শিক্ষক হতে চান দু’হাত হারানো স্বর্ণা



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ), বার্তা২৪.কম
শিক্ষক হতে চান দু’হাত হারানো স্বর্ণা। ছবি: বার্তা২৪.কম

শিক্ষক হতে চান দু’হাত হারানো স্বর্ণা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় দুই হাত হারানো স্বর্ণা রাণী সরকার লেখাপড়ার প্রতি অদম্য। পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষক হতে চান তিনি। তবে দুর্ঘটনায় দুই হাত হারালেও হারাননি মনোবল। মায়ের উৎসাহে কনুই দিয়ে লিখেই উত্তীর্ণ হয়েছেন পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায়। এবার ঈশ্বরগঞ্জের ইসলামিয়া টেকনিক্যাল বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।

জানা গেছে, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের চড়পাড়া গ্রামে বাড়ি হলেও স্বর্ণা রাণী সরকারের পরিবার থাকে গাজীপুরে। বাবা দুলাল চন্দ্র সরকার পেশায় কৃষক। মা স্বপ্না রাণী সরকার গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে স্বর্ণা ছোট। প্রায় ১০ বছর আগে একদিন চারতলা বাসার ছাদে খালাতো বোনের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন স্বর্ণা। হঠাৎ পা পিছলে নিচে পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। আত্মরক্ষায় ছাদের কার্নিশ ঘেঁষা বিদ্যুতের তার দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেন। তখন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার দু’হাত পুড়ে যায়। জীবন বাঁচাতে ডাক্তারদের পরামর্শে পরবর্তীতে দুই হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়।

গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষা শেষে স্বর্ণা রাণী সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সুস্থ হওয়ার পর স্কুলে যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু মা সাহস করে আমার কনুইয়ে কলম ধরিয়ে দেন। এরপর ফের স্কুলে যেতে শুরু করলাম। প্রথম দিকে লিখতে সমস্যা হলেও পরবর্তীতে ধীরে ধীরে লেখা আয়ত্ত করে ফেলি। এরপর কনুইয়ে লিখে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছি। এবার এইচএসসি পরীক্ষাও দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা একজন দরিদ্র মানুষ। ছোট থেকে অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করে বড় হয়েছি। অর্থাভাবে আমার বড় বোনের পড়াশোনা বন্ধ করে বিয়ে দিতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনায় হাত হারানোর পর মা আমাকে বলতেন তোকে পড়াশোনা করতে হবে। নইলে জীবনে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। যত কষ্টই হোক আমি তোকে পড়াশোনা করাব। মায়ের অনুপ্রেরণাতেই আবার পড়াশোনা শুরু করি। এরপর নানা প্রতিকূলতার মধ্যে টিউশনি করে নিজের খরচ বহন করেছি।’

জানা গেছে, স্বর্ণা রাণী সরকার ২০১০ সালে চড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসিতে জিপিএ ৩.২৫, ২০১৩ সালে গাজীপুরের হরিনাল হাইস্কুল থেকে জেএসসিতে জিপিএ ৪.৬০ এবং ২০১৬ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৩.৮৯ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

স্বর্ণা রাণী সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষক হতে চাই। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে অনার্সে ভর্তি হতে অনেক খরচ হবে। এতো খরচ আমার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব হবে না। তাই সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতো।’

স্বর্ণার মা স্বপ্না রাণী সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সব সময় প্রার্থনা করি, স্বর্ণার স্বপ্ন যেন পূরণ হয়। তবে টাকার অভাবে তার স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে সেটা নিয়েও ভয় হয়।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;