অনুমতি ছাড়া সরকারি-কর্মচারীদের গ্রেফতার করা যাবে না
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারির দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না, এমন বিধান রেখে " সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮" এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইন অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, নতুন খসড়া আইনের ৪১ ধারার উপধারা (১)-এ বলা আছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, চাকরি আইনের ৪২ ধারায় ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা সংক্রান্ত উপধারা (১) এ বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড বা ১ (এক) বছর মেয়াদের অধিক মেয়াদের কারাদণ্ডে দন্ডিত হলে, উক্ত দণ্ড আরোপের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হবেন। একই ধারার (২) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি-কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অনূর্ধ্ব এক বছর মেয়াদের কোনো কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে তিরস্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ, নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ বা সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিসাধন পূরণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি জানান, সরকারি কর্মচারীদের শাস্তির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আদালত কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডে বা চাকরি হইতে বরখাস্তকৃত কোনো ব্যক্তিকে অনুরূপ বরখাস্ত হইতে অব্যাহতি প্রদানের বিশেষ কারণ বা পরিস্থিতি রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত কর্মচারী চাকরিতে পুনর্বহাল হইবেন।
সরকারি চাকরি আইনের ৩৫ ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ধারা ৩২ বা ধারা ৩৩ এর উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না বলেও জানান তিনি।