচড়া করা যাবে না। পায়ে দংশনে- বসে যেতে হবে, হাঁটা যাবে না। হাতে দংশনে- হাত নড়াচাড়া করা যাবে না। হাত পায়ের গিড়া নাড়াচাড়ায় মাংসপেশীর সংকোচনের ফলে বিষ দ্রুত রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে গিয়ে বিষক্রিয়া করতে পারে।

এতে আরও জানানো হয়, আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে হবে, ঘড়ি বা অলঙ্কার বা তাবিজ, তাগা ইত্যাদি থাকলে খুলে ফেলতে হবে, দংশিত স্থানে কাঁটবেন না, সূই ফোটাবেন না, কিংবা কোন রকম প্রলেপ লাগাবেন না বা অন্য কিছু প্রয়োগ করা যাবে না, সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না, যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যেতে হবে, আতঙ্কিত হওয়া যাবে না, রাসেলস ভাইপারের বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

রাসেল'স ভাইপারের প্রাদুর্ভাব কমাতে করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল, তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এবং কিছু প্রজাতির সাপ ‘রাসেল'স ভাইপার’ খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এসব বন্যপ্রাণীকে মানুষের নির্বিচারে হত্যার কারণে প্রকৃতিতে ‘রাসেলস ভাইপার’ বেড়ে যাচ্ছে। তাই বন্যপ্রাণী দেখলেই অকারণে তা হত্যা, এদের আবাসস্থল ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এতে আরও জানানো হয়, ‘রাসেল’স ভাইপার’ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৬(১) ধারা অনুযায়ী সংরক্ষিত প্রাণী। ‘রাসেল’স ভাইপার’ ইঁদুর খেয়ে যেমন ফসল রক্ষা করে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সাপের বিষ হতে অনেক জীবন রক্ষাকারী ঔষধ তৈরি হয়। সাপ মারা দণ্ডনীয় অপরাধ, সাপ মারা হতে বিরত থাকুন।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম আছে এবং সব জায়গায় হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনম রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ বন বিভাগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
স্থানীয়ভাবে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও সচেতন সমাজের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আপডেট প্রদান করা হবে।

;

করতোয়া নদী থেকে 'নারীর' বিচ্ছিন্ন কবজি উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় করতোয়া নদীর পাড় থেকে এক নারীর দুই হাতের বিচ্ছিন্ন কবজি উদ্ধার করছে পুলিশ।

শনিবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে শহরের মাটিডালি এলাকা থেকে পলিথিন কাগজে মোড়ানো কবজি দুটি উদ্ধার করা হয়।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শহরের মাটিডালি এলাকায় করতোয়া নদীর বেইলী ব্রীজের নিচে একটি পলিথিনে ব্যাগ নদীতে ভেসে ভেসে যাচ্ছিল।এসময় স্থানীয় কয়েকজন কিশোর ব্যাগটি পাড়ে তুলে খুলে দেখতে পায় লাল রংয়ের কাপড়ে মোড়ানো হাতের দুইটি কবজি। পরে পুলিশ খবর পেয়ে কবজি দুটি উদ্ধার করে।

তিনি আরো জানান, কবজি দুটি কোন এক নারীর। কে-বা-কারা ওই নারীর হাতের কবজি দুটি কেটে নদীতে ফেলে দিয়েছে। এটি ২ থেকে ৩ দিন আগের হতে পারে। কার হাতের কবজি তা সনাক্তের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হয়। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্টে পরিচয় সনাক্ত করা যাচ্ছে না। এজন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচয় সনাক্তের জন্য সিআইডির একটি টিম ঢাকা থেকে রওনা করেছে।

কবজি দুটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;