ঈশ্বরদীতে চাঞ্চল্যকর ৬ খুন, ধরা ছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্তরা



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা , বার্তা২৪.কম
ইশ্বরদীতে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা এবং পুলিশ কর্মকর্তা / ছবি: বার্তা২৪

ইশ্বরদীতে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা এবং পুলিশ কর্মকর্তা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৬ বছরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে সরকারি দলের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা এবং পুলিশের কর্মকর্তাসহ ছয় জন খুন হয়েছেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলে এ সকল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অথচ এসব চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের একটিরও বিচার না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ হতাশ ও ক্ষুব্ধ। আর অভিযুক্তরাও রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

নিহতরা হলেন, পাকশী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ মিতু, ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম লাভলু, পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুজাউল ইসলাম, পাকশী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি শাজাহান আলী, পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সদরুল আলম পিন্টু এবং পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ রাতে পাকশীর রেলওয়ের এমএস কলোনী এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ মিতু (৩০) নিহত হন। নিহত মিতু পাকশী বাজার পাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি পাকশী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনার পরদিনই নিহত মিতুর স্ত্রী মৌসুমি আক্তার বেলী বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কিন্তু গত ৬ বছরেও এ মামলার কোনো বিচার হয়নি।

২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লাভলুকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত লাবলু ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামের মৃত ঝড়ু মন্ডলের ছেলে।

লাবলু বিশ্বাসের ভাই ডাবলু বিশ্বাস জানান, ঠিকাদারি কাজ ভাগাভাগি নিয়ে ঝামেলার কারণে হয়ত তার ভাইকে দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। কিন্তু গত ৫ বছরেও আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ ও শঙ্কিত।

২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর ঈশ্বরদীর পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সহরকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুজাউল ইসলামকে (৩৫) নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পাকশী রেলওয়ে কলেজের পেছনের একটি কলাবাগান থেকে হাত-পা-মুখ বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও পুলিশের এএসআইকে কেন হত্যা করা হয়েছে তা আজও জানা যায়নি।

অপরদিকে ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে শাজাহান আলী মন্ডল (৪৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। নিহত শাজাহান আলী পাকশীর রূপপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি পাকশী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

নিহত শাজাহানের ছোট ভাই জালাল উদ্দিন জানান, পদ্মা নদীর বালু বিক্রি ও রূপপুর প্রকল্পে বালু সাপ্লাইয়ের কাজ ভাগাভাগি নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। ওই সময় তাদের দুই ভাইয়ের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পর সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। নতুন রূপপুর ফুটবল মাঠ সংলগ্ন চায়ের দোকানের সামনের রাস্তায় শাজাহান আলীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও ইট দিয়ে মুখমণ্ডল থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করে তারা। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি।

এছাড়া ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল পাকশীর রূপপুর মোড়ে পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সদরুল আলম পিন্টুকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে অপর গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ হত্যাকাণ্ডেরও এখনো কোনো বিচার হয়নি।

এসব আলোচিত হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে রূপপুর গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে (৬২) দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে।

মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমের স্ত্রী দিলারা বেগম জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র ক্ষমতার জোরে এলাকায় ভুয়া কৃষকের তালিকা তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সে তালিকা চ্যালেঞ্জ করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।

আলোচিত এসব হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পাকশী ইউনিয়নে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।’

পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হবিবুল ইসলাম হব্বুল বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় আমরাও শঙ্কিত হয়ে পড়েছি।’

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আমি নির্দেশ দিয়েছি যত দ্রুত সম্ভব এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘আমি যোগদানের পর মুক্তিযোদ্ধা সেলিমকে হত্যার বিষয়টি ঘটেছে। বাকি পাঁচটি হত্যাকাণ্ডের বিষয় থানার পুরোনো ফাইল ঘেঁটে জেনেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুরনো হত্যাকাণ্ড এবং আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমের হত্যাকাণ্ডের মামলায় জড়িতদের খুব দ্রুতই গ্রেফতার করতে সক্ষম হব। পুলিশ এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে বদ্ধ পরিকর।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;