সৈকতে আবারো পর্যটকদের মিলনমেলা

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজার: শুক্র-শনি সাপ্তাহিক ও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রোববারও ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ। আর এ ছুটি কাটাতে যান্ত্রিক শহরের মানুষগুলো পাহাড়, সমুদ্র আর ঝর্ণার টানে কক্সবাজারে ছুটে আসছে।

ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতেই আবারো সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীসহ ১১টি পয়েন্টে পর্যটকদের মিলনমেলা শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩১ আগস্ট) থেকে কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা। শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সৈকতের ১১টি পয়েন্টে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। আগামীকাল রোববার আরও পর্যটকের চাপ থাকবে বলে আশা করছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

তবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পর্যটকদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে জমেছে বৃষ্টির পানি। দ্রুত তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির নেতারা জানান, ঈদের ছুটিতে বিপুল পর্যটক কক্সবাজারে এসেছিল। ওই সময় কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন তারা। এ ছুটি শেষ হতে না হতেই আবারো ছুটি পড়েছে। তাই শুক্রবার থেকে তাদের হোটেল-মোটেলের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত এ চাপ থাকবে।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক নাঈম হাসান বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে আসতে পারিনি। তাই সাপ্তাহিক ও জন্মাষ্টমীর ছুটি পাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে আসলাম। খুব মজা করছি।’

সিলেট থেকে আসা পর্যটক রুমি ও শিপন দাস দম্পতি বলেন, ‘নতুন বিয়ে করেছি। তাই ছুটিতে হানিমুনে আসলাম। খুব ভালো সময় কাটাচ্ছি। তবে হোটেলে খাবারের দাম একটু বেশি নিচ্ছে।’

কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী বার্তা২৪.কমকে জানান, কক্সবাজার শহর ও সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিচ কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। যাতে পর্যটকরা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার না হন।