সাগর পথে মানব পাচারের গডফাদার আছেম : সিআইডি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গডফাদার আছেম, ছবি: সংগৃহীত

গডফাদার আছেম, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: কক্সবাজার ও টেকনাফ দিয়ে সাগর পথে অবৈধভাবে শত শত মানুষকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছেন মোহাম্মদ আছেম (৩৫)। সাগর পথে মানব পাচারের গডফাদার আছেম। পেশা রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে শিক্ষক হলেও লোকচক্ষুর আড়ালে আছেম এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।

সোমবার (২০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) মোল্যা নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আছেম দীর্ঘদিন ধরে সাগর পথে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। তার বাবা ও বড় ভাই মালয়েশিয়া দীর্ঘ দিন ধরে থাকার সুবাদে সে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পরে। কক্সবাজার ও টেকনাফের সাগর পথকে ব্যবহার করে সে শত শত মানুষকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে।

মোল্যা নজরুল আরো বলেন, গত কয়েক বছরে হাজার হাজার মানুষকে মালয়েশিয়া পাচার করেছে আছেমের চক্র। দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার-থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ায় সাগর পথে মানব পাচার করে মুক্তিপণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছে সে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, অবৈধভাবে পাঠানো এসব লোকজনকে আটক রেখে বাংলাদেশে তাদের পরিবার পরিজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও আদায় করত তারা। আর টাকা না পেলে তাদের ওপর চলত অমানুষিক নির্যাতন। মুক্তিপণের টাকা আছেম নিজের একাউন্টেই জমা রাখত বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

তাকে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের বাংলাদেশের প্রধান উল্লেখ করে সিআইডির এই অফিসার বলেন, আছেম ২০১০ সালে মানব পাচারের কাজ শুরু করে। আছেম ও তার ছোট ভাই জাভেদ মোস্তফা মিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানব পাচারের জন্য দালাল নিয়োগ করে। পরে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের টেকনাফ থেকে ট্রলারে করে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে নেওয়া হয়। সেখানে পাচারকৃত বাংলাদেশীদের নির্যাতন করে তাদের স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। যারা মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হয় তাদের থাইল্যান্ডের জঙ্গলে মেরে ফেলা হয়।

মোল্যা নজরুল আরও বলেন, আছেম পাচারের টাকা দিয়ে টেকনাফে বাড়ি ও জমি কিনেছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতেও জমি কিনেছে। এগুলো সব অবৈধ টাকা।

উল্লেখ্য, গত পাঁচদিন আগে তাকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু তিন দিনের মাথায় তার জামিন হলে সে বের হয়ে আসে। এরপর রোববার (১৯ আগস্ট) আবারো তাকে গ্রেফতার করা হয়।