লাখো পর্যটকে মুখর সমুদ্র পাড়



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার: ঈদুল আজহার টানা ৫ দিনের ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হয়েছে কক্সবাজার। বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীসহ ১১টি পয়েন্টে লাখো পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। টানা পাঁচদিনের ছুটি কাটাতে পাহাড়, সমুদ্র আর ঝর্ণার টানে যান্ত্রিক শহরের মানুষগুলো পর্যটন নগরীতে ছুটে এসেছে।

শুক্রবার (২৪ আগস্ট) নাগাদ সে পর্যটকের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ২ লাখ। চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত পর্যটকের পদভারে মুখরিত থাকবে সমুদ্র সৈকত।

পর্যটকদের এমন আগমনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে কোটি টাকার ব্যবসা হবে এমনটাই আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহার আগের দিন থেকেই কক্সবাজারে হাজার দশেক পর্যটক অবস্থান করছিল। ঈদের দিন সকালেই এদের সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও ১০ হাজার পর্যটক। এদের বেশিরভাগই রাতের মধ্যে কক্সবাজার শহর ত্যাগ করে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই নতুন পর্যটক আসতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেলে লাখ ছাড়িয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/23/1535017816446.jpg

এ বিষয়ে ইনানী ক্যাফের মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পর্যটকসহ স্থানীয় অতিথিদের বরণে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দোলনা, রাইড শেয়ারিং, ইলেকট্রিক নগরদোলাসহ বেশ কয়েকটি নতুন রাইড আনা হয়েছে। প্রথম দিনে স্থানীয়সহ আসা পর্যটকদের বেশ সাড়া পেয়েছি।’

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কাজি রাসেল আহমেদ নোবেল বার্তা২৪.কমকে জানান, ঈদের দিন থেকে কক্সবাজারে প্রায় লাখো পর্যটক অবস্থান করছে। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে শহরের সব হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস শতভাগ বুকিং রয়েছে। যা থাকবে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়া ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ৬০ শতাংশের ঊর্ধ্বে বুকিং রয়েছে।


কক্সবাজার জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশ (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, ঈদ উপলক্ষে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তায় ৪৫০ জন পুলিশ, র‌্যাব, বিচকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। পর্যটক হয়রানি রোধে সমুদ্র সৈকতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখা হয়েছে।

 

   

মদ বোঝায় পিক-আপ জব্দ, গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে ১ হাজার ৮৬৬ বোতল মদ বোঝাই পিক-আপ ভ্যান জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১)। একই সঙ্গে মো. মাসুদ বিশ্বাস (৩৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মাহফুজুর রহমান বলেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বনানী থানাধীন এলাকায় ১ জন মাদক ব্যবসায়ী ১টি সাদা রং এর পিক-আপ ভ্যানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বহন করে বনানী এলাকা থেকে গুলশান এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনানীর ব্লক-জি এর সামনে রাস্তার উপর হতে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বিশ্বাসকে (৩৪), গ্রেফতার করা হয়।

এসময় আসামির নিকট হতে কেরুর তৈরি ১ হাজার ৮৬৬ বোতল বিলাতি মদ ও ১টি পিক-আপ ভ্যান এবং ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

;

চট্টগ্রামে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ গ্রেফতার ৩৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে ছয় কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)।

বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


র‍্যাব জানায়, অভিযান চালিয়ে পাঁচলাইশ থানার ফরেষ্টগেইট রেল ক্রসিং এলাকা থেকে রুবেল গ্রুপের প্রধান রুবেলসহ ছয়, মোহাম্মদপুর এয়ার বিল টাওয়ার এলাকার বাচা গ্রুপের প্রধান বাচা সোহেলসহ পাঁচ, বায়েজিদ বোস্তামী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকা থেকে জনি গ্রুপের প্রধান জনিসহ পাঁচ, পাহাড়তলীতে ১২ কোয়ার্টার এলাকা থেকে সাজ্জাদ গ্রুপের প্রধান সাজ্জাদসহ সাত, সরাইপাড়া এলাকার সাকিব গ্রুপের প্রধানসহ ছয়, বিপুল গ্রুপের প্রধানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন রকম চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ইভিটিজিং এর মতো অপরাধে এ কিশোর গ্যাং’র সদস্যরা জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব ছয় কিশোর গ্যাং লিডারসহ ৩৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি এবং ডাকাতির আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

