আসছে ঈদ জমছে বাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
জমেছে কুষ্টিয়ার  ঈদ বাজার

জমেছে কুষ্টিয়ার ঈদ বাজার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে ঈদ বাজার। দেশি-বিদেশি পোশাকের মধ্য থেকে পছন্দের পোশাকটি কিনতে দোকানে দোকানে  ও বিপণিবিতানে ছুটছেন ক্রেতারা।

দাম বেশি  হলেও অনেক ক্রেতাই সাধ্যের মধ্যে সব কিছু কিনতে পেরে খুশি।  কুষ্টিয়ার ফুটপাতসহ অভিজাত বিপণিবিতানেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। জুতা, মনোহরি ও প্রসাধন সামগ্রীর দোকানগুলোতেও ভিড় রয়েছে চোখে পড়ার মতো। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি সমান ভিড় রয়েছে থান কাপড়ের দোকানে। পছন্দের কাপড় দিয়ে সুন্দর ডিজাইন দিয়ে পোশাক তৈরি করতে তাই ভিড় শহরের টেইলার্সগুলোতে। তবে ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ততা বেশি থাকায় এখন আর পোশাক তৈরির অর্ডার নিচ্ছেন না দরজিরা।

কুষ্টিয়া শহরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট, পরিমল টাওয়ার, লাভলী টাওয়ারসহ এন এস রোড ও শহরের অলি-গলিতে পুরোদমে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা।

এন এস রোড এর অঙ্গশোভা’র স্বত্বাধিকারী বাদশা শেঠ জানান, থ্রি পিসসহ বিভিন্ন ধরনের থান কাপড় এবার বেশি বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পাঞ্জাবির কাপড় বিক্রি করেছি।

পরিমল টাওয়ার এর কালার্স ভিউ এর স্বত্বাধিকারী শাহরিয়ার ইমন রুবেল বলেন, এবারের ঈদে ঘাড়ারা, গাউন, ইন্ডিয়ান কাতান এর চাহিদা বেশি। ঘাড়ারা পোষাক আড়াই হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ইব্রাহিম প্লাজার শিল্পী টেইলার্সের মালিক কিরণ মাহমুদ জানান, তরুণী ও নারীদের পোশাক তৈরি করে থাকি। ১৫ রোজা থেকে আমরা অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এবার বিপুল পরিমাণ অর্ডার পেয়েছি।

শুধু বিপণিবিতানেই নয়, প্রিয়জনের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের অনেকেই ভিড় করছেন শহরের মার্কেটগুলোতে।

পিছিয়ে নেই ফুটপাতের কেনাবেচা শহরের ফুটপাতেই বসে বড় ঈদের বাজার। যা ধনীদের জন্য না হলেও, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে।

টাকা না থাকায় আলোঝলমল বিপণিবিতানে যেতে না পারার দুঃখ ভোলেন এই ফুটপাত থেকেই নতুন জামা-কাপড় কিনে।

মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের আসাদুল ইসলাম তিনি স্ত্রী আর সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে শপিং করছেন।  তিনি বাবার জন্য পাঞ্জাবি, মায়ের জন্য শাড়ি, স্ত্রীর জন্য শাড়ি ও থ্রি-পিস এবং মেয়ের জন্য জামাসহ মানানসই জুতাও কিনেছেন। তবে গতবারের থেকে দামটা একটু বেশি নিয়েছে বলেও জানান আসাদুল ইসলাম ।

সাজিদ ফ্যাশন থেকে জিন্স প্যান্ট এবং পাঞ্জাবি কিনেছেন জিসান নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, আমার প্রথম চয়েস পাঞ্জাবির সঙ্গে জিন্স প্যান্ট। দামে বেশ সাশ্রয়ী তাই আমরা কয়েক বন্ধু এখান থেকে ঝটপট কিনে ফেলেছি।

নীডস টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী ও কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি এসএম কাদেরী শাকিল বলেন, আমার কারখানায় ২০ জন শ্রমিক নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ১৫ রোজা থেকেই আমরা অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।

এদিকে, ঈদের আর মাত্র ১০ দিন বাকি থাকতে জমে উঠেছে কুষ্টিয়ার ফুটপাতের ঈদ বাজার। এখন ফুটপাত শুধু বিক্রেতাদের না ক্রেতাদেরও দখলে।

শহরের এন এস রোডের পাবলিক লাইব্রেরির সামনে বেশকিছু ফুটপাতের দোকান গড়ে উঠেছে।

এ দোকানগুলোতে নানা রঙ-ঢঙের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। সেই পোশাক কিনতে ক্রেতা-বিক্রেতার দামাদামিতে সকাল থেকে মধ্যরাত সব সময় সরগরম থাকছে। ফুটপাত বলে পণ্যের মান খারাপ তা কিন্তু নয়। একটু দেখেশুনে যাচাই ও দরদাম করে কিনতে পারলে এখানেও অনেক ভালো মানের পণ্য পাওয়া যাবে বলে জানান ক্রেতারা।

এদিকে, কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের নির্দেশে শহরের পরিমল শপিং কমপ্লেক্স, লাভলী টাওয়ার, সমবায় মার্কেট, বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটসহ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে। নিরাপদ, এবং নির্বিঘ্নে কেনাকাটার লক্ষ্যে টহল পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি রেখেছে পুলিশ প্রশাসন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;