দিনাজপুরে ঈদের আগের দিনে গরুর দাম চড়া

  • খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুর হাট, ছবি: বার্তা২৪.কম

দিনাজপুর হাট, ছবি: বার্তা২৪.কম

দিনাজপুর: দিনাজপুরে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ঈদের আগের দিন সোমবার (২১ আগস্ট) পশুর দাম চড়া রয়েছে।

সপ্তাহ খানেক আগে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হাট শুরু হলেও ভারতীয় গরু আসা একেবারে বন্ধ থাকায় শেষ মুহূর্তে খামারিরা গরু দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অাধুনিক বাসা বাড়িতে থাকা ক্রেতারা পশু নিয়ে বিড়ম্বনা এড়াতে ঈদের আগের দিনে হাটে যান।

কিছু দিন আগেও যে গরু ৭০/৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এমন সাইজের গরু লাখ, সোয়া লাখ টাকা ছাড়া দিচ্ছে না খামারিরা। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এ জেলায় শেষ পর্যন্ত ভারতীয় গরু হাটে উঠেনি।

সরেজমিনে দেখা গেল হাটগুলোতে পশুর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। দাম চড়া। ভারতীয় গরু নেই, দেশি ও হাইব্রিড গরু রয়েছে পর্যাপ্ত। তবে পছন্দের গরুর অভাব রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দিনাজপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো. শাহিনুর রহমান সোমবার বার্তা২৪.কমকে জানান, কোনো প্রকার ভারতীয় গরু আসেনি। জেলা প্রশাসক ও বিজিবি কোনো প্রকার ভারতীয় গরু বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়নি।

তিনি বলেন, এ জন্য যদি দেশি খামারিরা দুটি টাকা বেশি লাভ করে তাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা উচিৎ। এ বিষয়টি অব্যাহত থাকলে দেশে খামারিরা পশু পালনে উৎসাহিত হবে। দেশে কর্মসংস্থান হবে।

খামারি মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি এবার ২৫টি ষাড় লালন পালন করেছি। সবকটি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। লাভ ভালই পেয়েছি। ঢাকার পার্টি গরু কিনে নিয়েছে এক সপ্তাহ আগে থেকে, তাই একটু চড়া। ভারতীয় গরু নেই। এবার খামারিরা ভাল দাম পাচ্ছে।

দিনাজপুরের একজন ক্রেতা সাকিব রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, গরুর দাম কিছুদিন আগেও আয়ত্বের মধ্যেই ছিল। তবে বড় গরুর সংখ্যা ঈদের আগের দিন কমে গেছে। রাখার সমস্যার জন্য আগে গরু কিনিনি। আজ বেশ দাম দিয়ে গরু কিনতে হল।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার দিনাজপুর জেলায় ১১ হাজার ৫৩২ টি খামার ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ৬০ হাজার জন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৬৮ টি গরু ও মহিষ এবং ৬২ হাজার ২১২টি ছাগল ও ভেড়া আসন্ন কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছে। তবে দিনাজপুর জেলায় চাহিদা মাত্র ৮৫ হাজার গরু ও ৩৫ হাজার ছাগলের। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার ৬৬টি পশুর হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক দেশি গরু- ছাগল বিক্রি হয়েছে। বাকি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়েছে।