ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজার: ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাজানো হয়েছে নানা আকর্ষণীয় সাজে। হোটেল-মোটেলে পরিবর্তন করা হচ্ছে পুরনো জিনিসপত্রের। সৈকতের চেয়ারগুলোয় আঁচড় পড়েছে নতুন রঙতুলির। রেস্তোরাঁগুলো ধোয়ামোছা শেষে রঙ লাগানোর কাজও শেষ। পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছর ঈদের ছুটিসহ নানা ছুটিতে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকের ভিড় হয় কক্সবাজারে। ইতোমধ্যে অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এ কারণে ভিন্ন আঙ্গিকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/21/1534859394844.jpg

কক্সবাজারের হোটেল লংবিচের হেড অব অপারেশন তারেক মোহাম্মদ বার্তা২৪.কমকে বলেন,‘রোজার ঈদে বৃষ্টির কারণে তেমন সাড়া পড়েনি। কিন্তু কোরবানির ঈদে পর্যটকদের ভ্রমণ বেশ ভালো হবে। আমাদের হোটেলের প্রায় সব রুম বুকিং হয়ে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

হোটেল সি-গার্ল ম্যানেজার নূর-এ আলম বলেন, ‘এবারের ঈদে আমাদের হোটেলের প্রায় সব রুম বুকিং শেষ হয়ে গেছে। প্রতিবারের মতো এবারও পর্যটকদের জন্য মাল্টি কুইজিং, বুফে ডিনারসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকছে। আশা করা হচ্ছে, পরিস্থিতি ভালো থাকলে হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালো হবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/21/1534859428623.jpg

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কক্সবাজারে ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল, কটেজ ও আবাসিক হোটেল রয়েছে। সবকটি হোটেল এবারের ঈদে বুকিং হওয়ার খবর রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বৃষ্টি হলেও পর্যটকরা আসবে। এ ক্ষেত্রে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এছাড়া শহরের বাইরে হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ, রামু, মহেশখালীসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত কটেজগুলোতেও পর্যটকদের আগাম বুকিং হয়েছে। এসব এলাকায় জেলা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।’

কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তায় আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। সৈকত এলাকায় শতাধিক পোশাকধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ছিনতাই প্রতিরোধে টহল পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। কন্ট্রোল রুম, পর্যবেক্ষণ টাওয়াসহ পুরো সৈকতে পুলিশের নজরদারি থাকবে।’