গাবতলী পশুর হাটে ঈদ আমেজ



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

গাবতলী পশুর হাট ঘুরে: মুসলমানদের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার আর মাত্র ৫ দিন বাকি। এ ঈদকে সামনে রেখে ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এমনকি উটের বেচাকেনা। আল্লাহর নৈকট্য ও তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসলমানরা এসব পশু কোরবানি করে থাকেন। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গাবতলীতে বসেছে সর্ববৃহৎ পশুর হাট। যেখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ট্রাক, লরি, নছিমন, লঞ্চ বা ট্রলারে করে পশু নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পশুগুলোকে পায়ে হাঁটিয়েই আনা হচ্ছে। একটু বেশি দামে বিক্রির আশায় অনেক গৃহস্থ নিজেই পশু নিয়ে হাটে উপস্থিত হচ্ছেন। তবে অধিকাংশ পশুই এসেছে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/17/1534488468496.jpg

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে গরুর সংখ্যা বেশি, দামেও রয়েছে ভিন্নতা। সর্বনিম্ন ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। রং, প্রজাতি, আকারভেদে দাম হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। তবে গাঢ় উজ্জ্বল রংয়ের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এহাটে দেশি গরুর পাশাপাশি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান, শ্রীলঙ্কানসহ নানা প্রজাতির গরু। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ও উট।

হাটের একপাশে দেশি ছাগল সারিবদ্ধভাবে বেঁধে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ফুলচাঁদ নামে এক ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে আসা একজোড়া ছাগল বিক্রি হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এছাড়াও বাজারে আসা ছাগলের গড় দাম ১৮-২০ হাজার টাকা।’

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পশু আনা হলেও এখনও ক্রেতাদের সমাগম শুরু হয়নি। ফলে তাদের অলস সময় পার করতে হচ্ছে। দু’একজন ক্রেতা এসে দরদাম করছেন, কিন্তু পশু না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। তবে তারা আশা করেন ঈদের দু’দিন আগে বেচাবিক্রি বাড়বে। বিশেষ করে চাঁদ রাতে সবচেয়ে বেশি পশু বিক্রি হবে। তখন এমন অবস্থা হয় যে, ক্রেতা থাকেন কিন্তু পশুর যোগান থাকে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/17/1534488489403.jpg

গাবতলীর হাটে ঘুরে ঘুরে পশু দেখছিলেন ধানমন্ডির বাসিন্দা আসলাম পারভেজ। তিনি বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘দামদর যাচাই করতে এসেছিলাম। গরু রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই আগেভাগে কেনারও সুযোগ নেই। কুরবানির আগের রাতে কিনবো, যাতে রাস্তায় বেঁধে রেখে পরেরদিন কুরবানি দেয়া যায়।’

এদিকে, হাটের মধ্যে বাড়তি চাপ এড়াতে আশপাশের এলাকায় বাঁশ, চট, রশি দিয়ে চলছে ছাউনি নির্মাণের কাজ। নির্মাণ শ্রমিকদের দাবি, শনিবার থেকে বাজারে পশু ও ক্রেতাদের চাপ বাড়বে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও পশু আনা হবে। হাটে পা ফেলানোর জায়গা থাকবে না। তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি চলছে।’

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকর্ষণীয় গরু ও উটের প্রতি শিশুদের উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই। বাজারে বড় গরু আনা হলেই শিশুরা ভিড় করছে, ছুটছে পিছু পিছু। স্কুল শেষে রাজধানীর মিরপুর থেকে গাবতলী পশুর হাটে ঘুরতে এসেছে জিসান, ইয়াসিন ও তাওহীদ নামে তিন বন্ধু। তারা বার্তা২৪.কম’কে জানায়, হাটে তারা ঘুরতে এসেছে। অনেক বড় বড় গরু, উট, দুম্বা দেখেছি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/17/1534488511255.jpg

এদিকে পশু সাজানোর জন্য মালা, কলাপাতা, টাই, ঘন্টি, আয়নার মালা, জরির মালার পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। ঈমান হোসেন নামে এক বিক্রেতা জানান, কুরবানির পশু সাজানোর জন্য বিভিন্ন জিনিস নিয়ে বসেছেন। সৌখিন ক্রেতারা পছন্দের গরু ছাগল কিনে সাজিয়ে নেন মনের মতো করে। এসব পণ্য সর্বনিম্ন ৮ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

এছাড়াও কুরবানির হাটকে ঘিরে গড়ে উঠেছে স্থায়ী-অস্থায়ী খাবার হোটেল। এসব হোটেলে দিনরাত চলছে রান্নাবান্না। গরু ব্যবসায়ীরাই এসব হোটেলের মূল কাস্টমার। অস্থায়ী হোটেলের মলিক আফসার উদ্দিন বলেন, ‘কুরবানির পশু বিক্রি করতে অনেক ব্যবসায়ী আসেন এই হাটে। তখন এসব ব্যবসায়ীদের খাবার সংকট দেখা দেয়। তাই এই অস্থায়ী হোটেল দিয়েছি। হোটেলে সাতজন কর্মচারিও রেখেছি।’

অন্যদিকে, হাট এলাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ বিষয়ে দারুস সালাম থানার অপারেশন কর্মকর্তা জাহানুর বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে টহল দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাট এলাকায় এখনও পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি কিংবা অভিযোগও আসেনি।’

ছবি: শাহরিয়ার তামিম

   

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

নিহত রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন সিঙ্গাপুরে মারা যান।

নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে রডের নিচে চাপা পড়ে রাকিব। পরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। তার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।

;

প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, যুবক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের লাল মিয়া মাঝি বাড়ি থেকে নুরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

নুরুল ইসলাম সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৮ িনম্বর ওয়ার্ডের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি মোবাইলে সমস্যা দেখা দিলে ভিকটিম মোবাইল ঠিক করতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের আরডি শপিং মলে যায়। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নিজেকে মোবাইল মেকানিক পরিচয় দিয়ে গৃহবধূর মোবাইল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোনের গ্যালারি থেকে ব্যক্তিগত ছবি কৌশলে তার মোবাইলে ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এরপর ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম সম্মানহানির ভয়ে ও তার সংসার টিকানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এতে সে সন্তুষ্ট না হয়ে বাকি আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম ভিকটিমের ছবি ও নাম ব্যবহার করে টিকটক আইডি খুলে ব্যক্তিগত ছবি ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ভুক্তভোগীর নজরে আসলে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা টিকটিক আইডি সংরক্ষিত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;