উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন পৌর মেয়রের ছেলে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪.কম
ছেলে তানভীর ইসলাম ও তার বাবা শহীদুল ইসলাম রতন / ছবি: বার্তা২৪

ছেলে তানভীর ইসলাম ও তার বাবা শহীদুল ইসলাম রতন / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ সম্পাদক তানভীর ইসলাম। তিনি আটঘরিয়া পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম রতনের ছেলে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ জুন পৌরসভা নির্বাচনে শহীদুল ইসলাম রতন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর থেকেই পৌরসভাবাসীর জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। এবার উপজেলাবাসীর জনপ্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন তার ছেলে তানভীর ইসলাম।

স্থানীয়রা বলছেন, ছেলে বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছে প্রতিটা ক্ষেত্রে। বাবা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হলেও ছেলে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকের প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের পদমর্যাদার প্রটোকল তালিকার ক্রমবিন্যাস অনুসারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মেয়রের পদমর্যাদা এক। কিন্তু আয়তন ও কর্মক্ষেত্র অনুযায়ী উপজেলার অবস্থান বৃহৎ। তাছাড়া আটঘরিয়া উপজেলা দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

তানভীর ইসলামের একাধিক সমর্থকদের সাথে আলাপকালে তারা জানালেন, দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ, সফল জনপ্রতিনিধি, এলাকার মানুষের কাছে যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তিনি হলেন আটঘরিয়া পৌর মেয়র শহীদুল ইসলাম রতন। তাকে অনুসরণ করেই তারই সুযোগ্য সন্তান প্রতিটা ক্ষেত্রেই বাপকে ছাপিয়ে টপকে উপরে উঠে গেলেন, এতে আমরা আনন্দিত।

সমর্থকরা আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম, তরুণ নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল বলেই সাধারণ ভোটাররা তানভীর ইসলামকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করে তার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।

আটঘরিয়ার চায়ের দোকানদার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বাপকা বেটা। বাপে হইছে ভোট না কইরা, আর তার পুলা হইছে ভোটে দাঁড়াইয়া। হুনছি আমাগো মেয়রের চাইতে তানভীর বেটার পদ বড়। বাপবেটা ক্ষমতা লিছে, এখন আমাগো লেগান ভাল কাজ করবি, এটাই হবি তাইন্যা।’

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, উপজেলার নেতৃত্ব প্রদান আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবার জন্য বড় দুটি পদ। আর এই পদে কে আসলেন সেটা বিষয় নয়, বিষয় তারা যেন জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। অবহেলিত এই জনপদ তাদের দ্বারা যুগোপযোগী, আধুনিকায়ন, পৌরবাসী ও উপজেলাবাসীর দুঃখ, দুর্দশা লাঘবে অগ্রণী ভূমিকায় থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের কাছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;