সিলেটের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ
সিলেট: দেড় লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে জামাত আদায় করেন সিলেটের শাহী ঈদগাহে। ১৭৮২ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ বিরোধী অভ্যুত্থান হয়েছিল এই ঈদগাহে। প্রাণ দিয়েছিলেন হাদা মিয়া ও মাদা মিয়া নামক ভ্রাতৃদ্বয়।
মনোমুগ্ধকর কারুকার্যময় এই ঈদগাহটি মোগল ফৌজদার ফরহাদ খাঁ নির্মাণ করেছিলেন। দেশের প্রাচীনতম ঈদগাহ এটি। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় শাহী ঈদগাহে ভারতের অহিংস আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের মতো নেতাদের পাদস্পর্শ পেয়েছিল এই ঈদগাহ। ঈদগাহের নামেই এলাকার নামকরণ করা হয়েছে শাহী ঈদগাহ।
শাহী ঈদগাহের ২২টি সিঁড়ি মাড়িয়ে উপরে উঠতে হয়। ১৫টি গম্বুজ সজ্জিত ঈদগাহ। ছোট বড় ১০টি গেইট রয়েছে সীমানা প্রাচীরের চারদিকে। অজুর জন্য রয়েছে ঈদগাহের সামনে বিশাল পুকুর। ঈদগাহের পাশেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর প্রচেষ্টায় নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সু উচ্চ মিনার। রয়েছে নজর কাড়া গেইট। মিনারের নিচে ছোট্ট একটি গার্ডেন। সবমিলিয়ে ঈদগাহের মনোরম দৃশ্য পর্যটকদের খুব কাছে টানে।
ঈদগাহের পাশে সুউচ্চ টিলার ওপর বন কর্মকর্তার বাংলো, উত্তরে শাহী ঈদগাহ মসজিদ, দক্ষিণে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট কেন্দ্র। পূর্ব দিকে হযরত শাহজালালের (র.) অন্যতম সফরসঙ্গী শাহ মিরারজীর (র.) মাজারের পাশের টিলার ওপর রয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।
প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেট শাহী ঈদগাহে বিশাল দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে এক সঙ্গে দেড় লাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। একসঙ্গে জামাত আদায় করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মুসল্লিরা। এবারো বিপুল সংখ্যক মুসল্লির সমাগম ঘটবে ঐতিহাসিক সিলেট শাহী ঈদগাহে।