ঈদে নগরবাসীকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় র‍্যাবের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা নিয়োজিত আছেন বলে জানান এই র‍্যাব কর্মকর্তা।

;

গুচ্ছ গ্রামের এক পুকুরে ধরা পড়ল ১০০ ইলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর হাতিয়াতে একটি পুকুরে ১০০ রুপালি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। প্রতিটি মাছের ওজন প্রায় ৩৫০- ৫৫০ গ্রাম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছ গুলো দেখতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোর রাতের দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রামের যুগান্তর কিল্লার উত্তরের পুকুরে মাছ গুলো ধরা পড়ে। এর আগে, গতকাল বুধবার একই পুকুর থেকে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আফছার উদ্দিন। তিনি জানান, একটি গুচ্ছ গ্রামে সাধারণত দুটি পুকুর থাকে। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছ গ্রামে দুটি পুকুর রয়েছে। যুগান্তর কিল্লার উত্তরের বড় পুকুরটি লিজ নিয়েছেন আবদুল মান্নান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি এ পুকুরে গত কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে। পুকুরটি ২৫টি পরিবার ব্যবহার করে।

তিনি আরও জানান, পুকুর থেকে মাছ ধরার জন্য মান্নান গত কয়েক দিন ধরে পুকুরে সেচ মেশিন বসিয়ে পানি কমান। পানি কমিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতের দিকে পুকুরের জাল ফেললে ১০০টি ইলিশ ধরা পড়ে। গতকাল বুধবার একই পুকুর থেকে আরও ৮-৯ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। আশা করা হচ্ছে এ পুকুরে আরও ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.দিনাজ উদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশ মাছও প্রবেশ করে। গত বছরও একই পুকুরে প্রায় ৪০-৪৫ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। এ বছর প্রথম ধামে এ ইলিশ গুলো ধরা পড়ে।

;

আনসার সদস্যকে পিটিয়ে ইউনিফর্ম ছিড়লেন উখিয়ার কোম্পানি কমান্ডার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ায় মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ নামের এক আনসার ভিডিপি সদস্যকে পিটিয়ে ইউনিফর্ম ছিড়ে ফেলেছে উখিয়া উপজেলা আনসারের কোম্পানি কমান্ডার জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন শহীদ মিনারের পাশেই উখিয়া আনসার কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

আনসার ভিডিপি সদস্য শহীদুল্লাহ বার্তা২৪.কম-কে জানান, "২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উখিয়া আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের নির্দেশে সকাল ৬ টায় শহীদ মিনারে ফুল দেই এবং দায়িত্বপালন করি। সকাল ৮ টায় কুচকাওয়াচ প্যারেডে অংশগ্রহণ করি। প্যারেড শেষ করে উখিয়া আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে আসলে কোম্পানি কমান্ডার জসিম চোধুরী কোন কথা না বলে আমাকে এলোপাতারি চড় তাপ্পর মারা শুরু করে। মারতে মারতে আমার পোষাক ছিড়ে ফেলে। আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা তাকে নিষেধ করলে আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাকেও লাঞ্চিত করে"।

বিষয়টি নিয়ে উখিয়া উপজেলা আনসারের কোম্পানি কমান্ডার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, শহিদুল্লাহ বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার কারণে তিনি শাসন করেছেন। এছাড়া র‍্যাংক পড়ে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কারণে র‍্যাংক ব্যাজ ছিড়েছেন বলে জানান।

তবে কেউ অপরাধ করলে তার গায়ে হাত তোলার এখতিয়ার আছে কিনা এমন প্রশ্নে জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি তাকে মারিনি, গালিগালাজও করিনি। তাকে শাসন করেছি। সে আনসার ভিডিপির মানসম্মান ক্ষুণ্ন করছে তাই।

এ ঘটনায় ২৭ মার্চ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের জেলা কমান্ড্যান্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে জেলা কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতি নাগ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পরপরই আমরা তাকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছি। তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আনসার কার্যালয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি কোন নিরপরাধী ব্যক্তির সাথে এরকম ঘটনা হ তাহলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;