একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে হাসপাতাল!



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রোগীরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রোগীরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ও চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। তবে অবকাঠামোগত দিক দিয়ে সবকিছু ঠিক থাকলেও ওই হাসপাতালে এখনো ৫০ শয্যার জনবল নিয়োগ করা হয়নি।

৩১ শয্যার চিকিৎসকও নেই পুরোপুরি। আবার যে কয়জন চিকিৎসক রয়েছেন সেখান থেকে ট্রেনিং আর সংযুক্তি জনিত কারণে হাসপাতালে উপস্থিত নেই বেশ কয়েকজন। ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী, বহির্বিভাগ এবং জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছেন একজন মাত্র চিকিৎসক।

এ কারণে উপযুক্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দৌলতপুর এলাকার সাধারণ মানুষ। আর্থিক অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিরা মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল বা প্রাইভেট ক্লিনিকমুখী হলেও ভোগান্তি পোহাচ্ছে অর্থবিত্তহীন পরিবারের লোকজন। বাধ্য হয়েই ওই হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে হচ্ছে তাদের।

এদিকে অপারেশন থিয়েটারের সকল যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও তা চালু হয়নি জনবলের অভাবে। জনবল সংকট আর সংযুক্তি জনিত কারণে এমন পরিস্থিতি বলে মন্তব্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান করে উন্নত সেবার প্রত্যাশায় এলাকাবাসীরা।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ১০ থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে সরেজমিনে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়। হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৩০ জন রোগী এবং জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে আগত দুই শতাধিক রোগীর সেবায় একজন মাত্র মেডিকেল অফিসার নিয়োজিত রয়েছেন। হাসপাতালের বাকি চিকিৎসকেরা ট্রেনিং ও সংযুক্তিতে রয়েছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/15/1560593275328.jpg

হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীর স্বজন বার্তা২৪.কমকে জানান, হাসপাতালে ভর্তি থাকার মতো কোনো পরিবেশ নেই। চিকিৎসকও কম। নার্সরাই ভরসা। এতো গরমের মধ্যেও অধিকাংশ ফ্যান নষ্ট। খাবারের মান খুব খারাপ। তারপরও আর্থিক অভাব অনটনের জন্য বাধ্য হয়েই এখানে ভর্তি থাকতে হয়। তবে দ্রুত এ অবস্থার পরিবর্তন চান তিনি।

হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক আব্দুল বাতেন বার্তা২৪.কমকে জানান, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক, জুনিয়র কনসালটেন্টের (মেডিসিন, গাইনি, পেডিয়াটিক্স, অ্যানেসথেসিয়া) পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। হাসপাতালে ২ জন মেডিকেল অফিসার, একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসার রয়েছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সেবায় নিয়োজিত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আরাফাত খান বার্তা২৪.কমকে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ঢাকায় ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। মেডিকেল অফিসার ডা. সোলায়মান খান মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্তিতে রয়েছেন। আর জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আক্তারুজ্জামান মামলার সাক্ষ্য দিতে পূর্বের কর্মস্থলে গেছেন। এ কারণে পুরো হাসপাতালে একা চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, জনবল সংকটের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও উন্নত সেবা দেওয়ার সাধ্য নেই। তবে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা প্রয়োজনের চেয়ে অধিক সময় রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। জনবল সংকটের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;