বড় উদ্যোগ নিয়ে পাট শিল্পকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে "নিষিদ্ধ পলিথিন /পলি প্রপাইলিন শপিং ব্যাগের বিকল্প প্রচলন সংক্রান্ত শীর্ষক এক সেমিনার ও নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প পণ্যের মেলা উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমরা যখন আমাদের স্বাধীনতার কথা ভাবি সেখানে একটি বৈষম্যের কথা আমরা বলতাম বাংলাদেশ পাট বিক্রি করে সেই টাকায় পশ্চিম পাকিস্তানের ভবন বানানো হচ্ছে। সেই পাট শিল্প এখন বিদেশে রপ্তানি করে কিন্তু আমাদের ক্রেতারা কেনে না। বড় উদ্যোগ নিয়ে আমরা আমাদের পাট শিল্পকে ফিরিয়ে আনবো।
পলিথিন নিয়ে তিনি বলেন, পলিথিন বন্ধের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন পর্যায়ক্রমে হবে। আমরা কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেইনি দেশের প্রচলিত আইন এমনিতেই হওয়ার কথা কিন্তু হচ্ছে না এখন আমরা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করছি।
তিনি আরও বলেন, পলিথিন উৎপাদন যারা করে তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সামাজিকভাবে সরকারের কিছু দায়বদ্ধতা আছে তবে ২০০০ সাল থেকে পলিথিন উৎপাদন নিষিদ্ধ তারা ২০০০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ পণ্য উৎপাদনে জড়িত ছিল । পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতে অভিযান শুরু হয়ে যাবে।
এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য কেমিক্যাল মুক্ত রাখার জন্য অপচনশীল পলিথিন শপিং ব্যাগের যে অভিশাপ সেখান থেকে আগামী প্রজন্মসহ নদী নালা মাটি রক্ষা করার জন্য পয়লা অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করার তা জানান তোমায় তিনি সকলকে এক জায়গায় এনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবংব্যাপারে সিদ্ধান্তের কোন পরিবর্তন হবে না সে কথা জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান ভুইয়া, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।