ধর্মঘটে অচল কক্সবাজার সদর হাসপাতাল



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা২৪.কম
ধর্মঘটে অচল কক্সবাজার সদর হাসপাতাল। ছবি: বার্তা২৪.কম

ধর্মঘটে অচল কক্সবাজার সদর হাসপাতাল। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আনোয়ার হোসেন নামে এক রোগী ভুল চিকিৎসায় মারা গেছেন এমন অভিযোগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুই দিন ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছে চিকিৎসকরা। আর অতর্কিত এই ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ ধর্মঘট কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠনগুলো।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ওই হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন চিকিৎসক ডা. সোহান, ডা. শিরিন ও ডা. নিশুসহ আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে শনিবার মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। এ সময় তাদের বুঝিয়ে কর্মস্থলে ফেরানোর চেষ্টা করেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আবছার। কিন্তু চিকিৎসকরা তাদের আশ্বাসে আস্থা নেই বলে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/06/1554546624641.gif

মানববন্ধনে বিএমএর কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যদি চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দেয়া না হয়, তাহলে সারা বাংলাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে। প্রশাসনের উদ্দেশে বলতে চাই- আগে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। অন্যথায় আমরা চিকিৎসা সেবা দিতে পারব না।’

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি হাসিবুন নাসিম সোহান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘একজন রোগী মারা গেছে। আমরা তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তারপরও স্বজন নামধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর দফায় দফায় হামলা করেছে। হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। অন্যথায় আমরা কর্মস্থলে ফিরে যাব না। যতদিন পর্যন্ত হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হবে ততদিন কর্মবিরতি চলবে।’

এ ঘটনার পর থেকে হঠাৎ চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে রোগী ও রোগীর স্বজনরা। অনেকে নিজেদের রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসা না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান চেয়েছে তারা।

মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে ডাক্তার আসছে না। আমি অপারেশনের রোগী। তারা বলছে বাড়ি চলে যেতে। কিন্তু এ অবস্থায় কী বাড়ি যাওয়া সম্ভব? একজন রোগীর জন্য সবাইকে কষ্ট দিচ্ছে তারা। চিকিৎসকরা অমানবিক আচরণ করছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/06/1554546655255.gif

এদিকে সবকিছু গুছিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যাচ্ছেন রামুর নাজমুল হক। ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যাদের মনে মনুষ্যত্ব রয়েছে তারা কখনো মুমূর্ষু রোগী রেখে কর্মবিরতি করতে পারে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিধান পাল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’ কিন্তু দুইদিনেও কেন সমাধানে আসতে পারেননি এমন প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে লাইন কেটে দেন।’

অন্যদিকে মারা যাওয়া আনোয়ারের স্বজনদের অভিযোগ, আরেক রোগীর ভ্যাকসিন তাদের রোগীকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরই তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ইন্টার্নদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে কে বা কারা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে তা তারা জানেন না।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;