দখলে মেঘনা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুঁটি স্থাপন করে মাছ শিকার করছে একটি চক্র। ছবি: বার্তা২৪.কম

খুঁটি স্থাপন করে মাছ শিকার করছে একটি চক্র। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর: ভরা মৌসুমেও লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ছে না। অলস সময় কাটাতে হয় জেলেদের। নৌকা নিয়ে নদীতে গেলে লোকসান গুনতে হয়। এরমধ্যে সদরের মেঘনা নদীর তিনটি স্থানে খুঁটি স্থাপন করে মাছ শিকার করছে একটি চক্র। মৎস্য আইনে থাকা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাঁচ বছর ধরে নদী দখল করে রেখেছে তারা। এ চক্রটি প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

একদিকে পেশাদার জেলেরা নদীতে মাছ না পেয়ে খালি হাতে ফিরছে। অন্যদিকে নদীতে খুঁটি স্থাপনে পানি ও মাছের স্বাভাবিক গতি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকায় নদীর তিনটি স্থানে বড় গাছের খুঁটি স্থাপন করে রাখা হয়েছে। এসব খুঁটিতে নিষিদ্ধ জাল বেঁধে জোয়ার-ভাটার মাঝামাঝি সময়ে মাছ শিকার করে আসছে ভোলার একটি প্রভাবশালী চক্র। মাছ ধরার পর তা সংরক্ষণের জন্য নদীর তীরে সরকারি খাস জমিতে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ঘরও নির্মাণ করা হয়। ওই ঘরকে আড়ত হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পাঁচ বছর ধরে এ বাণিজ্য চলছে। শতাধিক জেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও মাছ বিক্রি করে প্রতিবছর চক্রটি ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা আয় করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/31/1535710875197.jpg

জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, গত ৬ আগস্ট জেলা মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অস্থায়ী ঘর থেকে ৩০ কেজি ইলিশসহ তিনজনকে আটক করা হয়। দ্রুত নদী থেকে খুঁটি ও নদীর তীরে নির্মিত অস্থায়ী ঘর সরানোর নির্দেশ দেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কিন্তু দখলদাররা তা কর্ণপাত করেনি।

মাছ শিকারে তদারকির দায়িত্বে থাকা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমাকে মাসিক বেতন দেওয়া হচ্ছে। ভোলার এক মহাজন আমাকে এ কাজে নিয়োজিত করেছেন। তারা মাঝে মধ্যে আসেন। তবে এটি যে অবৈধ কাজ তা আমি জানি না।’

চর রমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল জানান, দীর্ঘদিন থেকে একটি প্রভাবশালী চক্র নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। তাদেরকে নিষেধ করলেও শুনছে না। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/31/1535710896813.jpg

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাজাহান আলী জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রমাণ মিলেছে। সংশ্লিষ্টদেরকে দ্রুত খুঁটিসহ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ জানান, নদীতে খুঁটির সঙ্গে জাল বেঁধে মাছ শিকার অবৈধ। খুঁটি-জাল মাছের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে ছোট-বড় সব প্রজাতির মাছ আটকা পড়ে। এভাবে অনেক মাছের ভ্রুণ নষ্ট ও পোনা মরে যায়। খুঁটিগুলো অপসারণ করা হলে মাছ অবাধে বিচরণ করতে পারবে। এতে ইলিশ উৎপাদনও বাড়বে। অবৈধ এসব স্থাপনা অপসারণে নিজেদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

   

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী উপহার পাচ্ছেন ছাগলনাইয়ার ২০ হাজার মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২০ হাজার গরীব অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছে সুলতান আহম্মদ ফাউন্ডেশন। রমজান উপলক্ষে এলাকার গরীব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল ইউনিয়নে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছেন এবং ঈদ সামগ্রী বিতরণ করার কথা রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে  উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের মুহুরীগঞ্জ হাই স্কুল মাঠে ইউনিয়নের ২ হাজার মানুষের মাঝে রমজানের উপহার দেয়া হয়। এর আগে মহামায়া, পাঠাননগর, রাধানগর ইউনিয়নে ইফতার বিতরণ করে ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান।

ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি মিজানুর রহমান মজুমদার নিজ উপজেলার সকল ইউনিয়নের মানুষদের রমজানের উপহার হিসেবে এ সামগ্রী দিচ্ছেন। রোজা এবং ঈদে উপজেলার ২০ হাজার মানুষকে এ উপহার দেয়া হচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় ৩ টি ইউনিয়ন শেষ করে আজ ঘোপালে বিতরণ করা হয়েছে। আগামীকাল শুভপুর ইউনিয়নে বিতরণ করা হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার সকালে ঘোপাল ইউনিয়নের মুহুরীগঞ্জ স্কুল মাঠে সারি সারি লাইনে দাঁড়িয়ে উপহার গ্রহণ করছেন সাধারণ মানুষরা। সবার হাতেই রয়েছে টোকেন, সেটি জমা দিলেই মিলছে ইফতার সামগ্রী উপহার।

