১৬০টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম: 
খোলা মাঠেই চলছে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা, ছবি: বার্তা২৪

খোলা মাঠেই চলছে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার ১৬০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, ভবন নির্মাণে অনিয়ম হওয়ায় ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে ভবনগুলো। আর এ কারণে বারবার দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তবে এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিস দায় চাপাচ্ছে এলজিইডির উপর। তবে এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি নয় এলজিইডি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/10/1554904157480.gif

বরগুনার তালতলীর ছোটবগী পিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ২০০২ সালে নির্মাণ করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২০০৪ সালে ভবনটি হস্তান্তর করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে নির্মাণের এক বছর মধ্যেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসকে জানালেও তারা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা না করে এখানেই পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় শিক্ষা অফিস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/10/1554904178420.gif

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাকির হোসেন চুন্নু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘২০০২ সালে ক্ষমতাসীন দল বিএনপির বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে সেতু এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন টেন্ডার নিয়ে নিম্ন মানের কাঁচামাল দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করেন। সে সময় তারা বাধা দিলেও তখন তার ক্ষমতার দাপটে কাজ বন্ধ করতে পারেনি তারা। আর এ কারণেই আজ তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মানসুরা বিদ্যালয়ে শিক্ষা অর্জন করতে এসে জীবন হারিয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/10/1554904201693.gif

একই অবস্থা তালতলীর মেনিপাড়া, তাতীপাড়া ও উত্তর কড়াইবাড়িয়া, বরগুনা সদরের চরকলোনী, মধ্য বরগুনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বরগুনার প্রায় ১৬০ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের। পিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্ঘটনার পর আতঙ্ক বিরাজ করছে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/10/1554904218382.gif

এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বেশিরভাগ ভবন নির্মাণ হয়েছে ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে। তবে প্রভাবশালী ঠিকাদাররা নিম্নমানের মালামাল দিয়ে ভবন নির্মাণ করায় এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে এসব ভবন। তবে এসব বিষয়ে শিক্ষা অফিসকে জানালেও তারা ভবন নির্মাণের এক বছরের মাথায় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করতে রাজি হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এখানেই পাঠদান চালাচ্ছেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/10/1554904242845.gif

তালতলীর মেনিপাড়া, উত্তর কড়াইবাড়িয়া ও মধ্য বরগুনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শশী, নাদিরা, সিফাত, তন্নী, খাইরুল, আতিক, মিতা, রাফিসহ একাধিক শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নতুন ভবন না হলে এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে তারা আর ক্লাশ করবেন না।’

তবে এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কমের কাছে অসহায়ত্বের কথা স্বীকার করে দায় চাপালেন এলজিইডির উপর।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/10/1554904268910.gif

তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবন হস্তান্তর করার পর তারা ভবন রক্ষণাবেক্ষণ করেন। তবে নির্মাণে কেমন ধরনের কাঁচামাল ব্যবহার করলো বা নিম্ন মানের ভবন নির্মাণ হয়েছে কিনা এমনটা দেখার দায়িত্ব এলজিইডির। কারণ তাদের ইঞ্জিনিয়ার নেই।’

তবে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/10/1554904297629.gif

তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করেন দুদকের একটি দল। এসময় দুদকের পটুয়াখালী আঞ্চলিক অফিসের সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নড়ভড়ে এসব ভবন নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, শনিবার তালতলীর ছোটবগী পিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের বীম ধ্বসে নিহত হয় মানসুরা নামে তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী। এর ঠিক দুইদিন পর মঙ্গলবার ফের বরগুনা সদরের আমতলারপাড়ের মধ্য বরগুনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বীম ধসে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;