আ.লীগ নেতা খুন: চেয়ারম্যানের দেয়া হত্যার হুমকির অডিও ফাঁস!

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার: মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক যুবলীগের সভাপতি জিয়াবুল হককে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

এদিকে কয়েকদিন আগে জিয়াবুলকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ। হত্যার এ ঘটনার পর হুমকি দেয়ার সেই অডিও ফাঁস হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার একটি মৎস্য ঘের দখলে নিতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াবুলকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ। এমন হুমকির ৭ দিনের মাথায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে জিয়াবুলকে।

ফেসবুকে ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে অনেকে লিখেছেন দ্রুত ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহকে আইনের আওতায় আনা হোক।

স্থানীয় আরেকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, এ হামলায় অংশ নিয়েছিল বিএনপির কিছু নেতাও। তারা হলেন- ওই ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মৃত মাইজ্জা মিয়ার ছেলে ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, তারই ছোট ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, আনছারুল ইসলাম, কায়ছারুল ইসলাম ও নাছির উদ্দিন। তারা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা।

এদিকে নিহত জিয়াবুলের ছোট ভাই ইউপি সদস্য মো. সরওয়ার কামাল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যে অডিওটি ফাঁস হয়েছে তা চেয়ারম্যানের বক্তব্য। গত এক সপ্তাহ আগে সে আমার ভাইকে ফোন করে এভাবে হুমকি দেয়। আর এক সপ্তাহ পরে এসে আজ আমার ভাইকে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার ইঙ্গিত ওই অডিওতে বুঝা যাচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষ করে আমরা মামলা করব। ওই মামলার প্রধান আসামি হবেন ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ।’

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বার্তা২৪.কমকে জানান, মাতারবাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফাঁস হওয়া অডিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

হুমকি দেয়ার বিষয়টি শিকার করে মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ওই অডিওর সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিছুদিন আগে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করাকে কেন্দ্র করে জিয়াবুল ও তার ভাই আমাকে হেনস্থা করেছিল। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তার সঙ্গে আমার ‘হটটক’ হয়েছে। তাছাড়া আর কিছু নয়। জিয়াবুলের ভাইয়ের সঙ্গে পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ ঘটনায় আমাকে জড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে পূর্ব শক্রতার জের ধরে জিয়াবুলের হাত পা কেটে গুরুতর আহত করে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন একটি দুর্বৃত্তের দল। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জিয়াবুল একই ইউনিয়নের মনডেইলপাড়ার ফরিদুল আলমের ছেলে।