সাগরে ইলিশ শিকারের অনুমতি চান জেলেরা



মোকাম্মেল মিশু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪ কম, ভোলা
সাগরে ইলিশ শিকার বন্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছেন ভোলার জেলেরা, ছবি:বার্তা২৪

সাগরে ইলিশ শিকার বন্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছেন ভোলার জেলেরা, ছবি:বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাতিল চান ভোলার জেলেরা। দুই মাস মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার অভয়াশ্রমে মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর ২০ দিনের মাথায় আবারও সাগরে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। একে অযৌক্তিক ও অন্যায় দাবি করে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জেলে ও জেলে সমিতির নেতারা।

তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত, সুতরাং জেলেদের এটি মেনে চলতে হবে। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সামুদ্রিক মাছের নির্বিঘ্ন প্রজনন এবং উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সরকার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সাগরে সকল প্রকার মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে ইলিশ শিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোলার লক্ষাধিক জেলে। বর্তমানে অলস সময় পার করছেন এখানকার জেলেরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558767180998.jpg

জেলেরা জানায়, ইলিশের প্রজনন মৌসুম কিংবা বেড়ে ওঠার সময় এখন নয়। আশ্বিন বা অক্টোবর মাস ইলিশের প্রজনন মৌসুম। তখন তারা সরকারের নির্দেশে ২২ দিন ইলিশ শিকার করেনি। পরবর্তীতে ইলিশের বেড়ে উঠার সময় মার্চ-এপ্রিল দুই মাসও তারা ইলিশ শিকারে নদীতে নামেনি।

নিয়মানুযায়ী মে-জুন ইলিশ শিকারের মৌসুম শুরু এবং নদীতে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার মাত্র ২০দিনের মাথায় আবার সাগরে ইলিশ শিকারে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সামুদ্রিক মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে ভোলা জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির খন্দকার বলেন, যারা বড় ইলিশ শিকার করে তাদের জন্য সাগরে নামার অনুমতি চায় জেলেরা।

জেলেরা বলছেন, এ বছর তারা এমনিতেই তেমন ইলিশ পাননি। এখন নদীতে ইলিশ নেই, আছে সাগরে। যদি সাগরেও ইলিশ শিকার করতে না পারে তাহলে চরম লোকসানের মুখে পড়বেন তারা।

দৌলতখান লঞ্চঘাটের জেলে নৌকার মাঝি মোশারেফ বলেন, ‘এই যে অভিযান দিছে আর অন আমাগো সব বোট ঘাটে বান্ধা আছে। আমরা অন সাগরে জাল বাইতে যাইতে পারি না। কিভাবে ব্যবসা বাণিজ্য চলব।’

আরেক জেলে নসু মিয়া বলেন, আমাদেরকে আবারও ৬৫ দিনের অভিযান দিছে, এটা কিন্তু হয় না। এখন আমরা না খাইয়া বহুৎ কষ্টে দিন কাটাইতেছি।
একই কথা জানান, জেলে মনজুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা তো কুচা-কাঁচা মাছ ধরি না, আমরা বড় ইলিশ মাছ ধরি। বড় ইলিশ না ধরলে কি কইরা খামু? তাইলে আমাগরে সরকার একটা কাজ করার ব্যবস্থা কইরা দেউক।’

এদিকে ইলিশ ব্যবসায়ী ইসরাফিল বলেন, এ বছর নদীতে মাছ খুব কম পাওয়া গেছে, আমরা মনে করি অভিযানটা না অওনই ভালো। আমরা অভিযান চাই না,বন্ধ করতে চাই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558767313490.jpg

জানতে চাইলে ভোলার ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ বলেন, ‘সমুদ্রে ট্রলিং জাহাজওয়ালারা যারা অবৈধ ছোট-খাটো ইলিশের বাচ্চা মারে তাদেরকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে নিয়া আমাগরে ইলিশ ধরার সুযোগ দেউক সরকার। আর নাইলে আমাগো জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করুক।’

এ বিষয়ে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জেলেরা যাতে বিষয়টি মেনে নিয়ে কাজ করে সেজন্য ব্যাপক প্রচারণা এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা আশা করি জেলেরা সরকারের এ সিদ্ধান্তটি আন্তরিকভাবে মেনে নেবেন। সমুদ্রে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকবেন। আমরা মনিটরিং করব যেন জেলেরা সাগরে না যায়। যারা সাগরে যাবে তারা সাগর থেকে মাছ এনে কোনো না কোনো ঘাটে বা আড়তে আসবেন। আমরা সেখানে গিয়ে তাদের আটক করব এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

উল্লেখ্য, এ বছর ভোলা থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সাগরে ৬৫ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় অন্তত ৪০ লাখ ইলিশ এবার কম পাওয়া যাবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;