প্রশাসনের উদাসীনতায় বরগুনায় সক্রিয় জেএমবি



ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। একের পর এক জঙ্গিরা গ্রেফতার হয়ে জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের জড়িয়ে পড়ছে জঙ্গি কার্যক্রমে। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য বরগুনায় একের পর এক যুবকরা ভয়ংকর সব অস্ত্র ও বোমাসহ ফের গ্রেফতার হচ্ছে র‌্যাবের হাতে। সচেতন মহল বলছে স্থানীয় প্রশাসনের নাজুক অবস্থার কারণে বিপথগামী হয়ে উগ্রবাদী পথের দিকে যাচ্ছে তরুণরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বরগুনা সদরের আরাবিয়া এমদাদুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদরাসা থেকে ৩ জন তালেবান প্রশিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। যেখানে ৫০ জন ছাত্র নিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলছিল। এরপর ২০০৪ সালে সদরের শিয়ালীয়া মাদরাসায় জঙ্গি প্রশিক্ষণের সময় ৩৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৩ সালের ১২ই আগস্ট বরগুনায় তৃতীয়বারের মত খেজুরতলা থেকে বৈঠকরত অবস্থায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম রহমানীসহ ৩১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক হওয়া এই ৩১ জনের মধ্যে মুফতি জসীম উদ্দিন রহমানী ছাড়া বাকি সবাই জামিনে চলে বের হয়ে আসে এক বছরের মধ্যে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/18/1547793057706.gif

জামিনে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে গত বছরের ৩১ আগস্ট বরিশাল কোতোয়ালি থানার দড়গা বাড়ি এলাকা থেকে মনসাতলী গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের ছেলে আব্দুল্লাহ আল-মিরাজকে ওরফে সাইফ বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র, বোমা ও বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। র‌্যাবের দাবি আটক মিরাজ জসিম উদ্দিন রহমানীর সাথে গ্রেফতার হয়ে জামিনে বের হয়ে ফের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করে। অবশ্য মিরাজের পরিবারের দাবি মিরাজ প্রায় এক মাস ধরে সে নিখোঁজ ছিল।

এদিকে ওই বছরের ১২ জুলাই রাত ২টার দিকে সদরের ঢলুয়া এলাকার আতিকুল ইসলাম শাওন ওরফে বাবু নামে এক যুবকের বাসায় বিভিন্ন রকমের অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ১৫/২০ জন লোক যায়। তারা শাওন ওরফে বাবুর মা’কে বলে আসে আলিয়া মাদরাসা বড় হুজুর শাওনকে নিতে পাঠিয়েছে। তবে এর পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় শাওন। পরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরিশালের কোতোয়ালি থানার জিয়া উদ্দিন সড়ক থেকে অস্ত্র ও জিহাদি বইসহ শাওনকে আটক করে র‌্যাব। একই দিনে বরগুনা সদরে অভিযান চালিয়ে হাসান ও আবু সালেহ নামে দুই যুবককে অস্ত্র ও জিহাদি বইসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য হাসান মোল্লাসহ জেএমবির বেশ কয়েকজন সামরিক শাখার ও সংগঠনের জন্য চাঁদা তোলার সময় গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের দাবি তারা সবাই আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের হয়ে কাজ শুরু করলেও বাংলা টিমের প্রধান জেলে থাকায় তারা জেএমবির সাথে কাজ শুরু করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/18/1547793082058.gif

এদিকে যুবকদের এভাবে নিখোঁজ হওয়া ও উগ্রবাদী সংগঠনে জড়িয়ে পড়ায় আগামী প্রজন্ম নিয়ে শঙ্কিত সচেতন মহল। তাদের দাবি স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে জঙ্গিরা জামিনে বের হয়ে ফের জরিয়ে পরছে একই কাজে।

এ বিষয়ে টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন কামাল বার্তা২৪কে বলেন, 'বাংলাদেশে সর্ব প্রথম তালেবান প্রশিক্ষক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একাধিকবার বিপুল পরিমাণ জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে। এ ছাড়াও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম রহমানীর বাড়ি বরগুনায় হওয়ায় এখানে তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তার সাথে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরাও এখন জামিনে। আর তারাই ফের নতুন সদস্য নিয়ে তাদের সামরিক শাখার সদস্য বাড়াতে কাজ করছে।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/18/1547793131029.gif

'সেক্টর কমান্ডার ১৯৭১' এর বরগুনা শাখার কমান্ডার আনোয়ার হোসেন মনোয়ার এ বিষয়ে বলেন, 'বরগুনা জঙ্গিদের জন্য একটি অভয়ারণ্য। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে জেএমবি এখন বরগুনায় সক্রিয়। র‌্যাব-৮ এর অভিযান তার বড় প্রমাণ। একবার যারা গ্রেফতার হয় তারা জামিনে বের হয়ে ফের আবার এই পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। তাই এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আদালত থেকে এদের জামিনের ব্যাপারে আরও গভীরভাবে ভেবে জামিন দেয়া উচিৎ। আর তার পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা খুব জরুরি। কারণ তাদের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে আদালতের রায়।'

তবে বরগুনা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ আখতারুজ্জামান বাহাদুর বলেন, 'পুলিশি তদন্তে ফাঁক থাকার কারণে বার বার জামিন পাচ্ছে জঙ্গিরা। তাই পুলিশি তদন্তে ফাঁক না থাকলে জঙ্গিদের জামিন কঠিন হয়ে পড়বে।'

তবে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, 'পুলিশি তদন্তে কোন ফাঁক নেই। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন জঙ্গি দমনে। জামিনে মুক্তি হওয়া জঙ্গিদের নজরদারিতে রাখছেন তারা।'

র‌্যাবের একটি সূত্রের দেয়া তথ্য মতে, বরগুনার নাজমুল ওরফে উকিল ওরফে রেশান, তরিকুল ওরফে সাকিব ওরফে নাজমুল সাকিব, আলামিন ওরফে হাসান ওরফে আলমগীর, আল আমিন ওরফে রাজীব ওরফে আজিজুলসহ বেশ কয়েকজন জেএমবির প্রশিক্ষক বরগুনায় সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;