এমন উপহার পেয়ে খুশি স্থানীয়রা। তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক রমজানের এসময়ে এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। একটি পরিবার এর মাধ্যমে রমজানে ভালোভাবে চলতে পারবে।

রহিমউল্ল্যাহ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমি দিনমজুরের কাজ করি।রোজা আসার পর তেমন একটা কাজ নেই। রোজা রেখে করতেও পারি না। পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছিল, এমন উপহার পেয়ে সত্যিই অনেক বেশি খুশি৷ রোজার মাসে পরিবারের সবাই ভালোভাবে খেতে পারব।

রেহানা পারভিন নামে আরেকজন বলেন, ইফতারের সকল সামগ্রী পেয়েছি, নিজের কেনার সামর্থ্য ছিল না।এমন উপহার পেয়ে বেশ ভালো লাগছে।

এমন উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের বৃত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যাতে সবাই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সে ডাকে সাড়া দিয়ে রমজানে ছাগলনাইয়া উপজেলার ২০ হাজার মানুষকে আমরা  ইফতার সামগ্রী এবং ঈদ উপহার বিতরণ করছি। পাশাপাশি পাশ্ববর্তী উপজেলাতেও এ সহযোগিতা করা হচ্ছে।এছাড়াও ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে  ঈদের ৫ দিন আগে থেকে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি

তিনি বলেন, অতীতেও আমরা সহযোগিতা করতাম সামর্থ্য অনুযায়ী। তবে করোনাকালীন সময়ের পর থেকে নিজ এলাকায় ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা, চিকিৎসা, খেলাধুলা ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করছি। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিয়ে আসতে এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বিতরণ অনুষ্ঠানে ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র এম মোস্তফা, ঘোপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মানিক, ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আইয়ুবের সঞ্চালনায় এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

;

দালালের হাতে জিম্মি ৪, নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে দাবি মুক্তিপণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাগ্য বদলাতে বিদেশে পাড়ি দিয়ে দালালদের ফাঁদে জিম্মি হয়েছেন চট্টগ্রামের চার যুবক। দালালরা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা নিয়ে যুবকদের তুলে দিয়েছে সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে। এরপর তাদের নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে চাওয়া হচ্ছে মুক্তিপণের টাকার। ঘটনার শিকার চার জনই চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা।

তারা হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. ওয়াসিম (২২), একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (১৯), আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম (১৯) ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন (২০)। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মি সদস্যদের পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার চার যুবককে লিবিয়া নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

অপহৃতদের স্বজনরা জানায়, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম কাউকে মসজিদ, কাউকে হাসপাতাল আবার কাউকে দোকানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে নেন। প্রথমে যুবকদের ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের তুলে দেওয়া হয় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজানের হাতে।

মিজান তিন দিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেন। সাত দিন পর দুবাই থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মিশর হয়ে তাদের লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে মিজান অন্য দালালের হাতে তুলে দেন চট্টগ্রামের এই চারজনকে। ওই দালালরাই এখন তাদের স্বজনদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করছে। মুক্তিপণ না পেলে অপহৃত যুবকদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন।

জিম্মি যুবক বোরহান উদ্দিনের বড় ভাই সালাউদ্দিন বলেন, ‘২০ অথবা ২১ মার্চ আমার ভাইসহ চারজনকে জিম্মি করে দালালরা। এরপর ২৪ মার্চ সকালে মোবাইলে কল করে আমাদের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না হলে আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা পর পর হোয়াটসঅ্যাপে কল করে মুক্তিপণ পাঠানোর জন্য তাগাদা দিচ্ছে। কল করে বলে, আমি অ্যাকাউন্ট নম্বর দিচ্ছি ওই অ্যাকাউন্টে টাকা দাও। টাকার জন্য প্রতিনিয়ত কল দিচ্ছে। মোবাইল বন্ধ থাকলে তখন ভয়েস মেসেজ পাঠাচ্ছে। টাকা কেন দিতে হবে জানতে চাইলে অপহরণকারীরা আমাদের বলে, তোমার ভাইকে আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তাই এখন ছাড়াতে হলে মুক্তিপণ দিতে হবে।’

সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘মুক্তিপণের জন্য যারা যোগাযোগ করছেন সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছেন। অপহরণকারীরা সবাই বাংলাদেশেরই লোক। যেসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য বলা হচ্ছে, সবগুলো চকরিয়া ব্র্যাঞ্চের। তাই আমাদের ধারণা, এই অপহরণের সঙ্গে বাংলাদেশের লোকজনই জড়িত।’

;

জুনেই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, তৃতীয় ধাপে জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০ টায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিক্ষায় সচেতনতা নিশ্চিতে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। আমরা ডিভাইসের মাধ্যমে পরিক্ষার্থী নিশ্চিত করেছি। কোনও আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, উপাধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি গোস্বামী ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই ধাপে কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।

