তীব্র গরমেও হবিগঞ্জের হাওরজুড়ে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
ধান কাটার পর খলায় চলছে মাড়াই, সেদ্ধ ও শুকানোর কাজ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ধান কাটার পর খলায় চলছে মাড়াই, সেদ্ধ ও শুকানোর কাজ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ মাস, সারা দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। প্রচণ্ড গরমে প্রয়োজন ছাড়া শহরের মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আবার ঘরের ভেতরে থেকেও ভ্যাপসা গরমে হাসপাস করছেন। কিন্তু শহরের অবস্থা এমন হলেও গ্রামের দৃশ্য উল্টো।

এই গরমেও গ্রামের মানুষ ঘরে নেই। শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ নারী-পুরুষরা দাবদাহ উপেক্ষা করে বোরো ধান ঘরে তুলতে মাঠে কাজ করছেন। দিন কিংবা রাত তাদের কাছে যেন কোনো পার্থক্য নেই।

হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওরজুড়ে এখন শুধু পাকা ধানের রঙিন ঝিলিক আর মৌ মৌ ঘ্রাণ। সপ্তাহখানেক আগ থেকেই হবিগঞ্জের হাওরে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় ধান কাটায় অন্য বছরের তুলনায় অনেকটা ধিরগতি বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/26/1556280319362.gif
হাওরে ধান কাটছেন কৃষকরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তাই বোরো ধানের উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। জেলায় এবার মোট পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ধানের এমন ফলনে খুশি হবিগঞ্জের কৃষকরা। প্রচণ্ড তাপদাহেও কণ্ঠে ভাটিয়ালি গান ধরে ধান কাটছেন কৃষকরা। আর নারীরা খলায় (ধান তুলার মাঠ) কাজ করছেন বিশ্রামহীনভাবে। 

সরজমিনে হবিগঞ্জের বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি হাওরেই ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। বৈশাখের প্রথম জৈষ্ঠ্য মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত কৃষকরা নতুন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করবেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে ধান তোলার ব্যস্ততা।

কেউ ধান কাটছেন, কেউ শুকাচ্ছেন, কেউ মাড়াই করছেন আবার কেউ খড় শুকাতে ব্যস্ত। গ্রামের কৃষাণ বধু থেকে শুরু করে শিশু-বৃদ্ধরাও নিজেদের সাধ্যমতো ধান সহযোগিতা করছেন।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালে কেউ ধান কাটতে যান। যারা ধান কাটতে মাঠে যান না, তারা খলায় কাজ করেন। সেখানে কাটা ধান মাড়াই করা হয়। তারপর শুকাতে দিতে হয়। অনেকে আবার শুকানোর আগে সেদ্ধও করে নিচ্ছেন। শুকনো ধান আবার মাঠ থেকে বাড়িতে নিতে হচ্ছে। সেই সাথে গো-খাদ্য হিসেবে খড় শুকাতে হচ্ছে। সন্ধ্যায় সেগুলোকে আবার হাওরেই যত্ন স্তূপ করে রাখছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/26/1556280369428.gif
হাওরে খলায় কাজ করছেন কৃষক-কৃষাণীরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

 

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার কৃষক রাজেন্দ্র দাস বলেন, ‘বৈশাখে কাজের শেষ নেই। সারা বছর যে কাজ করি তাও বৈশাখের সমান হবে না। কারণ এ মাসটি আমাদের সারা বছরের হাসি-কান্নার মাস। সারা বছর ভালো থাকার জন্য এই মাসে রোগ-গরম উপেক্ষা করে কাজ করতে হয়।’

লাখাই উপজেলার কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘এ বছর ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তাই আমরা অনেক খুশি। তীব্র গরমে ধান কাটতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু তাও গায়ে (শরিরে) লাগছে না।’

একই উপজেলার কৃষাণী আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘কাজের কোনো শেষ আছে? শুধু বৈশাখ মাস না, জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত চলবে আমাদের ব্যস্ততা। এখন খাওয়া-নাওয়ারও সময় নেই।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;