‘ঈদের জামাতে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই’
ঢাকা: ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে ৫ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
সোমবার (২০ আগস্ট) জাতীয় ঈদগাহে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদুল আজহার প্রধান জামাতকে কেন্দ্র জাতীয় ঈদগাহ মাঠে করে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া নেওয়া হয়েছে ৫ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পোশাকধারী পুলিশ, ডিবি পুলিশ, সোয়াট, কাউন্টার টেরোরিজম, বম ডিস্পোজাল ও র্যাব সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, ঈদগাহ মাঠের প্রবেশের তিনটি রাস্তাতে থাকবে পুলিশ ব্যারিকেড ও তল্লাশি চৌকি। ঈদগাহ প্রবেশের তিনটি রাস্তা হল মৎসভবন, শিক্ষা ভবন ও প্রেসক্লাব। পরে এই তিনটি ব্যারিকেডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পার হয়ে আবার প্রধান ফটকে নিরাপত্তা তল্লাশি পার হতে হবে মুসল্লিদের। এছাড়া নারীদের জন্য রয়েছে আলাদে প্রবেশ পথ, সেখানে নারী পুলিশরা তল্লাশি করবেন।
তিনি আরও বলেন, এবার অন্য যেকোনো বারের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি ঈদের জামাতকে নিরাপদ রাখতে ১৪ হাজার ডিএমপির সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ঈদগা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকা সিসি টিভির নিজরদারি থাকবে। যা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করা হবে।
এ সময় তিনি মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি মুসল্লিদের অনুরোধ করে বলব তারা যেন জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কোনো জিনিস ঈদগাহ মাঠে নিয়ে না আসনে। তবে প্রয়োজন হলে জায়নামাজ ও ছাতা তল্লাশি করা হতে পারে। তল্লাশি ও নিরাপত্তার কারণে কিছুটা লম্বা লাইনের সৃষ্টি হতে পারে। তবে মুসল্লিদের বলব বিরক্ত না হয়ে যেন পুলিশকে সহযোগিতা করেন।
ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই উল্লেখ করে বলেন, কোনো ঝুঁকি নেয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। কোরবানির পশুর হাট ও ঈদ যাত্রা যেমন আমরা নিরছিদ্র ব্যস্থার মধ্যে সম্পূর্ণ করেছি, তেমনি ঈদের জামাতও নিরাপদভাবে অনুষ্ঠিত হবে।