'এসে দেখি মা নেই, হত্যা করে সবাই পালিয়েছে'



নিয়াজ আহমেদ শিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট লালমনিরহাট বার্তা২৪.কম
মায়ের কবরের পাশেই দুই ভাইবোন, ছবি: বার্তা২৪

মায়ের কবরের পাশেই দুই ভাইবোন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মায়ের হত্যার বিচার চেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দুই সন্তান। কবরের পাশে অঝোরে কাঁদছে দুই ভাইবোন। হত্যাকারীকে বিচারের আওতায় আনার মতো উপার্জন নেই সন্তানদের। এদিকে, মাকে হারিয়ে কিছুতেই থামছে না সন্তানদের আহাজারি। বিলাপে বারবার চিৎকার করে মায়ের হত্যার বিচার চাচ্ছেন তারা।

আক্ষেপের সুরে মায়ের কবরের পাশেই শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এসব কথা বলেছেন মৃত শান্তনার একমাত্র ছেলে সুলতান।

সুলতান লালমনিরহাটে পাটগ্রামের কাউয়ামারী আপ্তার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়েন। মায়ের হত্যার বিচার চেয়ে সুলতান আরও বলেন, ‘সেদিন ছিল (৮ এপ্রিল), মাকে বাড়িতে রেখে সকাল ৭টার দিকে টিউশনি পড়াতে যাই বিদ্যালয়ের পাশে। টিউশনি শেষে বিদ্যালয়ের ক্লাসে চলাকালীন ছোট বোন ফাতেমা দৌড়ে এসে কান্না করতে শুরু করে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলতে থাকে মাকে বাড়ির সবাই মারধর করছেন। দ্রুত বোনকে নিয়ে বাইসাইকেলে করে বাড়িতে এসেই দেখি মা নেই। মাকে হত্যা করে সবাই পালিয়ে গেছে। এ হত্যার বিচার আমরা পাব না।’

সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মধ্য ইসলামপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আব্দুস সালামের সাথে মৃত ইব্রাহিম আলীর একমাত্র কন্যা শান্তনা বেগমের (৩৩) ১৭ বছর আগে বিয়ে হয়।

বার্তা২৪,

সংসার জীবনে তিন সন্তানের জননী শান্তনার সাথে সাংসারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী আব্দুস সালাম, শ্বশুর সাইদুল ইসলাম, শাশুড়ি মজুরন নেছা, একই গ্রামে বিবাহিত ননদ বিলকিছ ও তার স্বামী- আবুল কালাম বিয়ের পর থেকে অমানবিক নির্যাতন চালাত।

ঘটনার দিন পারিবারিক বিষয় নিয়ে শাশুড়ি মজুরন নেছার সাথে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হলে শ্বশুড়, ননদ, ননদের স্বামী মিলে শান্তনাকে মারধর করে। একপর্যায়ে স্বামী আব্দুস সালাম বাইরে থেকে এসে কোনো কিছু না বুঝেই মারতে থাকে শান্তনাকে। পরে ঘরের ভেতরে আটকে রেখে মুখে বিষ ঢেলে দেয় স্বামী শান্তনার মুখে। ঘরের ভেতর থেকে একাধিকবার পানি চাইলেও তারা পানি পান করাননি।

পরে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট বোন ফাতেমা তার ভাই সুলতানকে বিদ্যালয়ে ডাকতে যায়। বাড়িতে এসে দেখে এলাকাবাসী তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

ওই দিন রাতেই নিহত শান্তনা বেগমের ভাই রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলেও পুলিশ তা এখন পর্যন্ত আমলে নেই নি। পরিবারের অভিযোগ হত্যাকারীদের সাথে পুলিশ আঁতাত করেছে।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত (তদন্ত) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ‘নিহত গৃহবধূর ময়না তদন্ত রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট ও তদন্ত অনুযায়ী যথার্থ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;