একজন অভিমানী জয়নাল আবেদীন



মাহমুদ আল হাসান রাফিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নীলফামারী, বার্তা২৪.কম
একজন অভিমানী জয়নাল আবেদীন। ছবি: সংগৃহীত

একজন অভিমানী জয়নাল আবেদীন। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন একজন সফল সংগঠকের নাম। জনকল্যাণের ব্রত ধারণ করেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন সব সময়। একাধারে রাজনৈতিক, ক্রীড়া সংগঠক, শ্রমিক নেতা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অগ্রসৈনিক।

মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার সাহসী ভূমিকা। মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর ডেপুটি লিডার ছিলেন, অংশগ্রহণ করেন গেরিলা যুদ্ধে, যেন যুদ্ধ করাই তার নেশা। বাঙালির মুক্তির সনদ ৬৬'র ছয়দফা, ৭১'র মহান মুক্তিসংগ্রামে জীবন বাজি রেখে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিনিয়ে এনেছেন লাল সবুজের পতাকা।

পঁচাত্তরে জাতির জনকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর অনেকে যখন আত্মগোপনে, তখনো রাজপথে সরব থেকেছেন জয়নাল আবেদীন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে আড়াই বছর জেল খেটেছেন তিনি।

বর্তমানে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করছেন। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড নীলফামারী ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের পর ১৯৯৪ সালে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জয়নাল আবেদীন। দায়িত্বভার গ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগের ভঙ্গুর অবস্থা থেকে পুনর্গঠন করেছেন তিনি, সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সীমাহীন ভূমিকা রয়েছে তার। জনশ্রুতি আছে জয়নাল আবেদীনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ নীলফামারীর মাটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে।

শুধু রাজনীতিতে নয়, ১৯৯৩ সালে জেলার ৪২টি শ্রমিক সংগঠন নিয়ে নীলফামারী জেলা শ্রমিক ঐক্য সংগ্রাম পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। তখন নীলফামারীতে প্রথমবারের মতো শ্রমিকদের মধ্যে জাগরণের সৃষ্টি করেন। ১ মে তে ঐতিহাসিক ভাবে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করে ‘শ্রমিক ঐক্য’। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত শ্রমিক অধিকার আদায়ে নানা সময়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা অর্জন করতে সক্ষম হয় তারা।

শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও শ্রমিক অধিকার সম্পর্কিত অসংগতির বিরুদ্ধে হক আদায়ের জন্য ভূমিকা রেখেছিলেন জয়নাল আবেদীন। তাই আজও নবীন ও প্রবীণ শ্রমিকদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আছেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/24/1548334199617.jpg

জয়নাল আবেদীন সম্পর্কে জানতে চাইলে নীলফামারী কুলি ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, ‘আবেদীন চাচা মাথার ওপর ছাতা হয়ে আছেন বলেই আমরা চিন্তামুক্ত থাকতে পারি।’

ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে জয়নাল আবেদীনের বেশ পরিচিতি ছিল দেশব্যাপী। নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন একটানা প্রায় তিন দশক। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন আপোষহীন। জামায়াত-শিবিরের দুর্গ বলে খ্যাত নীলফামারীর জলঢাকায় দলটির পক্ষ থেকে একাধিকবার জীবননাশের হুমকি দিলেও তোয়াক্কা করেননি জয়নাল আবেদীন। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে দিয়ে নীলফামারী ও জলঢাকার মাটিতে জনসভা করিয়েছিলেন তার নেতৃত্বে। চেয়েছেন ৭১'র যুদ্ধাপরাধী, ঘাতক-দালালদের বিচার। ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নীলফামারী জেলা সভাপতি।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আদলে নীলফামারীতে 'জনতার মঞ্চ' তৈরি করে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার অবৈধ নিয়ম-নীতি, অপশাসনের বিরুদ্ধাচরণ করেন তিনি। ঘরে ঘরে গিয়ে ছাত্রদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত করে জেলা ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেছিলেন। জেলার প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছিলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন পণ্ড করেছিল নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ। আর এটি করা হয়েছিল জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বেই। সারা জেলায় সকল মানুষের কোনো ক্ষতি সাধন ছাড়াই, জেলার জনমানুষকে সম্পৃক্ত করে প্রহসনমূলক নির্বাচন প্রতিহত করেছেন তিনি।

১৯৯৬ সালে নৌকার কান্ডারি ছিলেন জয়নাল আবেদীন। নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়েছেন, গণজাগরণের সৃষ্টি করেছিলেন নৌকার পক্ষে। পরাজিত হয়েছেন মাত্র ৪৩৯ ভোটে। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আরও জোরদার করেন তিনি। কিন্তু এরপর আর পাননি দলের মনোনয়ন। সহস্র নির্ঘুম রাত, ঘাম ঝরানো দিন, শীত-রোদ-ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যে দল গুছিয়েছিলেন, তার ফল না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন জয়নাল আবেদীন। অভিমানী হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

পরবর্তী সময়ে নিজের অভিমানী মন সায় না দিলে তিনি ছেড়ে দেন জাতীয় পার্টি। নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হিসেবেই ধরে রাখতে চেয়েছেন জীবনের শেষ পর্যন্ত।

নীলফামারীর মাটি ও মানুষ এই আপোষহীন নেতাকে ঠকায়নি কখনই। নীলফামারীর মানুষের রায়ে দুই দুইবার (১৯৮৬ ও ২০০৮) সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নীলফামারী জেলার আপামর জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। নানা অভিধায় সিক্ত এই মানুষটির মূল পরিচয় তিনি নীলফামারীর গণমানুষের নেতা।

রাজনীতিতে দল পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল আবেদীন বলেন, 'অনেক কষ্টে নীলফামারীর আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছি। তৃণমূল আওয়ামী লীগ আমাকে চেয়েছে। তাই আমি জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করেছিলাম।'

তিনি বলেন, 'আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করি। ২০০১ পরবর্তী সময়ে আমি জাতীয় পার্টি ছেড়ে দেই। ২০০৮ সালের উপজেলা নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করি এবং বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেছিলাম। সর্বশেষ জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদেও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে বিজয় লাভ করেছি। নীলফামারীর সাধারণ জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি বারবার।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমি কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। তবে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথ চলি। আওয়ামী লীগের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রেখে বাকি জীবন চলতে চাই।’

নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের হাল ধরে সুসংগঠিত করেছেন, প্রায় দুই দশক রয়েছেন সক্রিয় রাজনীতির বাইরে। আবারো আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নাল আবেদীন বলেন, 'বর্তমানে জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছি। দলের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা যদি চান, তাহলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাই।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;