মাদক ব্যবসায়ীরা আকাশপথে, চালান আসে সড়কপথে
ঢাকা: কৌশল পরিবর্তন করে মাদক ব্যবসায়ীরা আকাশ পথে চলাচল করছে। তবে মাদক চালান আসছে সড়কপথ ধরেই বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মাদক ব্যবসায়ীদের এই নতুন কৌশল সম্পর্কে জানায় র্যাব।
মুফতি মাহমুদ বলেন, মাদক পাচারের মাধ্যম হিসেবে কুরিয়ার সার্ভিসকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। মজুদ করা হচ্ছে অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া করে।
মুফতি মাহমুদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেকনাফ এলাকার অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী জহির আহমেদ সহ ছয় জনকে আটক করেছে র্যাব-২। আটক কৃতরা হলেন, মিরাজ উদ্দিন নিশান (২১), তৌফিকুল ইসলাম ওরফে সানি (২১), মমিনুল আলম (৩০), ফয়সাল আহম্মেদ (৩১), মিরাজ উদ্দিন নিশান (২১), তৌফিকুল ইসলাম ওরফে সানি (২১) ও সঞ্জয় চন্দ্র হালদার (২০)।
এঘটনায় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৭ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা এবং মাদক বিক্রির ৭ কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে র্যাব।
তিনি বলেন, এলিফ্যান্ট রোডের বিলাসবহুল বাসা থেকে ফয়সাল, মিরাজ, সানি ও সঞ্জয়কে ৩৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে ওই বাসায় আবার অভিযান চালিয়ে জহির ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মমিনুলকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জানা যায়, জহিরের পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জহির ও তার বড় ছেলে বাবু (২৮) বিগত ৫-৬ বছর ধরে ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। গত এপ্রিলে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে বাবুকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এছাড়া জহিরের স্ত্রী, মেয়ে, বড় জামাতা আব্দুল আমিন, জামাতার ভাই নুরুল আমিনসহ টেকনাফের আরো কয়েকজনসহ মোট ২০-৩০ জন এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।
মুফতি মাহমুদ বলেন, টেকনাফ থেকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ফ্যান, এসি, ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে ইয়াবা লুকিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠাতেন। এছাড়া, নির্দিষ্ট দুই ব্যক্তি এবং বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও সহকারীদের মাধ্যমেও ইয়াবার চালান পাঠাতেন। আর তারা আকাশপথে ঢাকা-কক্সবাজার নিয়মিত যাতায়াত করতেন।