২ চিকিৎসক দিয়ে চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল



আবু হোসাইন সুমন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বাগেরহাট, বার্তা২৪.কম
বাগেরহাটের মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বাগেরহাটের মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালে ২৭ জনের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র দুইজন চিকিৎসক। এই দুই জনের মধ্যে কেউই বিশেষজ্ঞ কিংবা সিনিয়র ডাক্তার নন। জুনিয়র এই দুই ডাক্তার দিয়ে চলছে বাগেরহাটের মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা কার্যক্রম।

সরকারি হাসপাতালের এই ডাক্তাররা আবার বসছেন প্রাইভেট ক্লিনিকেও। হাসপাতালটিতে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন ডা: মো: মশিউল আজম ও মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা: মো: রাফিউল হাসান।

এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিববার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকতে হয়। দুই চিকিৎসকের মধ্যে প্রায়ই প্রশিক্ষণের জন্য একজনকে বাহিরে থাকতে হয়। তখন একজনকে দিয়েই চলে গোটা হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/15/1550225999182.jpg

গত মঙ্গলবার ঢাকায় একদিনের প্রশিক্ষণ নিতে ডা: মশিউল আজম তিনদিনের ছুটিতে ছিলেন। এই পুরো সময় একজন চিকিৎসককেই সামলাতে হয়েছে হাসপাতাল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাক্তার স্বল্পতার কারণে ঠিকমত সেবা পান না তারা। সন্ধ্যার পর তো শুধু নার্স ছাড়া কেউ থাকেন না হাসপাতালে। সেই সময় ডাক্তারকে খুঁজে আনতে হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের এক্সরে মেশিন অকেজো পড়ে রয়েছে। এক্সরে মেশিন নষ্ট থাকায় এর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিও) বসে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। নেই ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র। নষ্ট পড়ে রয়েছে জেনারেটরটিও।

এখানে প্রাথমিক সেবা দেয়া হয় জ্বর, ম্যাথাব্যথা, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, কলেরা রোগীদের। এসকল রোগীদের কেউ আবার বেশি অসুস্থ বোধ করলে রেফার করা হয় খুলনা মেডিকেলে। এছাড়া শ্বাসকষ্ট, স্ট্রোক, হার্টঅ্যাটাক ও সিজারজনিত রোগীদের সেবা মিলে না এ হাসপাতালে।

হাসপাতালের ল্যাবে ইউরিন, ব্লাডের রুটিন চেক, কিডনি পরীক্ষা ও টাইফয়েড, মালেরিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে থাকে। এক্সেরে, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফিসহ অন্যান্য পরীক্ষা জন্য যেতে হয় হাসপাতালের ডাক্তারদের পছন্দসই বেসরকারি ক্লিনিকে। তাদের পছন্দ মতো ল্যাবে টেস্ট না করালে সেই রিপোর্ট দেখেন না এবং রোগীদের সাথে এ নিয়ে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/15/1550226015096.jpg

হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকার সুযোগে কর্তৃব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে রমরমা বাণিজ্য চালাচ্ছেন শহরের মাদরাসা রোডের বাগেরহাট জেটি, উপজেলা ও হাসপাতালের সামনের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। তারাও নামেমাত্র পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিববার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, ‘হাসপাতালটিতে ২৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র দুইজন। এদের মধ্যে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। দুইজনই আবার জুনিয়র, ৩৫তম বিসিএস-এর। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রোগীদের পুরোপুরি সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘এখানে কেউ আসলে থাকতেও চান না। তদবির করে অন্যত্র চলে যান। কারণ হলো এখানে সার্জারির ব্যবস্থা না থাকায় ঐ সব বিষয়ের পারদর্শীরা তাদের কর্মে আগ্রহ হারান। এছাড়া হাসপাতালের আবাসিক ভবনগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ, বসবাস অনুপযোগী। রয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকটসহ নানা অসুবিধাও।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;