;

সার্টিফিকেট ছাড়াই দাঁতের চিকিৎসক আবু বক্কর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়নের কাটখইর বাজারে বেশ কয়েক বছর ধরে দাঁতের ডাক্তার সেজে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়নের হাঁসাইগাড়ি গ্রামের ছামছুর রহমানের ছেলে। 

প্রায় সাত বছর ধরে উপজেলার কাটখইর বাজারে 'সেবা ডেন্টাল কেয়ার’ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন তিনি। অথচ নেই কোনো চিকিৎসা সনদ, এমনকি নেই মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল, বিএমডিসির নিবন্ধন অথচ নামের আগে ডা. পদবী ব্যবহার করেন তিনি। প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামের মানুষরা দোকানটিতে আসছেন দাঁতের চিকিৎসা নিতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দাঁতের ফিলিং, স্কেলিং, লাইট কিউর, ফিলিং ক্যাপ, দাঁত ওঠানো, দাঁত বাঁধানোর সব কাজই করা হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে। এমনকি নামের আগে ডা. লেখা সিল ব্যবহার করে সাদা প্যাডে প্রেসক্রিপশন লিখেও দিচ্ছেন তিনি। 

বিভিন্ন কাজে রোগীদের কাছ থেকে পাঁচশত টাকা থেকে  শুরু করে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে সে। এসএসসি পাশ বলে দাবি করলেও তবে সেটির সনদপত্রও দেখাতে পারেননি তিনি।

দাঁতের সব রকম চিকিৎসা চলে ভূয়া দাঁতের ডাক্তার আবু বক্কর সিদ্দিক এর গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানে। আবার দেখা যায় কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই দাঁতের নানারকম ঔষধ ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিচ্ছেন তিনি। দিচ্ছেন অ্যান্টিবায়োটিক মেডিসিন আবার কখনো করছেন ঝুকিপূর্ণ দাঁতের সার্জারি, এতে রোগীদের প্রাণ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি বলেন, ‘তার বড় ভাইয়ের সাথে তাকে প্রায়ই দেখতাম। হঠাৎ করে কয়েক বছর আগে বিদেশ চলে যান তার বড় ভাই। এরপর সে প্রতিষ্ঠান খুলে কোনো সার্টিফিকেট ছাড়াই। নামের আগে ডা. বসিয়ে দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন সাধারণ মানুষদের।

এলাকার আরেকজন বাসিন্দা বলেন, প্রতি বৃহস্পতিবার ও রোববার হাটবারে সকাল থেকে রাত অব্ধি নানা বয়সের মানুষ তার নিকট ভীড় করে দাঁতের চিকিৎসকা নেয়ার জন্য। শুনেছি হঠাৎ করেই সে নামের আগে ডা. পদবী ব্যবহার করে নিজেকে জাহির করেন। 

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে ডাক্তার বনে যাওয়া দেখে আমরাও অবাক হয়েছি তবে জানতাম না তার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, আমাদের এলাকাবাসীর দাবি তার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষকে তার হাত থেকে রক্ষা করা।

ভুয়া দাঁতের ডাক্তার, আবু বক্কর সিদ্দিক নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো দাঁতের চিকিৎসক না, আমার কোনো সার্টিফিকেট নেই।নওগাঁ সিভিল সার্জন অফিস থেকেও নিবন্ধন নেই আমার তবে আমরাই একটা সংগঠন বানাতে চেয়েছিলাম। বড় ভাই এর কাছ থেকে শিখেছে, তিনি বিদেশ চলে যাওয়ার পড়ে আমি প্রতিষ্ঠান দিয়েছি ,আমি কোনো দাঁতের ডাক্তার নই।’ 

এ বিষয়ে হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান  জানান, সে প্রায় অনেক বছর ধরে ডাক্তারি করে। তার সার্টিফিকেট (আরএমপি) আছে মনে হয়, চিকিৎসাও ভালোই।

সার্টিফিকেট ছাড়া কিভাবে ডাক্তার হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সাটিফিকেট লাগবে ঠিক আছে তবে তার চিকিৎসা ভালো। ইউএনও মহোদয় আমাকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে আমি তার সার্টিফিকেটটা দেখবো এখন। ডেন্টালে আমি দেখি অনেক মানুষ তার কাছে ভিড় করে তবে ভুল চিকিৎসার জন্য যদি ক্ষতি হয় এটাও বিষয়।  ইউএনও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।’ 

এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুনির আলী আনন্দ মুঠোফোনে বলেন, এমবিবিএস ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না। গ্রাম্য চিকিৎসক হয়ে থাকলে গ্রাম্য চিকিৎসক লিখতে পারে সেটা আইনে বলায় আছে। ভুয়া ডাক্তার হলে আমরা তো কিছু করতে পারবো না, তবে কোর্টে পাঠাতে পারবো। সেটা কোর্টের ব্যাপার। সে যদি ভুয়া হয় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করতে হবে।

;