স্বাগত ‘আকাশবীণা’
ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’। স্বপ্নের এই উড়োজাহাজটি টানা ১৪ ঘণ্টা ফ্লাই করে সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর উড়োজাহাজটিকে স্বাগত জানানো হয় ওয়াটার ক্যানন স্যালুট দিয়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি। উড়োজাহাজটি প্রশান্ত মহাসাগর পার হয়ে রাশিয়া, চীন, মিয়ানমারের আকাশসীমা পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজটি প্রশান্ত মহাসাগর পার হয়ে রাশিয়ার আকাশে ঢোকে। রাশিয়ার দীর্ঘ আকাশপথ পেরিয়ে এটি প্রবেশ করে চীনের আকাশে। রোববার বিকেল তিনটায় এটির অবস্থান ছিল চীনের আকাশে। এরপর এটি মিয়ানমার হয়ে দেশের আকাশসীমায় ঢোকে।
জ্বালানি সাশ্রয়ী এই উড়োজাহাজ চালনার জন্য রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স ১৪ জন বৈমানিককে চুড়ান্ত করেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া সবাই জাতীয় এয়ারলাইন্সের সবচেয়ে দক্ষ ও জৈষ্ঠ্য বৈমানিক। এছাড়া সহ-বৈমানিক হিসেবে প্রশিক্ষণের তৈরি হচ্ছে আরো ১০ জন ফার্স্ট অফিসার।
উড়োজাহাজটিতে মোট আসন রয়েছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসের আসন ২৪টি। এই উড়োজাহাজের মাধ্যমে বৈশ্বিক এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে বিমানের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে, সেই সাথে যাত্রীদের দিতে পারবে আধুনিক প্রযুক্তির সব ধরনের সেবা।
২০০৮ সালে বিমান চারটি ড্রিমলাইনারসহ মোট ১০টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িং এর সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী এরই মধ্যে তারা বোয়িং ৭৭৭ ৩০০ ইআর এর চারটি এবং বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর দুটি সহ মোট ৬টি উড়োজাহাজ বিমানকে সরবরাহ করেছে। ড্রিমলাইনারের দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি নভেম্বরে এবং বাকি দুটি আসবে আগামী বছরের (২০১৯) সেপ্টেম্বরে।