ঝালকাঠিতে লড়াই হবে আ.লীগ ও বিএনপির মধ্যে, মাঠে নেই অন্য দল



অলোক সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঝালকাঠি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র এক দিন। ইতমধ্যে নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দ্বী সকল প্রার্থী তাদের প্রচার প্রচারণা শেষ করেছেন।

ঝালকাঠির দুটি আসনে ১০ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। বড় দুই দল ( আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ) প্রার্থীরা নির্বাচনী ময়দানে সক্রিয় । তবে জাতীয় পার্টি প্রার্থী এমএ কুদ্দুস খান আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে ইতমধ্যে সমর্থন দিয়েছেন। অন্য কোন দলের প্রার্থীদের মাঠে কোন  ততপরতা ছিলনা।

ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে আওয়ামী লীগের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বিএনপির জীবা আমিনা খান, জাতীয় পার্টির এমএ কুদ্দুস খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জাহাঙ্গীর হোসেন খান রয়েছেন।

এছাড়া ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে রয়েছেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, জাতীয় পার্টির এমএ কুদ্দুস খান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রবীর কুমার মিত্র, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী ।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা মাঠে থাকলেও অন্য দলের প্রার্থীদের তেমন কোন প্রচার প্রচারণা ছিল না। তাই এখানকার ভোটাররা মনে করছেন নির্বাচনে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে। ঝালকাঠির দুটি আসনেই টানা ১০ বছর ক্ষমতাসীন দলের দখলে রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঝালকাঠি-২ আসনে স্বাধীনতার পরে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রথম সংসদ সদস্য হন আমির হোসেন আমু। পরে ১৯৭৯ সালে ঝালকাঠি-২ আসনে তিনি বিএনপির প্রার্থী আবদুর রবের কাছে হারেন। এরপর তিনটি সংসদ নির্বাচনে (’৮৬, ৯১,৯৬, ২০০১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির প্রার্থীরা এখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালে তিনি বিএনপির প্রার্থী ইলেন ভুট্টোকে পরাজিত করে আর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আমির হোসেন আমু।

তাই হারানো আসন পুন:উদ্ধারে মরিয়া বিএনপির প্রার্থী জীবা আমিনা খান । অপর দিকে আসন ধরে রাখতে চায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। আওয়ামী লীগের হেবি ওয়েট প্রার্থীর বিপরীতে বিএনপির নবাগত প্রার্থী কতটা সুবিধা করতে পারে সেটা দেখর বিষয়।

ঝালকাঠি-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী জীবা আমিনা খান বলেন,‘ আমরা যদি ঠিক ভাবে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারি আর ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার সঠিক ভাবে প্রয়োগ করে পারে তাহলে জয় আমাদের সুনিশ্চিত।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন,‘ গত ১০ বছর আমরা ঝালকাঠি-নলছিটি যে পরিমানের উন্নয়ন করেছি তাতে ভোট চাইতে হবে না। ভোটাররা এমনেতেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয় যুক্ত করবে। 

অন্যদিকে ঝালকাঠি-১ আসনে ১৯৭৯ সালে ব্যারিস্টার শাহাজাহান ওমর বীরউত্তম প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ’৯১, ও ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পালন করেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর। ১৯৯৬ সালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু লাঙ্গল প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় একটি দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে ব্যারিস্টার শাহাজাহান ওমর বীরউত্তম বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে পারেননি। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বজলুল হক হারুন জয়ী হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে (বিএনপি অংশ নেয়নি) তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাসির উদ্দিনকে পরাজিত করেন।

তাই এখানেও হারান আসন পুন: উদ্ধার করতে চায় বিএনপি। অন্য দিকে হ্যাটট্রিক জয়ের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

বিশ্লেষকদের ধারণা ঝালকাঠি-২ আসনের তুলনায় ঝালকাঠি-১ আসনে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। তার কারন অনুসন্ধানে ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, এখানকার দুই উপজেলার ১২ ইউনিয়নের সড়কগুলোর অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। গত ১০ বছর এর বেশির ভাগ সড়কে তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সড়কটিরও বেহালা দসা। ভাঙা এ সড়কে গত দুই বছর ধরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে যাত্রী ভোগান্তি চরমে। তাছাড়া আমুয়া সেতুসহ এই দুই উপজেলার কমপক্ষে পাঁচটি জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু দীর্ঘ দিন ধরে ভেঙে পরেছে। যার ফলে এখানকার যাত্রীরা ভোগান্তি নিয়ে নৌকায় পারাপার হচ্ছে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই দুই উপজেলার গ্রামীণ সড়ক ব্যবস্থার যে পরিমানের উন্নয়ন হয়েছে। বিগত ১০ বছরে সেরক উন্নয়ন হয়নি বলে দাবি এখানকার ভোটারদের।

এখানে বিএনপির হেবিওয়েট প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইচ চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম এর বিপরিতে লড়বেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন।

ব্যারিস্টার শাহাজাহান ওমর বীরউত্তম বলেন,‘ গত ১০ বছরে রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়য়ন হয়নি। তার আগে আমি এমপি থাকা কালিন সময় এখানে যে উন্নয়ন করেছি তা এখানকার ভোটারদের মনে আছে। সুষ্ঠ নির্বাচন হয়ে আমি বিজয়ী হব।

বজললু হক হারুন বলেন,‘ বিগত দিনের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ও শান্তিতে বসবাস করার লক্ষে এখানকার ভোটাররা আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

ঝালকাঠি জেলার মোট আয়তন ৭৫৮.০৬ বর্গ কিলোমিটার। জেলার মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯২ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৭৩৫ জন।

রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলা নিয়ে সংসদীয় ১২৫ নং ঝালকাঠি-১ আসন। আসনটিতে ১২টি ইউনিয়নে ৯০ টি ভোট কেন্দ্রে রয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৯ হাজার ২৬৯ জন এবং নারী ভোটার ৮৮ হাজার ৯৮৬ জন।

ঝালকাঠি জেলা সদর ও নলছিটি উপজেলা নিয়ে ঝালকাঠি-২ আসনে ২০ টি ইউনিয়ন। ১৪৭টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬০২ জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮২৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৭৯ জন। 

ঝালকাঠি জেলার রিটার্নি কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন,‘ ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি ইতমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সকল কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচনী সামগ্রীসহ ব্যালট পেপার আমাদের কাছে পৌঁছে গেছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;