ঝিনাইদহে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বামী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে শৈলকুপা উপজেলার ভাইট বাজারে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে মরদেহ রেখে অবরোধ করেন তারা।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, প্রেমের সর্ম্পকের মাধ্যমে বছর খানেক আগে উপজেলার গোয়াল খালি গ্রামের বাদশা হোসেনের ছেলে সজিবের সাথে ফিরোজ হোসেনের মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সোনিয়াকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে সোনিয়াকে হত্যা করে গলায় ওড়না দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে সোনিয়ার মা-বাবা ঘটনাস্থলে যান। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। অভিযুক্ত শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করে।
এ ঘটনায় সোনিয়ার পরিবারের লোকেরা হত্যা মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে অপমৃত্যু হিসাবে মামলা রেকর্ড করে। সেই সাথে শ্বশুর বাদশা হোসেনে ও শাশুড়ি মর্জিনা খাতুনকে ছেড়ে দেয়।
এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে মহাসড়কে মরদেহ রেখে অবরোধ করেন তার স্বজন ও স্থানীয়রা। পরে থানায় মামলা গ্রহণ ও দোষীদের গ্রেফতার করার আশ্বাস দেয় পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল মেহেদি বলেন, সোনিয়া আত্মহত্যা করেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায়। লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে। সোনিয়ার একটি ডায়রি পাওয়া গেছে; সেখানে উল্লেখ আছে- তার মৃত্যুর জন্য কে কে দায়ী। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি এলে হত্যা মামলা হবে। অন্যথায় আত্মহত্যার রিপোর্ট এলে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা নেওয়া হবে।